দেবী সাঁতাইবুড়ি

Jhargram News: নদী পারাপার করতে গেলে স্মরণ করা হয় দেবীকে, বিপদ থেকে রক্ষা করেন লৌকিক এই দেবী, জানুন ইতিহাস

ঝাড়গ্রাম: নদী পেরিয়ে চাষের জমিতে যাওয়া কিংবা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় জেলেদের একমাত্র ভরসা এই লৌকিক দেবী, যিনি নদীর করাল গ্রাস থেকে আর্তকে উদ্ধার করেন। তবে থেকেই ধীরে ধীরে প্রচার পায় গ্রামীন এই দেবতা। বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় লৌকিক দেবী হিসেবে চণ্ডী সহ একাধিক দেবীর প্রাধান্য আছে। তেমনি জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার নয়গ্রাম ব্লকের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে সাতাঁইবুড়ির থান বা সাঁতাইবুড়ির মন্দির। গ্রাম দেবী বা লৌকিক দেবী হিসেবে পরিচিত তিনি। দেবীর আবির্ভাব নিয়ে নানা কিংবদন্তী থাকলেও গ্রামবাসীদের মধ্যে ভিন্ন মত আছে।

অবিভক্ত মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি এবং নয়াগ্রামকে আলাদা করেছে সুবর্ণরেখা নদী। তবে দুই ব্লকের সংযোগকারী জঙ্গলকন্যা সেতুর পাশেই ডাহি এলাকায় রয়েছে দেবীর মন্দির। দেবীর কোনও আচ্ছাদিত মন্দির নেই। চারদিক দেওয়াল দিয়ে ঘেরা মন্দিরে উপরে নেই কোনও আচ্ছাদন। একটি পাথর এবং হাতি, ঘোড়া পুজোর মধ্য দিয়ে দেবীর আহ্বান করা হয়। বেদীর ওপর হাতি ঘোড়ার পুজো হয়। সাঁতাইবুড়ি আসলে সাঁতাইবুড়ি,যিনি নদীর করাল গ্রাস থেকে আর্তকে উদ্ধার করেন। দেবী এখানে গ্রামচন্ডী হিসেবে মর্যাদা পেয়ে থাকেন। এই দেবী সম্পর্কে নানা উপকথা শোনা যায় এলাকার মানুষের মুখে।

আরও পড়ুন : ট্র্যাডিশনাল ম্যাট নয়, এই জিনিস বানিয়ে লাভ মাদুর গ্রামে

জানা যায়, নদীর ওপারে আছে একাধিক গ্রামবাসীর চাষের জমি। গরুর লেজ ধরে সাঁতরে নদী পেরোবার সময় স্মরণ নিতে হতো সাতাঁইবুড়ি দেবীর। বিভিন্ন সময়ে লৌকিক দেবী সাতাঁইবুড়ির পুজো অর্চনা হলেও মকর সংক্রান্তির দিন বড় করে পুজো হয় দেবীর। আনন্দে মেতে ওঠেন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

তবে এখনও নদীতে নৌকা নিয়ে গেলে সকলেই স্মরণ করে যান দেবী সাতাঁইবুড়ির। বিশেষত মাঝিমাল্লাদের দেবী তিনি। উৎসর্গ করাহয় ‘ছলন’ অর্থাৎ মাটির হাতি,ঘোড়ার মূর্তি। সুতোতে ঢিল বেঁধেও মানত করেন অনেকেই। এমনিও মানত করে সবাই!

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পরে পুজো দিয়ে মানত রক্ষাও করেন! ধীরে ধীরে ব্যপ্তি বাড়ে দেবীর। নদীর পাড়ে জাগ্রত এই দেবী।

রঞ্জন চন্দ