Tag Archives: Shantipur

Nadia News: তক্ষক ধরতে হাজির বনদফতরের কর্মী! কিন্তু উদ্ধার হল এ কী

নদিয়া: তক্ষকের আতঙ্ক কাটল বন দফতরের উপস্থিতিতে, উদ্ধারের পর জানালেন গোসাপের বাচ্চা। নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন সকাল থেকেই চঞ্চল্য এক অদ্ভুত প্রাণীর বাচ্চাকে কেন্দ্র করে। এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ জানান প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে ছোট্ট অথচ ভয়ংকর অজানা এক প্রাণী নিয়ে মানুষজন ছিলেন আতঙ্কে। যদিও খুব ছোট্ট হওয়ার কারণে এবং তার সাহসিকতা দিয়ে সেটিকে একটি মশারি দিয়ে ধরে খবর দেন বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীরাও প্রাথমিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি অনুযায়ী আন্দাজ করেন সেটি গোসাপের ডিম ফুটে বের হওয়া সদ্যজাত বাচ্চা।

আরও পড়ুন: নবদ্বীপের জলঙ্গি নদীতে ভেসে উঠল এ কী! পড়ে গেল লাফালাফি, তীব্র আতঙ্ক

তবুও সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে আতঙ্ক দূর করতে এবং ওই বাচ্চাটিকে তার স্বাভাবিক  জীবনে ফিরিয়ে দিতে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় দেখা যায় তক্ষকের বাচ্চা কিংবা পূর্ণবয়স্ক তক্ষক চোরাকারবারীরা বিক্রি করার চেষ্টা করে। বেশ কিছু  মানুষের মধ্যে এই ধারণা রয়েছে যে তক্ষক একটি বহুমূল্যবান প্রজাতির জীব। যার দাম কোটি কোটি টাকা! বন দফতর থেকে জানা যায় এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা! তক্ষক আর পাঁচটি সাধারণ জীবের মতোই একটি সরীসৃপ প্রাণী। তবে বেশ কিছু চোরাশিকারীদের উপদ্রবে তা এখন বিলুপ্ত প্রায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: শুধু আইপিএল নয়, নিলামে খেলোয়াড় কেনাবেচা হয় এখানেও!

নদিয়া: চলছে আইপিএল, স্ব শরীরে মাঠে না যাওয়া যুবসমাজের কাছে অ্যান্ড্রয়েড এর মধ্য দিয়ে নেশায় পরিণত হয়েছে । রয়েছে এই সংক্রান্ত একাধিক অ্যাপস যাতে টাকা লাগিয়ে সর্বস্বান্ত হবারও নিদর্শন কম নেই । তবে সেসব বিতর্কের বিষয়, মফস্বল এলাকায় এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ক্লাব আয়োজন করে থাকেন সকলকে মাঝেমুখি করানোর জন্য এবং প্লেয়ারদের কিছুটা সম্মান বৃদ্ধি এবং পারিশ্রমিক তাদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে ক্রিকেটে ইদানিং এই ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেলেও ফুটবলে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না।কিন্তু নদিয়ার শান্তিপুর ঢাকা পাড়া নেতাজী সংঘের মাঠে শুরু হল ডিএসএল অর্থাৎ ঢাকা পাড়া সুপার লিগ।

আরও পড়ুন: মনের জোরই সব, ক্যানসারে বাদ পড়েছে ডানহাত! বাঁ-হাতে লিখেই মাধ্যমিকে বাজিমাত শুভজিতের

প্রতি মঙ্গলবার এবং রবিবার দুটি করে খেলা হবে বলে জানা গেছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন নতুন প্রজন্মকে মুঠোফোনের থেকে বের করে আনতে ও ফুটবল খেলাকে কিছুটা ত্বরান্বিত করতে এবার শান্তিপুর ঢাকা পাড়া নেতাজী সংঘের মাঠে আয়োজন করা হলো ঢাকা পাড়া সুপার লিগের। গোটা শান্তিপুরের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব থেকে ৫০ জন ফুটবল খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৩০ জন শান্তিপুরের খেলোয়াড় ও বাকি ২০ জন বাইরের।ঢাকা পাড়া সেভেন স্টার, ব্ল্যাক প্যান্থার, ঢাকা পাড়া ইলেভেন, ঢাকা পাড়া রেঞ্জার, থাকা পাড়া এক্স আই এই পাঁচটি ফ্রাঞ্চাইজি মিলে সেই সমস্ত ফুটবল খেলোয়াড়দের পয়েন্টের মাধ্যমে নিলামে কিনেছেন।কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫০০ পয়েন্ট জমা রেখে তবেই এক একটি খেলোয়াড়কে বাছাইয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্রাঞ্চাইজি গুলি। দেড় হাজার পয়েন্টের ১০ টি প্লেয়ার কেনা যাবে সেক্ষেত্রে ৪ টি প্লেয়ার বাইরের, এবং ৬ টি প্লেয়ার শান্তিপুরের নিজস্ব ক্লাবের হতে হবে।

আরও পড়ুন: বাবার জুতোয় পা গলালেন মেয়ে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশায় শ্রদ্ধা ভক্তভানু ও অভিনেতা কন্যার

প্রত্যেক খেলায় থাকবে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার। এছাড়াও সেরা গোলকিপার সেরা ডিফেন্স ইত্যাদি পুরস্কার থাকবে ফাইনালে রয়েছে টাকার পুরস্কারও। রেজিস্ট্রেশন ফর্ম এর মাধ্যমে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই নিলামে বসার করেছিলেন আবেদন।আপাতত ঢাকা পাড়া সুপার লিগ নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে সকল ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। অন্যদিকে ফুটবল প্লেয়াররাও খুশি কারণ তারা পারিশ্রমিক কিংবা সাম্মানিকভাবে কিছুই পেতেন না এযাবৎকালের ব্যবস্থার ফলে সরাসরি ফ্রাঞ্চাইজির দেওয়া অর্থ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন নিজেদের খেলার মূল্য ভিত্তিক মূল্যায়ন তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারছেন তারা। তাই সম্মানিত হয়ে খেলার প্রতি আরও দায়বদ্ধতা বেড়েছে বলেই তারা মনে করছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: গরম থেকে পশু-পাখিদের কিছুটা রেহাই দিতে অনন্য উদ্যোগ নদিয়ার শান্তিপুরে

তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত সকলের। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য নানা পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। মানুষ নানা পন্থা অবলম্বন করলেও পশু পাখিদের অবস্থা আরও খারাপ। তাই গরম থেকে পশু-পাখিদের কিছুটা মুক্তিদেত অনন্য উদ্যোগ নিল শান্তিপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

Nadia News: এবার রাস উৎসব উপলক্ষেও থিম সং ও লোগো! উদ্বোধন শান্তিপুরে

নদিয়া: শান্তিপুরের রাস উৎসব জগৎজোড়া খ্যাতি। সারা বছর ধরে রাস উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন আপামর শান্তিপুরবাসী। প্রতিমা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল লাইটিং সহযোগে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ প্রত্যেক বছরেই দেখা যায় শান্তিপুরের ভূমিতে। তারই মাঝে বেশ কিছু ক্লাবের পুজো বহু পুরনো। ঠিক তেমনই এ বছর সুবর্ণ জয়ন্তীতে পদার্পণ করবে শান্তিপুর তরফদার পাড়ার লিডারস ক্লাব। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তারা মানব কল্যাণের জন্য  জন্য নিয়েছেন ১৩ টি দফায় বিশেষ কর্মসূচি। পয়লা বৈশাখের দিন এই কর্মসূচির চতুর্থ দফার আয়োজন করা হল। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাগআছড়া রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ এবং শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসক। এছাড়াও উদ্বোধন করা হয় তাদের নতুন থিম সং এবং প্রতীক চিহ্ন অর্থাৎ লোগোর। ক্লাবের এই থিম সং ওর লোগো তৈরি করে ক্লাবেরই শিল্পীরা।

আরও পড়ুন:  রাজ্যের স্কুলে চালু নতুন নিয়ম! ঘণ্টা বাজলেই পড়ুয়াদের করতে হবে এই কাজ! জানুন

শান্তিপুর লিডারস ক্লাবের কোষাধক্ষ্য শুভদীপ মুখার্জি জানান, “২০২৪ এ আমাদের রাস উৎসবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। আর সেই উপলক্ষে সারা বছরব্যাপী আমরা বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।  ১৩ টি দফায় একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে যার মধ্যে এদিন চতুর্থকর্ম সূচি পালন করা হলো। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে সারা বছর ধরে এবং রাসের সময় শান্তিপুরবাসীর জন্য থাকবে এক বিশাল সারপ্রাইজ!” সুতরাং বলা যেতে পারে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুধুমাত্র পুজোয় সময়ই মানুষকে আনন্দ দেওয়া নয় বরং সারা বছর সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকাকেই ব্রত করে নিলেন শান্তিপুর তরফদার পাড়ার লিডারস ক্লাব। তাদের এই কর্মকাণ্ডে খুশি ও উপকৃত আপামর শান্তিপুরবাসী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath

Ram Navami 2024: রামনবমীতে অযোধ্যার রামলালার দেখা মিলবে শান্তিপুরের মাটিতে

নদিয়া:  এবার শান্তিপুরে রামনবমীর সেরা আকর্ষণ গোডাউন মাঠের রামলালা। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে রামনবমী পালন এবং পুজো। তবে শান্তিপুরে বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে রাম আরাধনা। সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এবার রামচন্দ্রের মূর্তির বদলে রামলালা পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিপুর রামনবমী উদযাপন সমিতি। এবারে তাদের তৃতীয় বর্ষের পুজো শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন গোলপার্ক বাদ দিয়ে গোডাউন মাঠে হতে চলেছে। শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনকে অমৃত মহোৎসব প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করায় সংস্কারের কাজ চলছে আর সেই কারণে এই স্থান পরিবর্তন বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন: প্রখর বৈশাখে দুর্গাপুজোর আমেজ শান্তিপুরে! ব্যাপারটা কী?

আজ থেকে প্রায় এক মাস আগে শান্তিপুর গোপালপুর শিল্পালয় সৌরভ সাহাকে মাটির রামলালা বানানোর দায়িত্ব দেন রামনবমী উদযাপন সমিতি। শিল্পী জানাচ্ছেন রামলালার মূর্তি তার হাতে এই প্রথম তবে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিমা নির্মাণের পাশে কাগজে রামলালার অবয়ব রেখে তবেই তৈরি করা হয়েছে। পুরোটাই মাপজোপের। তবে একজন শিল্পী হিসেবে নিজেদের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি রাখা হয়নি বাকিটা দর্শকদের হাতে।

আরও পড়ুন:   মাছপট্টি থেকে জাস্ট ভ্যানিশ ইলিশ-চিংড়ি- ভেটকি-পমফ্রেট, বিড়ালের কীর্তি নাকি, কারণ শুনলে চমকে যাবেন

অন্যদিকে উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন ইতিমধ্যেই তাদের রামলালার অর্ধ সমাপ্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চিত বিষয় তাই প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হবে, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে নিষ্ঠা ভরে ১৭ এপ্রিল রামনবমীতে পুজোর পর শোভাযাত্রার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শান্তিপুর গোডাউন মাঠ থেকে শুরু হয়ে থানার মোড়ে শেষ হবে সেই দিনেই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: স্বপ্ন দেখার চোখ আর দক্ষতা এই দুইয়ে ভর দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে ডাক নদিয়ার সন্দীপের

নদিয়া: বাবা পেশায় মুদি দোকানদার। তবে ছেলে ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত বড় হয়ে একদিন আই লিগ খেলবে। বরাবরই টানত তাকে গোলরক্ষক হওয়া। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা সন্দীপের খেলার জীবনে পরপর শুধু সাফল্যের সিঁড়ি। অনূর্ধ্ব ২০ ন্যাশনাল ফুটবল প্রতিযোগিতায় বেঙ্গল টিমের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল শান্তিপুর ব্রাজুকা ফুটবল অ্যাকাডেমির ছাত্র তথা গোলরক্ষক সন্দীপ সরকার।

বাড়ি শান্তিপুর বাগআচড়ায়। তার বাবা বাড়িতেই একটি মুদিখানা দোকান চালান। তার ছোট ভাই বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করে। এর আগে পরিবারে কেউ কখনও ফুটবল খেলা নিয়ে ভাবেননি। তবে সন্দীপের স্বপ্ন ছিল একদিন জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলবে। সেই কারণেই ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই ফুটবল খেলা শুরু করে সে। প্রথম থেকেই তার ইচ্ছে ছিল গোলরক্ষক হওয়ার।

আরও পড়ুন – Sourav Ganguly: সোলো ট্রিপ, একা বিন্দাস মজা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খোলামেলা উত্তরে বোল্ড সুন্দরী অভিনেত্রী

সন্দীপ এর আগে খেলে রিলায়েন্স এবং কলকাতা লিগ। আর এবার বেঙ্গল টিমের জন্য খেলতে সে যাচ্ছে ছত্তিশগড়। ১২ তারিখে খেলা আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। খেলার জন্য প্রায়ই বাইরে বাইরে থাকতে হয় তাকে পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় কিছুটা অসুবিধে হয় আর্থিকদিক থেকে কখনও কখনও। তবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সকলেই। কোচ রাকেশের হাত ধরেই প্রথম ফুটবলের জগতে আসা। এছাড়াও পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন সকলেই পাশে রয়েছে তার বলে জানায় সে।

আপাতত অনুর্ধ্ব ২০ ন্যাশনাল ফুটবল টিমের প্রতিযোগিতায় বেঙ্গল টিমের জন্য শান্তিপুরের ছেলে সন্দীপ সরকার খেলার উদ্দেশ্যে ছত্রিশগড়ের জন্য রওনা দিচ্ছে আর তাতেই খুশি অ্যাকাডেমির সকল সদস্য এবং খেলোয়াড়েরা।

নদিয়া জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি সুমন বসু ব্রাজুকা ফুটবল একাডেমির ভূয়ষী প্রশংসা করে বলেন, দারিদ্র্যের মধ্যেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে প্রত্যন্ত এই গ্রামে গড়ে ওঠা ব্রাজুকা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে বিভিন্ন বয়সের বিভাগে একের পর এক রত্ন কখনও জোনাল কিংবা জেলা বা রাজ্য স্তরে আকর্ষণ হয়ে উঠছে কর্তৃপক্ষের। তবে সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা কিংবা সহৃদয় মানুষের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তবেই তাদের কৃতিত্বের যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।

Mainak Debnath

Crime News: বাড়ি থেকে আসছিল বিকট দুর্গন্ধ! ভিতরে কেবল বাবা-ছেলে, প্রতিবেশীদের তৎপরতায় যা উদ্ধার হল… নদিয়ায় চাঞ্চল্য!

নদিয়া: দোতলার ঘরের ভেতর থেকে যুবকের পচা গলা মৃত দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য নদিয়ায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ। রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া নদিয়ার রানাঘাট, কৃষ্ণনগর এবং অবশেষে শান্তিপুরে। ঘরের ভেতর থেকে এক যুবকের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ।

প্রায় দু’দিন পুরনো মৃতদেহ বলে ধারণা প্রতিবেশীদের। জানা যায় মৃত যুবকের নাম অভিষেক ভট্টাচার্য, বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। বাবা অলোক ভট্টাচার্য, তিনি প্রাক্তন শিক্ষক। বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুর থানার আতা বুনিয়া গোস্বামী লেন এলাকায়।

আরও পড়ুন: কলকাতায় ১১ ডিগ্রি পারদপতন! তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা করল প্রবল ঝড়জল, কতদিন ধরে চলবে এই স্বস্তির বৃষ্টি? এক নজরে তালিকা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এদিন সকালে বাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা, এরপর সন্দেহ হওয়াতে পরিবারকে ঘটনা জানানো হয়। এছাড়াও ফোন করা হয় শান্তিপুর থানায়। ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ, এরপর দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টায় প্রচেষ্টায় মৃতদেহ উদ্ধার করে। যদিও গত দু’দিন ধরে বাবা ও ছেলে একইসঙ্গে বাড়িতে ছিল, কিন্তু বাবা ঘরের ভেতরে থাকাকালীন ছেলের কীভাবে মৃত্যু ঘটল তা অস্পষ্ট সকলের কাছে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই যুবক বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকত, কোনও চাকরি করত না। কিন্তু এই মৃত্যুর পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা পুলিশি তদন্তেই বোঝা যাবে। অন্যদিকে এদিন দুপুরে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যদিও দিনে দুপুরে গৃহস্থ বাড়ির ঘরের ভেতর থেকে পচাগলা মৃত উদ্ধার ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

Mainak Debnath

Lok Sabha Election 2024: প্রতিকী ছবি আঁকা নয়, রঙ নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান লিখলেন আস্ত দেওয়াল 

নদিয়া: প্রতিকী তুলি ধরে ছবি নয়, দেওয়াল লিখনের সূচনাও নয়, শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান রীতিমতন আঠার সঙ্গে রং গুলে, কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগিয়ে লিখলেন গোটা একটি দেওয়াল। ভোটের আগে নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায় প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রথমে দেওয়াল দখল এবং দেওয়ালে চুন লাগানো পরবর্তীতে প্রার্থীর নাম এবং বিরোধী দল প্রসঙ্গে নানান কটাক্ষ এবং দলীয় বিভিন্ন প্রচার অবশ্যই নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন অংকন। তবে এক্ষেত্রে কর্মীরা সেই কাজের গুরুদায়িত্ব পালন করলেও আনুষ্ঠানিক সূচনাতে দেখা যায় নেতৃত্বকে কখনও তুলি হাতে লেখা নামের শেষাংশে স্পর্শ করা। কিন্তু শান্তিপুরে দেখা মিলল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ কর্মীদের সঙ্গে একটি দেওয়াল লেখার সম্পূর্ণ কাজে সহযোগিতা করলেন লিখলেন নিজেও।

আরও পড়ুন:  আঙুর মিষ্টিতে মজে সবাই, ভোটের আগে জুড়ল তৃণমূল আবেগ

জানালেন ছাত্রাবস্থা থেকেই এই দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স, ফেস্টুন, পতাকা টাঙানো বিভিন্ন কাজ ছিল নিয়মিত আর সেই সুবাদেই দেওয়ার লেখা শেখা। তবে এক্ষেত্রে নাম পুরোপুরি ভাবে না লিখতে পারলেও রং ভরাট,  রং গোলা এই সকল কাজই তার জানা। তবে হ্যাঁ সম্পূর্ণ এককভাবে প্রতীক চিহ্ন আঁকতে পারেন তিনি। তবে পুরসভার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইদানিং সে ফুরসত খুব একটা মেলে না, স্মৃতিচারণ করে বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি তার বসতবাড়ি এলাকায় শ্যামচাঁদ মোড়ে একটি দোকানের ছাদের উপর মই দিয়ে উঠে অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন দেওয়ার লেখার কাজে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আর এর ফাঁকে ফাঁকে কর্মীদের সঙ্গে কখনও চানাচুর মুড়ি কখনও বা রুটি ঘুগনি টিফিন আর লিকার চা এসবই আবেগ এবং অত্যন্ত প্রিয় তার কাছে।

Mainak Debnath

Nadia News: পড়াশোনার জন্য বকাবকি করার পর থেকেই সন্তান নিখোঁজ, মরিয়া হয়ে খুঁজছেন বাবা

নদিয়া: পড়াশোনার জন্য সামান্য বকাবকিতে শিবরাত্রির রাত থেকেই নিখোঁজ নাবালক ছেলে, পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাবা। চাপড়ায় আদি বাড়ি হলেও নদিয়ার শান্তিপুরে বিভিন্ন এলাকায় আজ ২৫ বছর ধরে ভাড়া থাকেন পেশায় কাসুন্দি, আচার বিক্রেতা পরেশ মন্ডল। বর্তমানে দু’বছর ধরে শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডে অদ্বৈত লেন সুকান্ত পল্লীতে বড় ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। বছর পাঁচ এর আগে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে স্ত্রী অর্চনা এক ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে থাকে চাপড়ায়।

আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচের পর বৈদ্যবাটি! জি টি রোডের উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গোটা বাড়ি

পরেশ মন্ডল জানান তার নিখোঁজ ছেলের নাম প্রদীপ শান্তিপুর হিন্দু হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তিনি ফেরি করতে বেরোনোর পর থেকে ছেলে স্কুলেযাওয়া এবং পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাদিন খেলে বেড়ায় সেই কারণেই বকাবকি। সেদিন ছিল শিবরাত্রি। বাথরুমে যাবার নাম করে রাত দশটা নাগাদ বের হয় ঘর থেকে, এরপর কিছুক্ষণ সময় বাদেও ফিরে না আসার কারণে প্রথমে প্রতিবেশীদের বাড়ি পরবর্তীকালে বিভিন্ন শিবরাত্রির অনুষ্ঠান ঘুরেও মেলেনি তার খোঁজ। এরপর আত্মীয়-স্বজন এমনকি ওর মার সঙ্গেও কথা হয়েছে হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরের দিন প্রথমে শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি এবং তার পরের দিন শান্তিপুর থানায় ছেলের ছবি সহ নিখোঁজ আবেদন জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু এতগুলো দিন কেটে যাওয়ার পরেও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি ছেলের। বাধ্য হয়েই, সোশ্যাল মিডিয়ায় সহযোগিতা চাইছেন । নিখোঁজ হওয়ার সময় ছেলের পরনে ছিল লাল ডুরে গেঞ্জি এবং একটি হাফপ্যান্ট।

Mainak Debnath

Herbal Colour Making: ভুট্টার আটা ফুলের রং দিয়েই তৈরি হচ্ছে ভেষজ আবির! দেখুন ভিডিও

নদিয়া: কখনও চুন কখনো বা চকের গুঁড়ো তার সঙ্গে কেমিক্যাল মেশানো রং শিশুদের স্বাস্থ্য এবং মহিলাদের ত্বকের ক্ষতি। তাই ভুট্টার আটটা থেকে প্রাকৃতিক ফুল ফল পাতা থেকে রং মিশিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত ভেষজ আবির তৈরি নদিয়ার শান্তিপুরে।সামনেই রঙের উৎসব হোলি উৎসব । আর তাই গোটা দেশবাসী মেতে উঠবে আবির খেলায় । তবে বাজারে আর পাঁচটা যা আবির বিক্রি হয় তাতে কখনও চুন কখনও বা চকের গুলোর সঙ্গে মেশানো হয় ক্যামিকেল মিশ্রিত রং যা শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর সঙ্গে মহিলাদের ত্বকেরও। বিভিন্ন চর্ম চিকিৎসকদের মতে কেমিক্যাল মিশ্রিত রং আবির চোখে কিংবা মুখে গেলে শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতি হয় অনেকটাই।

আরও পড়ুন: কারোর দাম ৯০ টাকা তো কেউ বিক্রি হলেন ১২০-তে! নিলামে এমনই দর উঠল খেলোয়ারদের

তবে পরিবেশের কথা মাথায় রেখেও ব্যবসা করা যায় সেই নজির সৃষ্টি করলেন শান্তিপুরের কৃষাণ স্বরাজ সমিতির মহিলা সদস্যরা। বিগত চার বছর ধরে প্রতিবছর দোলের সময় বানিয়ে থাকেন ভেষজ আবির যা ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দামে কিছুটা বেশি হলেও, পরিমাণ কমিয়ে শিশুর অভিভাবকরা শিশুদের স্বাস্থ্য কথা মাথায় রেখে ক্রমশ ঝুঁকছেন এই ভেষজ আবিরের দিকেই। অন্যদিকে ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে সর্বদা সচেতন থাকা মহিলারাও ভেষজ আবিরকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। নদিয়ার শান্তিপুরের পরিবেশপ্রেমী এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় প্রযুক্তিতে জৈব সার ব্যবহার করে দেশী বীজের মাধ্যমে চাষের আন্দোলন গড়ে তোলা শৈলেন চন্ডী গড়ে তুলেছিলেন কৃষাণ স্বরাজ সমিতি। সংগঠনের মহিলাদের সদস্যদের দিয়েই এই ভেষজ আবির তৈরি করিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: তিন মাস আগে নয় ! ট্রেনে ওঠার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই উপায়ে কেটে নিতে পারবেন কনফার্ম টিকিট

দীর্ঘ একমাস কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই আবির প্রস্তুত করতে হয় বলেই জানান শৈলেন বাবু। এ বছর জবা ফুল সহ বেশ কিছু লাল রঙের ফুল থেকে লাল সূর্যমুখী কলকে এ ধরনের হলুদ ফুল থেকে হলুদ, পুঁইমিটুলিথেকে রানী কালার,নীলকন্ঠ ফুল থেকে নীল, সিমসহ বিভিন্ন পাতা থেকে সবুজ এই আপাতত পাঁচ রংয়ের প্রায় দেড় কুইন্টাল ভেষজ আবির তৈরি করিয়েছেন এবারের জন্য। যা প্রথমবার ২০ কেজির থেকে অনেকটাই বেশি। যদিও তিনি আক্ষেপ করে বলেন , “সচেতন নাগরিক সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসলেও ,এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সরকারিভাবে সাহায্যর হাত বাড়াতে দেখা যায়নি এখনও। সরকার যদি এ বিষয়ে সুনজর দেন তাহলে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভেষজ আবির উৎপাদন অনেকটাই বাড়বে। সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসবে দাম।”
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে এক দুশো টাকা প্রতি কেজি বাজার চলতি চকের গুঁড়ো কিংবা চুন দিয়ে তৈরি আবির অত্যন্ত ক্ষতিকর, তারা ব্যবহার করছেন ভুট্টার মিহি পাউডার, প্রাকৃতিক রং তাই শিশুর চোখে কিংবা মুখের ভেতরে গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না।অপরদিকে গৃহিণীরা জানাচ্ছেন, সারাদিন সংসারের সমস্ত কাজ মিটিয়ে ফাঁকা সময়ে ,এই আবির তৈরিতে তারা কাজ করেন। মেলে কিছু পারিশ্রমিকও। ১০০ গ্রামে তিন টাকা করে মজুরি পান প্রত্যেক মহিলারা ।আর এই আবির পাইকারি ২৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং খুচরা ৩০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম প্যাকেট দুটি ভাবেই বিক্রয় হচ্ছে ।

Mainak Debnath