iPhone-এর নিরাপত্তায় বড়সড় ভুল! যে কোনও সময় হ্যাক হতে পারে! জানুন

iPhone: কিছুদিন আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আইফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সেই নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। এবার আইফোন ইউজারদের সতর্ক করল গুগল। টেক জায়ান্ট সংস্থা জানিয়েছে, নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক রয়েছে। সেই ফাঁক গলেই স্পাইওয়্যার দিয়ে আইফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে সরকারি হ্যাকাররা। তবে কোন দেশের সরকার এই চেষ্টা করেছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

সম্প্রতি গুগলের থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ এই নিয়ে আইফোন ইউজারদের সতর্ক করেছে। থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ হ্যাকিং নিয়ে জনসাধারণ অবহিত করে। গতবার পেগাসাস নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। এবার থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ ‘ভ্যারিস্টন’ নামের একটি স্প্যানিশ স্টার্ট আপ সংস্থার কথা জানিয়েছে। এরা আইফোন ইউজারদের ডেটা চুরি করতে একটি বিশেষ স্পাইওয়্যার তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে গুগল।

থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ সরকারের হয়ে কাজ করে এমন একটি হ্যাকারদের গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করেছে যারা জিরো ডে ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই বিষয়ে অর্থাৎ জিরো ডে ইস্যু সম্পর্কে অ্যাপল কিছুই জানত না। ২০২২ সাল থেকে একাধিক ম্যালওয়্যার বিশ্লেষণের পর গুগল ‘ভ্যারিস্টন’ স্টার্ট আপের কাজকর্ম সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। তখনই জানা যায় এই সব তথ্য।

সাধারণত আইফোন ইউজাররা কী কী নিরাপত্তা সংক্রান্ত হুমকির মুখে পড়তে পারেন, সে সম্পর্কে অ্যাপল ওয়াকিবহাল। ত্রুটি সংশোধনে প্যাচ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু জিরো ডে থ্রেট গুগল, অ্যাপলের মতো টেক জায়ান্টদের কাছেও উদ্বেগের। বড়সড় ত্রুটি আটকাতে বড় কোম্পানিগুলির একে অপরকে সাহায্য করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেক টেক বিশেষজ্ঞ। এখন প্রশ্ন হল, জিরো ডে অ্যাটাক অন্যদের চেয়ে কোথায় আলাদা? হ্যাকাররা কীভাবে এটাকে কাজে লাগাচ্ছে?

আরও পড়ুন: খালি পেটে এই ওষুধ খাচ্ছেন? এই পাঁচ ভুলেই নষ্ট হতে পারে কিডনি ! জানুন চিকিৎসকের মত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকাররা এসএমএসের মাধ্যমে আইফোনে লিঙ্ক পাঠায়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ডিভাইসের অ্যাক্সেস চলে আসে হ্যাকারদের হাতে। তখন দেদার ডেটা চুরি চলে। তবে ভ্যারিস্টনের তৈরি স্পাইওয়্যার কারা ব্যবহার করছে, সেই বিষয়ে প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে সরকারি নেটওয়ার্কের কথা জানানো হয়েছে। ভ্যারিস্টন ছাড়াও, গুগল সাই৪গেট, আরসিএস ল্যাব এবং নেগের মতো স্পাইওয়্যার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকটি সংস্থাকে ট্র্যাক করছে।