হেমচন্দ্র কানুনগো 

Independence Day Special: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক ধাত্রীভূমি এই জায়গা! যা ঘটেছিল, জানলে গর্বে বুক ফুলে উঠবে

পশ্চিম মেদিনীপুর: হেমচন্দ্র কানুনগো পরাধীন ভারতবর্ষে বিদেশে গিয়ে বোমা তৈরির কৌশল শিখেছিলেন। তিনি জন্মেছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরে। যিনি একাধারে অঙ্কন প্রশিক্ষক এবং অন্যদিকে, সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম বীর বিপ্লবী।

দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে যাঁর কারাবাস হয়েছিল, তিনি জন্মেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লকের রাধানগর গ্রামে। তবে তাঁর বাড়ি থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই তাঁর মামাবাড়ি। সেখানেও তিনি কাটিয়েছেন তাঁর ছেলেবেলা। মামা বাড়িতে থেকেও সংগঠিত করেছিলেন যুবকদের। জানেন কোথায় তাঁর মামারবাড়ি? কতটাইবা আদরের ছিলেন তিনি?

আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ, দেশত্যাগী হাসিনা! বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ভারত! সীমান্তে যা ঘটছে…

পরাধীন ভারতবর্ষের ভারতের জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো। তিনি প্রথম বাঙালি যিনি প্যারিসে গিয়ে শিখেছিলেন বোমা তৈরির কৌশল। তার তৈরি বোমা ক্ষুদিরাম বোস এবং প্রফুল্ল চাকি অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে মারতে ব্যবহার করেছিলেন। তাঁকে বলা হয় পাইওনিয়ার অফ আর্ম রেভেলিউশন। কিন্তু জানেন কি বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো ছিলেন তাঁর মামাবাড়ির খুব আদরের। অনেক সময় তিনি কাটিয়েছেন মামাবাড়িতে।

আরও পড়ুন: এই একটি ফল নিয়ে বিমানে ওঠা নিষেধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! জানেন কোন ফল?

মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের খণ্ডরুই এলাকায় রয়েছে হেমচন্দ্র কানুনগোর মামার বাড়ি। হেমচন্দ্র কানুনগোর মামারবাড়িতে ছিল জমিদাররাজ। এলাকায় ছিল জমিদার বাড়ি। সেখানে তিনি যেতেন বহুবার। এখনও তার মামার বাড়ি সামান্য কিছু ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। রয়েছে পরিবারের উত্তর পুরুষেরা। পরিবার সূত্রে খবর এবং ইতিহাসবিদেরা মনে করে হেমচন্দ্র কানুনগো মামার বাড়িতে বসেও বিপ্লবী কার্যকলাপ চালিয়েছেন। এখানে এলাকার তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি। করেছিলেন সংগঠনও।

পরে আলিপুর বোমা মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, বিচারে তাঁর দ্বীপান্তর হয়। ফিরে এসে শেষ বয়স কাটিয়েছিলেন নিজের বাসভূমিতে। আসতেন মামার বাড়ি। হেমচন্দ্রের কৃতিত্বে এবং বৈপ্লবিক চিন্তা ধারায় গর্বিত মামার বাড়ির উত্তর পুরুষেরা। সামনে স্বাধীনতা দিবস, জানুন ভারতবর্ষের প্রথম জাতীয় পতাকার রূপকারের ইতিহাস।

রঞ্জন চন্দ