MS Dhoni: ৪ বলের ধোনি ঝড়ে খড়কুটোর মত উড়ে গেল হার্দিক! বুঝিয়ে দিলেন..বাঘ বুড়ো হলেও শিকার করতে ভোলে না

মুম্বই: ওয়াংখেড়েতেই ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ৬ মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেছিলেন এমএস ধোনি। সেই মুহূর্তটা ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থেকে গিয়েছে। মাঝে কেটে গিয়েছে এক যুগের বেশি সময়। এবারই হয়তো শেষবারের মত ওয়াংখেড়েতে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন ধোনি। সিএসকের ইনিংসের শেষ চার বল বাকি থাকতে যখন মাঠে পা পড়ে মাহির, তখন সাউন্ড মিটার বলছে ওয়াংখেড়ের শব্দব্রহ্ম ১২৫ ডেসিবেল ছাড়িয়েছে। আর তারপর যেটা ঘটালেন বছর ৪২-এর বুড়ো লোকটা তা ২০১১-র মতই বহুকাল হৃদয়ে থেকে যাবে বাণিজ্যনগরী তথা ক্রিকেট বিশ্বের।

শেষ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বোলিং করছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ধোনিকে গুরু মানলেও মাঠের লড়াইতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চাননি পান্ডিয়া। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন অপর দিকে ব্যাট হাতে লোকটার নাম এমএস ধোনি। বাঘ বুড়ো হলেও যে রক্তের স্বাদ পেলে শিকার করতে এতটুকু ভুল করে না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওয়াংখেড়েতে ধোনি ঝড়ে খুড়কুটোর মত উড়ে গিয়েছেন হার্দিক। গুরুমারা বিদ্যা যে এখনও তিনি শিষ্যকে শেখাননি তা ওই ৪টে বলেই বুঝিয়ে দিলেন মহেন্দ্র ‘বাহুবলী’ ধোনি।

শেষ ওভারে তৃতীয় বলে ধোনিকে স্লোয়ার করেন হার্দিক। নিজের পেশি শক্তির পরিচয় দিয়ে সেই বল লং অফের উপর দিয়ে স্টেডিয়ামে ফেলেন ধোনি। তারপরের বল কিছুটা ধোনির ট্রেডমার্ক হেলিকপ্টার শটের মত খেলে লং অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারি পার। হার্দিকের চোখ-মুখ তখন সাফ বলে দিচ্ছিল এমনটা তিনি কল্পনাও করতে পারছেন না। তৃতীয় বলে নার্ভাস হার্দিক ধোনির পায়ে ফুলটস দেন। স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে তাও মাঠের বাইরে। শেষ বলে ২ রান করেন ধোনি।

আরও পড়ুনঃ KKR News: সফল গৌতম গম্ভীরের মাস্টার প্ল্যান! কেকেআর পেল আরও এক নতুন ম্যাচ উইনার

মাত্র ৪ বলে ২০ রান করেন ধোনি। স্ট্রাইক রেট ৫০০। ধোনির এই ব্যাটিং তাণ্ডবের ভিডিও ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়। এমন ঝলক দেখে তখন গোটা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কুর্নিশ জানায় এমএসধোনি। ২০১১-র স্মৃতিও যেন আরও একবার উস্কে দিলেন মাহি। একইসঙ্গে এই ইনিংস বুঝিয়ে দিলেন এমএস ধোনিরা কোনওদিন ফুরিয়ে যায় না। ফুরিয়ে যেতে পারে না।