বারিয়ার গাছের ছাল এবং বীজ অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে সহায়ক। এটি হজমের উন্নতি, চর্মরোগের চিকিৎসা, প্রদাহ কমাতে এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।বন জঙ্গেল জন্মানো এই গাছ আপাত দৃষ্টি জংলার মতো মনে হলেও আসলে তা নয়৷ পাতা, মূল, ছাল, সবকিছুই এর দারুণ কাজে লাগে৷ আমরা এখন রোগ হলেই অ্যালেপ্যাথিতে ভরসা রাখি৷ কিন্তু এই গাছের ছাল আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে৷ এই গাছ চোখে পড়লেই বাড়িতে রাখুন৷ নানা রোগের চিকিৎসায় কাজে আসবে৷বিশেষ করে সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগেও এটি উপকারী। বারিয়ার শুধুমাত্র একটি সাধারণ উদ্ভিদ নয়, এটি আয়ুর্বেদে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখে। এর সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়, যা মানুষকে অনেক রোগ থেকে নিরাপদে রাখে।এই গাছের গুরুত্ব বুঝে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রাকৃতিক ওষুধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের উপকারিতা গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। বারিয়ার উদ্ভিদ সত্যিই প্রাকৃতিক ওষুধের একটি অনন্য উৎস।সমষ্টিপুর জেলার মোহনপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার কাম আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ বলেশ্বর শর্মা বারিয়ার গাছের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই গাছটি নিজে থেকেই বনে জন্মায় এবং এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডাক্তার শর্মা বলেন, বারিয়ার গাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেলের মতো অনেক উপাদান পাওয়া যায়।এই উপাদানগুলি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। তিনি বিশেষভাবে এর ছাল এবং বীজের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা বয়স্কদের প্রদাহ, জ্বর এবং হাইপার অ্যাক্টিভিটি কমাতে সাহায্য করে। তাঁর মতে, বারিয়ার গাছটি শুধুমাত্র একটি ঔষধি উৎস নয়, এটি আয়ুর্বেদের নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বাস্থ্যগত সুবিধাও প্রদান করে।Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি ঘরোয়া টোটকা, কোনও চিকিৎসা বা ওষুধের বিকল্প নয়, ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যিক ৷
