*মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের মাছ ইলিশ। সেই ইলিশের জন্য বছরভর অপেক্ষায় থাকে খাদ্যরসিক বাঙালি। তবে এ বছর প্রকৃতির খামখেয়ালি নিয়ে চিন্তায় সকলেই। সামনেই জামাইষষ্ঠী, জামাইয়ের পাতে কি পড়বে ইলিশ? তা নিয়ে চিন্তায় শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে মাছ বিক্রেতা সকলেই। সংগৃহীত ছবি।*বর্ষার দেখা নেই। প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে সমুদ্র হোক বা নদীতে ইলিশ কতটা মিলবে তা নিয়ে যেমন মৎস্যজীবীরা চিন্তায়, তেমনই চিন্তায় মাছ বিক্রেতারা। সংগৃহীত ছবি।*বঙ্গের বেশিরভাগ ইলিশ দিঘার সমুদ্র থেকে ওঠে। কিন্তু ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ১২ জুন জামাইষষ্ঠী পড়ায় বাজারে ইলিশের দেখা মিলবে কি না, তা নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। প্রজননের জন্য দু-মাস সমুদ্র ও নদীতে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্য মৎস্য দফতরের। তাই মাছ ধরতে যেতে পারেনি মৎস্যজীবীরা। সংগৃহীত ছবি।*একদিকে নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালি। ফলে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও মৎস্যজীবীদের জালে মাছের দেখা মিলবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। ১২ জুন জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠীতে কি বাজারে মিলবে ইলিশ? তা ভাবাচ্ছে সকলকে। ইতিমধ্যে আম, লিচু, কাঁঠালের দেখা মিললেও দেখা নেই ইলিশের। সংগৃহীত ছবি।*মাছ বিক্রেতা সুজয় দাস জানান, ‘এই সময় কম বেশি ইলিশ পাওয়া যেত কিন্তু এ বছর আড়তে ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েক বছর আমরা দিঘার ইলিশ পাচ্ছি না। বাংলাদেশের কিছু ইলিশ বাজারে আসে। তবে দাম অনেক বেশি। ফলে ব্যবসা হয় না। সংগৃহীত ছবি।*এবারে এখনও ইলিশের দেখা নেই। জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে খাওয়ানো বাঙালিদের প্রাচীন রীতি। সেই জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ে পাতে ইলিশ তুলে দেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়। সংগৃহীত ছবি।*পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মাছ বাজারের চিত্র একই। বাজারে অন্যান্য মাছ থাকলেও ইলিশের দেখা নেই। মৎস্যজীবীদের মতে, আবহাওয়ার খামখালীপনায় দিন দিন ইলিশের দেখা নেই। সংগৃহীত ছবি।*দিঘায় সেভাবে ইলিশ উঠছে না। যদিও এ বছর মাছ ধরার মরশুম শুরু হয়নি। তবে বেশ কিছু মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, স্টোরে ইলিশ রয়েছে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাজারগুলিতে বাংলাদেশি ইলিশের সঙ্গে স্টোরের ইলিশ আসবে। সংগৃহীত ছবি।