Tag Archives: idol

Durga Puja 2024: দীর্ঘস্থায়ী বর্ষার আশঙ্কায় আগাম প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সুন্দরবনের শিল্পীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় বর্ষার বৃষ্টি এখন আর বর্ষাকালে ততটা হচ্ছে না। বরং শরৎকাল আগের থেকে অনেক বেশি বৃষ্টিস্নাত হয়ে উঠেছে। এদিকে এই বছর অক্টোবর মাসের প্রথম দিকেই পড়েছে দুর্গাপুজো। তাছাড়া এবার এমনিতেই দেরিতে বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে বর্ষা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর আগে বেশি বৃষ্টি হলে প্রতিমা সময়ে তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। তাই চলতি বছর অগ্রিম প্রতিমা তৈরিতে হাত দিয়েছেন সুন্দরবনের মৃৎশিল্পীরা।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর মাত্র তিন মাস সময় রয়েছে হাতে। তার মধ্যেই আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে এবার বর্ষাকাল একটু দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তা শুনেই সুন্দরবনের মৃৎশিল্পীরা এখন থেকেই দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উল্লেখ্য গত বছর টানা বৃষ্টিতে প্রতিমা তৈরি করতে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরি থেকে রৌদে শুকানো, একাধিক কাজে বারে বারে ব্যাঘাত ঘটেছিল। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে নেমে পড়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: রথে হাজার হাজার জগন্নাথ পাড়ি দেবে বর্ধমানের এই জায়গা থেকে

সুন্দরবনের প্রতিমা শিল্পীরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে এঁটেল মাটি দিয়ে স্ট্রাকচার বানিয়ে মাটি লাগানোর কাজ চলছে। এসময় তেমন কোনও অর্ডার না এলেও ভবিষ্যতে অর্ডার এলে যাতে সময়ে প্রতিমা ডেলিভারি করা যায় তার জন্যই আগেভাগে কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই কাজ আরও জোরকদমে হবে বলে তাঁরা জানান।

জুলফিকার মোল্যা

World Laughter Day: বিশ্ব হাসি দিবসে শিল্পীর অবাক করা সৃষ্টি! হাতে ওটা কী জানেন?

কোচবিহার: গোপাল ভাঁড় চরিত্রটি ঐতিহাসিক। গবেষক ও ভাষাবিদদের কাছে বিতর্কের বিষয়‌ও বটে। তাঁর গল্পগুলি এই বাংলায় চূড়ান্ত জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন গোপাল ভাঁড় নামে কেউ নির্দিষ্ট করে ছিলেন না। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে গোপাল ভাঁড়ের নাম সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয়।

কথিত আছে, মধ্যযুগের আজকের নদিয়া অঞ্চলে গোপাল ভাঁড় ছিলেন একজন প্রখ্যাত রম্য গল্পকার ও মনোরঞ্জনকারী। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সৎ ও বুদ্ধিমান। বুদ্ধি ও সৎ সাহস থাকার কারণে রাজা তাঁকে সভাসদদের মধ্যকার নবরত্নদের একজন হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। মাইক্রো শিল্পী সোমা মুখার্জি সেই গোপাল ভাঁড়ের একটি দুর্দান্ত ছবি এঁকেছেন।

আর‌ও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

এই বিষয়ে শিল্পী জানান, গত ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস ছিল। মূলত এই কারণেই তাঁর মাথায় এসেছিল এই বিশেষ চরিত্রটির মূর্তি তৈরির কথা। আসলে ছোট বয়স থেকেই সকলে গোপাল ভাঁড়ের হাস্য রসের গল্প শুনে কিংবা পড়ে বড় হয়েছে। তাই এই চরিত্রটি নতুন করে আবার হাসতে শেখাতে পারে। কারণ, হাসির কোন‌ও বিকল্প নেই। হাসতে পারলে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। বর্তমানে সমাজে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এতে মানসিক অবসাদ ও শারীরিক রোগ ব্যাধিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই বিশ্ব হাস্য দিবসের দিন গোপাল ভাঁড়ের মূর্তি তৈরি করেন কোচবিহারের সোমা মুখার্জি। এই মূর্তির উচ্চতা তিন সেন্টিমিটার। মডেলিং ক্লে, আঠা, কাপড়, সুতো, ইলেকট্রিক তার দিয়ে গোটা মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বানিয়েছেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে এক মাসের মত।

সার্থক পণ্ডিত

Bronze Idol: মহিষাদলের ছাঁচে ঢালা ব্রোঞ্চ মূর্তির বাজার গড়ে উঠেছে ভিন রাজ্যে

পূর্ব মেদিনীপুর: মহিষাদলের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হয় ব্রোঞ্জ বা পিতলের মূর্তি। দেবদেবীর ব্রোঞ্জ ও পিতলের মূর্তিগুলো পাড়ি দিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। কিন্তু কীভাবে তৈরি হয় এই ব্রোঞ্জ বা পিতলের মূর্তি? আসুন, এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হল।

মহিষাদলে তৈরি হচ্ছে কাঁসা বা পিতলের প্রতিমা। প্রতিমা তৈরির এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন স্থানীয় বহু মানুষ। এটাই মূলত রুটি-রুজি হয়ে উঠেছে। কাঁসা বা পিতলের এই প্রতিমাগুলো বিভিন্ন ধাপে তৈরি করা হয়। দক্ষ কারিগররা ধাপে ধাপে এগুলো তৈরি করেন।

আর‌ও পড়ুন: লাল পিঁপড়ের ডিম ভাতের যোগান দিচ্ছে ওঁদের! আমলাশোলের অন্ধকার ঘুচিয়ে নতুন পথের দিশা

প্রথমে দেবদেবীদেরর মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়। তার সাহায্যে তৈরি হয় মাটির ফাঁপা ছাঁচ। এরপর ফাঁপা ছাঁচকে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। মাটির খোল শোকানোর পর তার মধ্যে ঢালা হয় গরম তরল ব্রোঞ্জ বা পেতল। গরম ব্রোঞ্জ বা পেতলের তরল একসঙ্গে একেবারেই ঢালা হয় না। তা ধাপে ধাপে একটু একটু করে ঢালা হয়। এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ছাঁচ ভেঙে দেব দেবীর মূর্তি বের করা হয়। এর পরের ধাপে পালিশ করে মূর্তিগুলোকে সম্পূর্ণ আকার দেওয়া হয়।

মহিষাদলের এক কারখানার কারিগর গোপাল রানা জানান, এই মূর্তি তৈরির প্রতিটি ধাপে সুদক্ষ শিল্পীর প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে মাটির প্রতিমা সুচারুভাবে তৈরি না হলে ব্রোঞ্জ বা পেতলের প্রতিমাও ঠিকঠাক হবে না। ছাঁচে ঢালাইয়ের জন্য দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন হয়। না হলে দেবদেবী মূর্তির ঢালাইয়ের সময় ছাঁচ ভেঙে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সবশেষে পালিশ ও রঙের কারিগরের কাজ হয়। এখানে ৬ ইঞ্চি থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুটের’ও দেবদেবীর মূর্তি তৈরি হয়। তবে সব থেকে বেশি হয় ছোট ছোট মূর্তি।

সৈকত শী