নটরাজের মূর্তি

Bankura News: ঐতিহাসিক মূর্তি উদ্ধার বাঁকুড়ায়, একটু দেরি হলেই ঘটে যেত অঘটন

বাঁকুড়া: মা মনসার মূর্তি ভেবে পুজো করতে যাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তারা যখন জানতে পারলেন আসল সত্যি তখন মাটি থেকে পা সরে যায় গ্রামবাসীর। যে মূর্তিটি মা মনসার বলে ভুল করছিলেন গ্রামবাসীরা সেটি আসলে একটি জাতীয় সম্পদ বলে মনে করছেন বাঁকুড়ার ক্ষেত্র সমীক্ষকরা। উচ্চতা এবং আকারে বেশ বড় এই মূর্তিটির মুখের কাছে কিছুটা ভেঙে গেছে এবং সেই কারণেই হয়ত মূর্তিটিকে অন্য কিছু ভেবে ভুল করেছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে কিসের মূর্তি এটি? কেনই বা জাতীয় সম্পদ বলা হচ্ছে এই মূর্তিকে?

আরও পড়ুনঃ মূল প্রসাদ পোড়া পিঠে, এই সাবেক পরিবারের রথযাত্রায় পূজিত দশটি বিগ্রহ

বাঁকুড়ায় ফের উদ্ধার হল দ্বাদশ শতকের প্রাচীন মূর্তি। জেলার জয়পুর ব্লকের দ্বারকেশ্বর নদ থেকে বালি তোলার সময় একটি নটরাজের মূর্তিটি উদ্ধার হয়।এই উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি দেবী মনসার ভেবে,খুশিগঞ্জের বাসিন্দারা স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে যান।এবং তা মন্দিরের দেওয়ালে স্থাপন করার পরিকল্পনা করেন। এরপর খবর পেয়ে ক্ষেত্র সমীক্ষক বিপ্লব বরাট, এলাকার বাসিন্দা সদানন্দ পাল-সহ অনেকেই গ্রামের মানুষকে বোঝান,যেন এই মূর্তিটি সংরক্ষণ করা জরুরি।

তাছাড়া বিপ্লব বাবু বোঝান যেহেতু মূর্তির দুই পৃষ্ঠেই কাজ রয়েছে তাই দেওয়ালে স্থাপন করলে এক পৃষ্ঠের গঠনশৈলী নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এই মূর্তি সংগ্রহশালায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।পাশাপাশি,বিপ্লব বাবুর দাবি বাঁকুড়া শহরে কিংবা জয়পুরে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হোক।যেখানে এই উদ্ধার হওয়া প্রাচীন মূর্তি পুরাকীর্তি,ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলিকে সরকারি উদ্যোগে সংগ্রহ করা হবে৷ সারা জেলার আনাচে, কানাচে এমন অনেক মূর্তি অনাদরে, অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

এই সব মূর্তি গুলি জেলার ক্ষেত্র সমীক্ষকদের সহযোগিতায় সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিক সরকার এমন দাবিও উঠছে। বাঁকুড়ার আনাচে কানাচে ইতিহাসের ছোঁয়া। ইতিহাসের প্রমাণ মেলে বারংবার। বেশ কয়েকদিন আগে আরওএকটি মূর্তি উদ্ধার হয় জয়পুরে। আবারওসেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে কি ঐতিহাসিক দিক দিয়ে জয়পুর ব্লকের রয়েছে কোনও বিশেষ গুরুত্ব। সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী