বাচ্চাদেরও খাবার খেতে ফোন বা টিভি চালাতে হয। ফোন কেড়ে নিলে তারা খাবার খেতে অস্বীকার করে। এই বিষয়টি অভিভাবকদের জন্য খুবই গুরুতর হয়ে উঠেছে।শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পবন মান্ডাভিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাচ্চাদের ক্ষিদে না পাওয়ার অর্থ তাদের আয়রনের ঘাটতি, পেটের কৃমি বা দাঁতের ব্যথা৷ এই পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিৎ। খাওয়ার সময় শিশুর সম্পূর্ণ মনোযোগ মোবাইল বা টিভিতে থাকলে কী খাচ্ছে বা স্বাদ ইত্যাদি সে বুঝতে পারবে না। এর সঙ্গে ডক্টর পবন শিশুদের এই অভ্যাস নিরাময়ের জন্য কিছু টিপসও দিয়েছেন৷সন্তানকে সঠিক পথে আনতে আপনার নিজেকেই একজন রোল মডেল হতে হবে। আপনি নিজে যদি খাওয়ার সময় ফোন বা মোবাইল ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে দেখে আপনার সন্তানও এই অভ্যাসটি গ্রহণ করবে। নিজের খাবার খাওয়ার সময় গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন। এ ছাড়া খাবারের সময়টা আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে শিশুর সামনে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ও পুষ্টিকর খাবার রাখুন।শিশুকে স্ন্যাকস কম দিন, যাতে শিশুর ভাল করে খিদে পায় এবং খাবারের সময় খেতে প্রস্তুত থাকে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের উচিত শিশুকে খাওয়ানোর ব্যাপারে চাপ বা জবরদস্তি না করার৷ আপনার শিশুকে তার নিজের গতিতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সময় দিন।লাইট নিভিয়ে এবং খাওয়ার সময় হালকা মিউজিক বাজিয়ে শান্ত ও মনোরম পরিবেশ তৈরি করা যায়। এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে বসেই খাবার খাওয়ার অভ্যাস করান আপনার সন্তানের। এতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে টেবিলে বসে খাবার খেলে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে না৷খাবারের সময় আপনার সন্তানকে শিশুর সঙ্গে খেলা করুন৷ ছেলে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করুন যে রান্নার স্বাদ কেমন হয়েছে বা তার আজকের খাবারটি পছন্দ হয়েছে কী না৷ এভাবে শিশুর খাবার অভ্যাস তৈরি করুন৷আপনার শিশুকে খাবার তৈরিতে সাহায্য করার সুযোগ দিন। যেমন শাকসবজি ধোয়া বা রান্না করার সময় উপকরণ নাড়া চারা করার। এতে খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।