কুরুমবেড়া দুর্গ

Historical Tourist Spot: পাথরের উপর পাথর দিয়ে তৈরি, যেন ইতিহাস বই উঠে এল, জানেন কোথায় আছে এই বিশেষ ইমারত?

পশ্চিম মেদিনীপুর:  বাংলার অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাসের নিদর্শন। এক একটি প্রাচীন পাথর ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। প্রান্তিক এক গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ল্যাটেরাইট পাথরের নির্মিত এক ইতিহাস ক্ষেত্র। যার সঠিক তথ্য উদঘাটন এবং ইতিহাস প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সকলে।

বিভিন্ন ইতিহাসবিদের গবেষণায় একাধিক তথ্য উঠে এলেও সঠিক ইতিহাস এখনও জানা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক কেশিয়াড়ি ব্লকের গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক কুরুমবেড়া দুর্গ। যদিও নানান মতের পার্থক্য থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন সেটি সেনা ছাউনি আবার মনে করা হয় তা ঈশ্বরের স্থান।

আরও পড়ুন – Huge Salary Job: প্রায় ৫ কোটি টাকা মাইনে, ৪ কামরার ঘর, এত কিছু দিয়েও কাজের লোক পাওয়া যাচ্ছে না, কাণ্ডটা কী

পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকা গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক এক স্থাপত্যের নিদর্শন। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরেই রয়েছে এই প্রাচীন নিদর্শন। সাধারণ মানুষ এই নিদর্শনকে দুর্গ বলেই চিহ্নিত করেন। তবে গবেষকদের মধ্যে, আসলে এই স্থাপত্য কেন গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে নানা মত থাকলেও বর্তমানে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে প্রাচীন এই দুর্গ কুরুমবেড়া। বিশাল দুর্গের বেশ কিছুটা অংশ এখনওরয়ে গিয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি একটি স্থাপত্য। পাথর কেটে কেটে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গের দেওয়াল। চারিদিক ঘেরা সুসজ্জিত দেওয়াল বা প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে তিনটি গম্বুজ আকারের স্থাপত্য। কেউ কেউ মনে করেন এটি একটি মন্দির বা দেবালয় ছিল। যার চারিদিকে প্রাচীর বেষ্টিত একাধিক কুঠুরি ছিল। যেখানে তীর্থ যাত্রীরা বিশ্রাম নিতেন।

পরবর্তীতে মোগল এবং তারপরে মারাঠারা এটিকে সেনা নিবাস বা ছাওনি হিসেবে ব্যবহার করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি কুরুমবেড়া দুর্গ বা ফোর্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আবার কেউ কেউ মনে করেন চতুর্দিক বিস্তৃত প্রাচীর ঘেরা এই দুর্গ আসলে পান্থশালা। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আসা কিংবা ধর্মীয় স্থানে আসা মানুষেরা সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে থাকতে পারতেন।

তবে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে সাধারণ মানুষ ও গবেষকদের মধ্যে নানার মত থাকলেও বর্তমানে বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয়দের মতে কিছুটা অংশ মাটির তলায় চাপা পড়েছে। সরকারিভাবে এই নিদর্শনের সংরক্ষণের ব্যবস্থা এমনকি পর্যটন মানচিত্রের স্থান পেলেও এই স্থানের উন্নতি এখনো হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনদের।

প্রতিদিনই শতাধিক পর্যটক আসেন এই ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখবার জন্য। সাধারণ মানুষজনের দাবি এই স্থানকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র করে তুলুক সরকার ও প্রশাসন। গড়ে উঠুক কটেজও। যা কেশিয়াড়ি কুরুমবেড়া আগামী দিনে পর্যটক মানচিত্রে নয়া দিশা দেবে।

Ranjan Chanda