নিরিবিলি  স্থান বিশাল মন্দির সবুজ ঘেরা শান্ত পরিবেশ

Offbeat Tour Destination: বাসায় ফেরা পাখির ডাকের মাঝেই সন্ধ্যারতি, হাতে কয়েক ঘণ্টা সময় থাকলেই ঘুরে যান কলকাতার কাছেই প্রকৃতির কোলে

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: হাতে  মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই মানসিক শান্তি মিলবে এই স্থানে! এই ব্যস্ততম জীবনে একটু মানসিক শান্তি পেতে মানুষ দূরদূরান্ত ছুটে বেড়াচ্ছে। পাড়ি দিচ্ছে এক জেলা থেকে অন্য জেলা। কেউ কেউ আবার বাংলা ছেড়ে শত শত মাইল পাড়ি দিচ্ছে মানসিক শান্তির খোঁজে। এবার মনোরম পরিবেশ মানসিক শান্তি পেতে ঠিকানা হতে পারে হাওড়ায় এই স্থান।

প্রকাণ্ড নবরত্ন মন্দির। বিশাল মন্দির এর সমানেই ছোট শিব মন্দির। মন্দিরের সামনেই কয়েক শতাব্দী প্রাচীন পঞ্চবটী আসন। মন্দির সংলগ্ন সবুজে ঘেরা বাগান। মনোরম পরিবেশ পাখির কলরব, সকালে মাতৃপুজো, সন্ধ্যায় আরতি। এই স্থান হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ব্লকের নরেন্দ্রপুরে।জানা যায় এই পঞ্চবটী আসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বর্ধমান রাজার আমলে। এক এক করে পেরিয়ে গেছে বহু বছর। সে সময় পূজার্চনা এবং সাধনার স্থান ছিল এটি। বর্তমানে নবনির্মিত মন্দির এবং মন্দির চত্বর সবুজ বাগান নিরিবিলি স্থান, যা দারুণ ভাবে মানুষের মন আকৃষ্ট করছে। মন ভাল করার স্থান এটি।

এই মন্দিরে বিরাজ করছেন কষ্টিপাথরের মাকালীর মূর্তি। বিশাল আকার মন্দির, মন্দিরের গা বেয়ে চলে গেছে খাল। এককালে এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করলেও বর্তমানে কালের নিয়মে বন্ধ হয়েছে।এখানে যেমন মানসিক শান্তি তেমনই জাগ্রত মা কালীর দর্শন-সবমিলিয়ে দিন দিন এই স্থান গোটা জেলা জুড়ে মানুষের আকর্ষণ।

আরও পড়ুন : গা ছমছমে বনে তেঁতুলগাছের নীচে ৫০০ বছরের প্রাচীন পাতালচণ্ডী মন্দিরে কৌশিকী অমাবস্যার পুজোয় অগণিত ভক্ত সমাগম

এ প্রসঙ্গে তপন চক্রবর্তী জানান, বিশাল মাতৃমন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন পঞ্চবটি আসন যা বর্ধমান রাজ আমলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। নবনির্মিত  মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে মা কালীর কষ্টিপাথরের মূর্তি। এর পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন বাগানকে নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষের কাছে অন্যতম তীর্থস্থান হতে চলেছে এটি।