সারাদিন চোখ আটকে মুঠোফোনে? ভয়ানক ক্ষতি হচ্ছে! সুস্থ থাকতে মনে রাখুন এই কয়েকটি টিপস্

Smartphone Use: সারাদিন চোখ আটকে মুঠোফোনে? ভয়ানক ক্ষতি হচ্ছে! সুস্থ থাকতে মনে রাখুন এই কয়েকটি টিপস

স্মার্টফোনের যুগ। হাতের মুঠোয় বন্দি গোটা বিশ্ব। আট থেকে আশি, সবার চোখ আটকে মোবাইলে। কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কোনও হুঁশ নেই। এর ফলে চোখের ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনকে ব্যাহত করে, ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ডিজিটাল আই স্ট্রেন হতে পারে। যেমন মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, শুকনো চোখের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি এসেছে কিন্তু মৌসুমি বায়ু এখনও…কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কতদিন চলবে ঝড়বৃষ্টি? ৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ঠিক কবে আসছে বর্ষা?

এর হাত থেকে বাঁচতে স্ক্রিন টাইম কমানো, নীল আলোর এক্সপোজার কমাতে স্ক্রিন সেটিংস ঠিক করা, চোখের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি অপরিহার্য। নাহলে অকালে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হতে পারে। তাই চোখ বাঁচাতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।

২০-২০-২০ রুল অনুসরণ: প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ২০ সেকেন্ডের বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিরতিতে ২০ ফুট দূরের কোনও বস্তুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হবে।

ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার: আগেই বলা হয়েছে, স্মার্টফোন থেকে নির্গত নীল আলো চোখের জন্য ক্ষতিকর। এ থেকে বাঁচতে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করা যায় কিংবা স্ক্রিন প্রোটেক্টর। এগুলো নীল আলোর এক্সপোজার কমায়।

স্ক্রিনের ব্রাইটনেস ঠিক রাখা: স্ক্রিনের ব্রাইটনেস যথাযথ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাইটনেস এমনভাবে সেট করতে হবে, যা চোখের জন্য আরামদায়ক হয়। খুব উজ্জ্বল বা খুব ডার্ক নয়, ব্রাইটনেস মাঝামাঝি রাখাই ভাল।

সঠিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে: স্ক্রিন এবং চোখের মধ্যে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি দূরত্বকে আদর্শ ধরা হয়।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজে গেলে ১ কেজি, আবার পুড়লে ৩ কেজি হয়ে যায়? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

নিয়মিত চোখের পলক ফেলা উচিত: স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘসময় তাকিয়ে থাকলে চোখ শুকিয়ে যায়। তাই ঘনঘন পলক ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা চোখকে আর্দ্র রাখে।

নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা: যাঁদের মোবাইল বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হয়, তাঁদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো উচিত। যাতে যে কোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায়।