বিপদ মাথায় যাতায়াত 

Heavy Rainfall in Jhargram: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে ডুলুং, ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে জল, বিপদে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা!

ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের প্রধান নদী ডুলুং। প্রতি বছর বর্ষা এলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে এই নদী। বিভিন্ন জায়গায় নদীর উপর তৈরি নিচু সেতু বা ফেয়ার ওয়েদার সেতু দিয়ে যাতায়াত ক্রমে বিপদজনক হয়ে ওঠে।

ইতিমধ্যেই ডুলুং নদীতে জল বাড়ায় চিন্তায় স্থানীয় মানুষজন। নদীতে জল বাড়ায় চিল্কিগড় এলাকায় থাকা কজওয়ে বা নিচু সেতুর উপর দিয়ে বইছে খরস্রোতা এই নদী। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের সঙ্গে গিধনি-সহ একাধিক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: দর্জি থেকে রাতারাতি সুপারস্টার, এক গানে বিশ্বরেকর্ড! ‘তুম তো ঠহরে পরদেশি’ গায়ক আলতাফ রাজা এখন কোথায়?

ঘুর পথে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে, যেখানে এমনি সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ছোট্ট জেলা ঝাড়গ্রাম। এই জেলা পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র মোহনীয় রূপ নেয় বর্ষাকালে। জেলার ডুলুং নদীকে দেখতে শহর থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। কিন্তু সেই নদী বর্ষা এলেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ক’দিনের সামান্য বৃষ্টিতে হুহু করে বইছে জল।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিচ্ছেন! বিয়ার খেলে শরীরে কী হয় জানেন? রইল বিশেষজ্ঞের মত

নদী যেন ক্রমে খরস্রোতা নদীতে পরিণত হচ্ছে। একদিকে গিধনি আর অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা সদর। স্কুল হোক কিংবা অন্যান্য কাজের জন্য নদীর উপর দিয়ে তৈরি এই নিচু সেতু না কজওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন বহু মানুষ। চলত বাস, ট্রাক-সহ প্রাইভেট গাড়ি। প্রতিদিন সেই সংখ্যা শতাধিক। চলে মোটরবাইক থেকে বড় গাড়িও।

কিন্তু নদীতে জল বাড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন বহু মানুষ। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা নদীর জলে আনন্দে স্নানও করছে। বারংবার এই নদীর উপর দিয়ে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে সুরাহা মেলেনি। প্রতি বছর বর্ষার সময় একই সমস্যায় পড়তে হয় সকলকে। বর্তমানে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলা সদরের সঙ্গে গিধনি-সহ একাধিক এলাকার।

ঘুরপথে ঝাড়গ্রাম জেলা সদর কিংবা গিধনি বা অন্যান্য এলাকায় যেতে ভরসা ৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ। সবেই শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। সামান্য বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বাড়ছে। জেলার এই অতি পরিচিত নদীতেও বাড়ছে জলস্তর। ইতিমধ্যেই এই নিচু সেতুর উপর দিয়ে বইছে নদী। স্বাভাবিক ভাবে আগামীতে চলাচল আদৌ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে সকলে।

রঞ্জন চন্দ