রুটি খাওয়া শরীরের জন্য ভাল সেটা কম-বেশি সকলেই জানেন৷ কেউ কেউ গমের আটা থেকে রুটি তৈরি করে আবার কেউ কেউ বেশ কিছু দানা মিশিয়ে রুটি খেতে পছন্দ করেন। একাধিক শস্যের আটা দিয়ে তৈরি রুটির নিজস্ব স্বাদ রয়েছে এবং এর অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে।
এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার কারণে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। যারা সাধারণ গমের আটার রুটি খান তারা চাইলে এটাকে আরও বেশি পুষ্টিকর করে তুলতে পারেন। এর জন্য আটা-ময়দার মধ্যে কিছু জিনিস মেশাতে হবে। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকবে না। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাহলে ময়দা মাখার আগে এতে সামান্য তুষ মিশিয়ে নিন। যাইহোক, মিলের ময়দায় শুধুমাত্র তুষ থাকে। ময়দাযুক্ত তুষ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ শিব কুমার পান্ডে জানান, মেথির বীজও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও একটি স্বাস্থ্যকর মশলা। একটি মিক্সারে শুকনো মেথি দানা পিষে গুঁড়ো তৈরি করুন। এতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার শুধু ময়দাকে পুষ্টিকর করে না, কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। মেথির বীজ শরীরে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা বাড়াতে দেয় না।
কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজম, বদহজমের মতো সমস্যায় ময়দা মেখে শণের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। শণের বীজে দ্রবণীয় ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলো হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। ময়দার মধ্যে তেঁতুলের বীজের গুঁড়া মিশিয়ে রুটি তৈরি করুন এবং নিয়মিত খেলে আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান পাবেন।
কেউ কেউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জল বা দুধের সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে খান। ময়দার সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে রুটি তৈরি করে খান। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক রেচক এবং ফাইবার। এগুলো মলত্যাগে সাহায্য করে। এটি ৭ দিন খেলে টয়লেটে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না।
ওটস ময়দায় মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা কয়েক দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনার পরিপাকতন্ত্রও সুস্থ থাকবে এবং সঠিকভাবে কাজ করতে থাকবে। ফাইবার শুধু হজমশক্তি ঠিক রাখে না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এটি হার্টের জন্যও স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতেও কার্যকর।
Post navigation
Just another WordPress site