দক্ষিণ দিনাজপুর: ঝাঁ-চকচকে দোকান কিংবা এরই মধ্যে সাজিয়ে রাখা রয়েছে অত্যাধুনিক মানের চুড়ি সহ অন্যান্য প্রসাধনিক সামগ্রী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পছন্দের পরিবর্তন হলেও কাঁচের চুড়ির চাহিদা আজও নজর কাড়ে। মূলত উৎসবের মরশুম আসলে এর চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। জেলার চকভগীরথ গ্রামের বাসিন্দা সাধনা মহন্ত বিগত প্রায় ৪০ বছর ধরে কাঁচের চুড়ির ব্যবসা করে চলেছেন আজও।
সোনা কিংবা হীরা সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি চুড়ি ব্যবহার করলেও আজও শহর কিংবা গ্রামাঞ্চলে এই কাঁচের চুড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। আবার এই কাঁচের চুড়ি বিভিন্ন পরবগুলির সঙ্গে আকার কিংবা রং পরিবর্তন করে ছোট থেকে বড় যে কোন বয়সী মহিলাদের পড়তে করতে দেখা যায়। এমনকি বিয়ে বাড়ি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলিতে পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রংবেরঙের এই কাঁচের চুড়ির প্রচলন এখনও লক্ষ্য করা যায়।
আরও পড়ুন: চপ শিঙারা নয়! অতিথি আপ্যায়নে বানিয়ে ফেলুন ‘এই’ মোয়া! রইল রেসিপি
চুড়ি ব্যবসায়ী সাধনা মহন্ত দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে তাঁর এই চুড়িগুলো তিনি পাটনা, কাঠিহার, ফিরোজবাদ থেকে নিয়ে আসেন। এবিষয়ে চুড়ি বিক্রেতা সাধনা মহন্ত জানান, “বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে বাজারে রকমারি ডিজাইনের চুড়ি ছেয়ে গেলেও তাঁর বিক্রি করা কাঁচের চুড়ির চাহিদা এখনও কম বেশি ভালই রয়েছে। যেকোনও পুজো পার্বণের মেলায় চুড়ির পসরা সাজিয়ে বসলেই ক্রেতারা তাঁর কাছে এসে নিজস্ব পছন্দ সহিত কাঁচের চুড়ি পরে যায়। দামও রয়েছে শহরের দোকানের তুলনায় অনেকাংশেই কম।”
আরও পড়ুন: ফল নয় যেন টাকার গাছ! এক ফল চাষ করেই মালামাল কৃষক, খরচ কম, ফলন দ্বিগুণ
সাধনা দেবীর এই কাচের চুড়ি পরতে শুধুমাত্র গ্রামাঞ্চল নয়, শহর থেকেও বহু মহিলারা তাঁর কাছে এসে চুড়ি পরে যান।
সুস্মিতা গোস্বামী