পশ্চিম মেদিনীপুর : প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উন্নততর প্রযুক্তি, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর নানান প্রযুক্তির ব্যবহার সামরিক ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। প্রতিরক্ষায় প্রযুক্তি উন্নয়নে এবার যৌথ গবেষণা চালাবে আইআইটি খড়্গপুর।দেশের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) সঙ্গে এবার মউ স্বাক্ষরিত (সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত) হল ভারতীয় নৌবাহিনীর। বাহিনীতে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বার্থেই এই সমঝোতা বলে জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে ভারতীয় নৌবাহিনীতে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI/Artificial Intelligence), রোবটিক্স (Robotics), ডেটা অ্যানালিটিক্স (Big Data Analytics), কোয়ান্টাম মেকানিক্স (Quantum Mechanics)- র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে উভয় পক্ষের তরফে গবেষণা চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) তরফে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নৌ সেনার নয়া দিল্লির সদর দফতরে এই বিষয়ে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর বা মউ (MoU/ Memorandum of Understanding) স্বাক্ষর হয়। নৌ সেনার তরফে উপস্থিত ছিলেন রিয়ার এডমিরাল (Rear Admiral) কে. শ্রীনিবাস (K. Srinivas), আইআইটি খড়গপুরের অধিকর্তা অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি (Prof Viredra Kumar Tewari), আইআইটি’র রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি প্রমুখ।
আরও পড়ুন : সেতু তৈরিতে ঝালাইয়ের ভুল ধরবে AI, যুগান্তকারী আবিষ্কার আইআইটি খড়গপুরের
আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি জানান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বার্থে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণার ক্ষেত্রে হাত মিলিয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের আইএনএস শিবাজী (INS Shivaji)-তে এই যৌথ গবেষণার কাজ চলবে। নৌসেনার এই দফতরে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
বাহিনীতে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তি, উন্নত সেন্সর, কম্পিউটার বেসড ডিজাইন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও বিভিন্ন অপারেশনাল গবেষণায় আগামীদিনে দু’পক্ষ হাতে হাত রেখে গবেষণা চালিয়ে যাবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও AI যে আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে, তা মানছেন উভয়পক্ষের বিশেষজ্ঞরা।
রঞ্জন চন্দ