মা ও বাবার সঙ্গে সৌমাভ

ISCE Class 10 Result 2024: ছিল না কোনও গৃহশিক্ষক! আইসিএসইতে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলার সেরা সৌমাভ

কোচবিহার: আইসিএসই বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোচবিহার থেকে দারুণ ফল করল এক কৃতী ছাত্র। সেন্ট মেরিজ স্কুলের ছাত্র সৌমাভ প্রধান ছোট থেকে মেধাবী পড়ুয়া। এবার তাঁর সাফল্য এক নতুন পালক যুক্ত করল কোচবিহারের সাফল্যের মুকুটে। মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৫ পেয়েছে সে। তাই এই নম্বরের নিরিখে মোট শতাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৯ শতাংশ। জেলার কৃতি সৌমাভর স্বপ্ন ভবিষ্যতের দিনে চিকিৎসক হয়ে ওঠার। আপাতত তাই সেই প্রস্তুতির পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে সে। নিট পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে তাঁর। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সে ভর্তি হতে চলেছে কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলে ।

আরও পড়ুনঃ ছেলেদের থেকে পাশের হারে সামান্য পিছিয়ে মেয়েরা, HS-এর মেধাতালিকায় চমকে দিল প্রতীচী-স্নেহা

সৌমাভর বাবা কৌশিক প্রধান উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক। মা গৃহবধূ। তবে ছেলের পড়াশোনার জন্য চাকরির পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলেন সৌমাভের মা। সৌমাভ প্রধান জানায়, “দিনে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। তবে তাঁর কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। মূলত তাঁর মা নিজেই পড়াশোনায় সাহায্য করত তাঁকে। পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়ার পাশাপাশি পরীক্ষার আগে প্রচুর মক টেস্ট দিয়েছিল সে। তাই তাঁর পক্ষে পরীক্ষায় ভাল ফল করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাঁর বাবাও তাঁকে যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছেন ভাল ফল করার জন্য।”

সৌমাভের মা সোমা প্রধান জানান, “ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল। ফলে খুব একটা বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে। স্কুলের শিক্ষকদের পড়াশোনার পাশাপশি তিনি ছেলেকে কিছুটা সাহায্য করেছেন। তবে ভবিষ্যতে ছেলে ডাক্তার হতে চায়। সেইজন্য সেই প্রস্তুতি শুরু করেছে সে ইতিমধ্যেই।” সৌমাভের বাবা কৌশিক প্রধান জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসার পর সময় বলে খুব একটা কিছু থাকতো না। তাই ছেলেকে তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে খুব একটা সাহায্য করতে পারেননি তিনি। তবে ছেলেকে মূল্যবোধের বিষয়গুলি তিনি বোঝাতে পেরেছেন। তিনি চান ছেলে একজন ভাল মানের মানুষ হয়ে উঠুক।”

তবে, পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে কোচবিহারের নজরকাড়া পর। আবারও এই সাফল্য কোচবিহারের নাম উজ্জ্বল করেছো অনেকটাই। কোচবিহারের সাফল্যের মুকুটে একের পর এক পালক যুক্ত হচ্ছে। মূলত এই কারণেই কোচবিহারবাসীরা বর্তমান সময়ে রীতিমতো আনন্দে রয়েছেন।

Sarthak Pandit