কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : চলতি বছরের শুরু থেকেই ক্ষতির মুখে পড়েছে ধান চাষ। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষিকাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে। আবার অতিবৃষ্টির কারণে বপন করা ধান বীজ নষ্ট হয়েছে মাঠেই। নতুন করে চাষ শুরু করতে হয়েছে কৃষকদের। তারপর টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বাংলা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই শুরু হবে ফসল কাটার কাজ। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে কিভাবে ধান জমির যত্ন নেওয়া উচিত? জানিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ কৃষক। তিনি বলছেন, চলতি বছরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে গিয়েছে। ফলে খুব সহজেই নানা ধরনের পোকার আক্রমণ বাড়ছে। ধানের নানারকম রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই এই এক-দেড় মাস সাবধানী হতে হবে কৃষকদের।
আরও পড়ুন : পরিবেশের স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিয়ে কিভাবে কাজ করবে ভূগোল? দেখুন
চলতি বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন কৃষক শেখ স্বপন। এই বিশেষজ্ঞ কৃষক বলছেন, পোকার আক্রমণ থেকে জমি রক্ষা করতে না পারলে ফসল ঘরে তোলা যাবে না। এই সময় ধানে দুই থেকে তিন রকম পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে সব থেকে বেশি। তাই সেগুলিকে রোধ করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি দফতরে গিয়ে অভিজ্ঞদের সাহায্য নিতে হবে।
আরও পড়ুন : গাড়ির বদলে রাস্তা দখল করেছে গাড়ির যন্ত্রাংশ! পুরানো জিটি রোড কার্যত গলি হতে বসেছে
প্রসঙ্গত কৃষকরা চলতি বছরে খুব বেশি ফলনের আশাও রাখছেন না। যেহেতু অসময়ে কৃষিকাজ শুরু হয়েছে, তাই ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। পাশাপাশি চাষ করতে সার্বিকভাবে খরচও বৃদ্ধি হয়েছে। এমন সময় ধান জমির যত্ন নিলে কিছুটা ফসল ঘরের তোলা যাবে। কিছুটা ক্ষতিস সাধন করা যাবে। অন্যদিকে ফসল ঘরে তুলতে দেরি হলে পরবর্তী চাষ শুরু করতে দেরি হতে পারে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
নয়ন ঘোষ