রানাঘাট: বেড়াল নয়! এবার বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব নতুন বছরের চিংড়ি, ইলিশ, পাবদা, ভেটকি, পমফ্রেটে থাবা বসাল দুষ্কৃতীরা।মাছে ভাতে বাঙালি, যদি বাংলা বর্ষের শেষ দিন কিংবা নতুন বাংলা বছরের পয়লা বৈশাখে মাছ খেতে না পারে তাহলে মানসিক পরিস্থিতি কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারে তা বোধ হয় অনুভব করতে পারছেন সকল বাঙালি। এইরকমই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার রানাঘাট আনুলিয়া পঞ্চায়েত বাজারে।
সেখানে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় টাকা ধার করে কিংবা মহাজনের কাছ থেকে ধারে প্রচুর পরিমাণে দামি দামি মাছ তুলেছিলেন বিক্রির আশায়। কিন্তু তাদের প্রায় পথে বসিয়ে পয়লা বৈশাখের আগের দিন রাতে দুষ্কৃতীরা দামি দামি মাছ চুরি করে, বিক্রি করার জিনিষ পত্র তছনছ করে চম্পট দেয়।
এই ঘটনার জেরে মাছ বিক্রেতা মাছ বিক্রি করতে না পেরে সমস্যায় পড়েছেন। তারা জানাচ্ছেন এত বড় অঘটন এর আগে ঘটেনি কখনও। এক এক ব্যক্তির চার পাচ হাজার টাকার মূল্যবান ভেটকি, পাবদা, চিংড়ি, ইলিশ, পমফ্রেট এ ধরণের মাছ আনুমানিক প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মাছ চুরি গেছে। নষ্ট হয়েছে অনেক মাছ। শুধু কি মাছ চুরি! সঙ্গে বরফ দেওয়া মাছের পেটি মাটিতে ঢেলে কিংবা থার্মোকলের বাক্স থেকে বের করে তছনছ করেছে গোটা মাছ বাজার।
জানা যায় ৫০ থেকে ৬০ জন প্রতিদিন মাছ বিক্রি করেন এই বাজারে প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন কম বেশি প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত।রানাঘাট থানা থেকে পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে।
Mainak Debnath