ED Reached Wrong House: তদন্ত করতে চুঁচুড়ার ভুল বাড়িতে ইডি, ক্যানসার আক্রান্তের পরিবার চাইছে ক্ষতিপূরণ

চুঁচুড়া: সকাল-সকাল তদন্ত করতে একজনের বাড়িতে যেতে গিয়ে অন্যের বাড়িতে হানা দিয়ে বসল ইডি৷ আর এক সন্দীপ সাঁধুখার বাড়ি যেতে গিয়ে গেল অন্য সন্দীপ সাঁধুখার বাড়ি৷ ক্যানসার আক্রান্ত সেই সন্দীপ ও তাঁর পরিবার তো আকাশ থেকে পড়লেন৷ যদি ভুল কাটল আধঘণ্টার মধ্যেই৷ তবুও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এ হেন ভুলে বেজায় চটেছেন তাঁরা৷ বলেছেন, মানহানির মামলা করবেন আদালতে৷

মঙ্গলবার যার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে পৌঁছয় ইডি, তিনি একজন ক্যানসার আক্রান্ত ও একটি লজেন্সের কারখানা চালান৷ সেখানে ইডি আধিকারিকরা ওয়ারেন্ট দেওয়ার পর সেই ব্যক্তির ছেলে বলেন, তাঁর বাবার নামের যে বানান, ওয়ারেন্টে সেই বানান নেই৷ প্রাথমিক সন্দেহর সেই অবকাশকে আমল দেয়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ আধিকারিকরা ঘরে ঢুকে পড়েন৷ কিন্তু একাধিক ক্রমে তাঁরা কথা বলার পর বুঝতে পারেন তাঁরা ভুল জায়গায় এসে গিয়েছেন৷ যে সন্দীপ সাঁধুখার বাড়িতে তাঁদের যাওয়ার কথা, সেখানে তাঁরা আসেননি৷ সকাল ন’টায় এই বাড়িতে পৌঁছে গিয়েও তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান৷

প্রশ্ন উঠছে, সাধারণত কোথাও রেড করতে গেলে, বাড়ির মালিকের নামের পাশাপাশি, মিলিয়ে দেখা হয় মালিকের বাবার নামও৷ এ ক্ষেত্রে বাবার নাম মেলেনি৷ তাও ইডির আধিকারিকরা বাবার নাম মিলিয়ে দেখেননি কেন? ভুল যে ঠিকানায় রেড করতে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা, সেই সন্দীপ সাঁধুখার বাবার নাম শচীন সাঁধুখা, আর যার বাড়িতে আসলে যাওয়ার কথা তাঁর বাবার নাম অমল সাঁধুখা৷

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, যে বাড়িতে ভুল করে ইডি আধিকারিকরা গিয়েছিলেন, সেই বাড়ির সন্দীপ সাঁধুখার ছেলে বলেন, এতে আমাদের মানহানী হয়েছে, প্রয়োজন পড়লে আমরা আদালতে যাব৷ শুধু তাই নয়, পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে নিউটাউনের ক্যানসার হাসপাতালে সেই সময়ে এই সন্দীপের কেমোথেরাপি নিতে যাওয়ার কথা ছিল৷ সেটিও অনেকটা দেরি হয়ে যায় এই ঘটনার কারণে৷ যদিও এই বিষয়ে ইডির তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি৷

আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে এক্ষেত্রে৷ যে বাড়িতে ভুল করে ইডি গিয়েছিল, সেই সন্দীপ সাঁধুখার বাড়ি চুঁচুড়া থানা এলাকার ময়নাডাঙায়৷ এ দিকে যে বাড়িতে আসলে যাওয়ার কথা ছিল, সেই সন্দীপ সাঁধুখার বাড়ি চন্দননগর থানা এলাকায়৷ তবে দুই বাড়ির দূরত্ব ১ কিলোমিটার৷