হুগলি: সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তাঁত বুনে কোনো-রকমে টেনে টুনে চলে সংসার। সেই পরিবার থেকেই উঠে এসেছে উজ্জ্বল নক্ষত্র। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান অর্জন করেছে হুগলি বেগমপুরের বৃষ্টি দত্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছে বাবার কাছে। উচ্চমাধ্যমিকে নিজের চেষ্টায় ভালফল করেছে বৃষ্টি। মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য চিন্তার ভাঁজ এখন বাবার কপালে। উচ্চ মাধ্যমিকে হুগলি জেলায় প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছেন ১৩ জন ছাত্র ছাত্রী তার মধ্যে দশম স্থান অধিকার করেছেন হুগলির বেগমপুর হাই স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী বৃষ্টি দত্ত।
বাবা সুশান্ত দত্ত একজন তন্তুবায়, তাঁতের কাপড় তৈরি করে কোনো রকমে সংসার চালান।মেয়ে দশম স্থান অধিকার করায় পরিবারে খুশির হওয়া বইলেও মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে।তবে শত কষ্ট করেও মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে ব্রতী হয়েছেন সুশান্ত বাবু। মা পম্পা দত্ত ও সংসারের হাল ধরতে কুটির শিল্পের কাজ করতেন তবে মেয়ের উচ্চ শিক্ষার খরচ নিয়েও বেশ চিন্তিত তিনি।
আরও পড়ুন: খালি পেটে এক গ্লাস জিরে ভেজানো জল খেলে কী হবে? এক মাসে বদলে যাবেন আপনি!
ভাল ফলাফলের প্রত্যাশা ছিলই তবে বাঁধা ধরা নিয়মে পড়াশোনা করত না বৃষ্টি। স্কুলের সব পাঠ্য বই তার কেন সম্ভব হয়নি। অনেকের কাছ থেকে বই জোগাড় করে পড়াশোনা করত বৃষ্টি। ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার ইচ্ছা,প্রিয় বিষয় ইংরাজি।নিজের মধ্যে কৌতূহল থাকলে ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব বলে জানান বৃষ্টি।
রাহী হালদার