নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার জলপরিসেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রুষ্ঠ হলেও, স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবায় খুশি কেন্দ্র। কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক যাই হোক, কাজের নিরিখে বাংলার স্বাস্থ্য বিষয়ক কাজে খুশি হয়ে প্রশংসিত করতে কোনোভাবেই পিছপা হয়নি কেন্দ্র । কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের ব্যবস্থাপনায় ১২ টি বিষয়ে কোয়ালিটি পরীক্ষার পর রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল শান্তিপুর পৌরসভা পরিচালিত UPSC 3 । যা পঞ্চানন তলায় অবস্থিত।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বেহুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়া জেলার ছাতনা। তবে এই সফল্যের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সুব্রত ঘোষ জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে তিন বছর পর পর একটি করে পরীক্ষা হয় সাড়া রাজ্য ব্যাপী, সেখানেই কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা বিবেচনা করে সাড়া রাজ্যের মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরের পঞ্চানন তলা UPHC 3 -কে সেরার সেরা নির্বাচিত করেছে। এতে শান্তিপুর বাসীরা যথেষ্টই গর্বিত।
তিনি আরও জানান, শান্তিপুরে বর্তমানে ছয়টি UPHC রয়েছে। সেখানে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন এবং সরকারী স্বাস্থ্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে এই পরীক্ষায় সেরার সেরা হওয়াতে পরবর্তীতে কালে তিন বছর দু-লক্ষ্য টাকা করে বাড়তি সরকারি অনুদান পাবে এই UPHC। তাতে স্বাস্থ্য পরিকাঠাময় অনেকটাই উন্নতি হবে বলে আশাবাদী পৌরসভার পৌরপতি সুব্রত ঘোষ।
যদিও এদিন এই সম্মান পাওয়ায় ওই UPHC এর সমস্ত চিকিৎসকে এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন পৌরপতি সুব্রত ঘোষ। অন্যদিকে রোগীর পরিবার বর্গের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, বেসরকারি নার্সিংহোমে যেমন ঝা চকচকে এবং বিভিন্ন পরিষেবা মেলে তেমনই সরকারি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে সরকারি সহায়তা মেলে যা কোনও অংশে কম নয় বেসরকারি নার্সিংহোমের। অনেকেই জানালেন ফোন করে পর্যন্ত তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয় বিভিন্ন ভ্যাকসিন শিশুদের চিকিৎসা মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন পরিষেবা এসবই মেলে চিকিৎসক এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মীদের আন্তরিকতায়।
এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান চেয়ারম্যান। সম্প্রতি জলপরিসেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুর পৌরসভার প্রতি যে সন্তুষ্ট নয় সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুরসভা, জেলা এবং রাজ্য থেকে আগত এ বিষয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে এদিন শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত প্রক্রিয়াকরণ এবং ১৬ নম্বরে ওয়ার্ডে ইনটেক পয়েন্ট ঘুরে দেখেন তারা। পুরসভা আশাবাদী সাধারণ মানুষের জল সংক্রান্ত যে সমস্ত দাবি রয়েছে তা অল্পদিনের মধ্যেই সমাধান হবে।
Mainak Debnath