মায়ের পাশে কৃতি ছাত্রী

Higher Secondary 2024: মাধ্যমিক ২ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় স্থান হয়নি, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতীচি, ভাল ফল করার গোপন মন্ত্র শেয়ার করলেন

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-র ফলাফল। সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার। সে সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। শতাংশের নিরিখে হল ৯৮.৬ শতাংশ। তবে সে মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে।

মাধ্যমিকে ৬৮২ পেয়েছিল প্রতীচী। তখন মাত্র দু’নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর। সেই আক্ষেপ পূরণ করতেই উচ্চমাধ্যমিকে এই সাফল্য। বর্তমান সময়ে তার ফলাফলে রীতিমতো খুশি তাঁর বাবা-মা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন – ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গম! মেয়ের মা এনেছিল মারাত্মক অভিযোগ, ৪০ বছরের পুরনো অভিযোগে ৪ সন্তানের বাবা জেলে

প্রতীচী জানায়, “প্রতিদিন আনুমানিক ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো সে। তবে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম ছিল না। শরীর চর্চা করার পর পড়তে বসলে পড়ায় মনোযোগ বসে। মূলত এই কারণেই শরীরচর্চা করার পরই পড়তে বসতো সে। উচ্চমাধ্যমিকে তার মোট সাতজন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর গান ছবি আঁকা ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট এইসব ভাল লাগে। শ্রেয়া ঘোষালের গান রয়েছে পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। অবসরে গল্পের বই পড়া পছন্দ করে সে। ভবিষ্যৎ দিনে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে সে একজন ডাক্তার হবে। ইতিমধ্যেই সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সে।”

প্রতীচীর মা ঝুমা সাহা তালুকদার জানান, “মেয়ের পড়াশোনার বিষয়ে কোন সময় তাঁকে বলতে হতো না। সে নিজেই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো। উল্টে কিছু সময় তারা তাকে পড়াশোনা থেকে সামান্য বিরতি নিতে বলতেন। মেয়ের এই সাফল্য তাঁদের অনেকটাই আনন্দ দিয়েছে। মূলত বাবা-মায়ের অসম্পূর্ণ ইচ্ছে মেয়ে সম্পূর্ণ করতে পেরেছে এমনটাই বক্তব্য তাঁর। ভবিষ্যৎ দিনে মেয়ে আরও সফল হয়ে উঠুক।” বাবা প্রণব রায় তালুকদার জানান, “প্রতীচী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে র‍্যাংক করে রয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আগামীতে সে ডাক্তার হতে চায়। তাই তাঁর ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ সহমত জানান তাঁরা।”

মাধ্যমিকের ফলাফলের পর উচ্চ মাধ্যমিকে আবার এই নজর কারা সাফল্য। মূলত এই কারণেইbঅনেকটাই খুশি করেছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। আগামী দিনে প্রতীচী আরও সফল হয়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন জেলার প্রত্যেকটি মানুষ। তবে প্রতীচী লক্ষ্য একটাই একজন ভালো মানের ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।

Sarthak Pandit