Tag Archives: ICSE Class 10th 2024 Result

ICSE Result 2024: আইসিএসই-তে দেশের মধ্যে চতুর্থ! ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের পাশে থাকতে চান পূর্বাশা

হাওড়া: ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের পাশে থাকার স্বপ্ন দেখছে ছোট্ট পূর্বাশা। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে আইসিএসই দশম শ্রেণি এবং আইএসসি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল। দুই পরীক্ষাতেই সার্বিক পাশের হারে ছেলেদের পিছনে ফেলে দিয়েছে মেয়েরা। দশমে দেশে চতুর্থ এবং বাংলায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে চমকে দিয়েছে পূর্বাশা।

পূর্বাশার স্বপ্ন সে ডাক্তার হবে। এ বছর দশম শ্রেণির পরীক্ষার পাশের হার ৯৯.৪৭ শতাংশ। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে পূর্বাশা চক্রবর্তী। আইসিএসইতে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় এবং ভারতের মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে সে। ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৬ নম্বর পেয়ে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই কৃতিত্বের জন্য বাবা-মায়ের পাশাপাশি তাঁর স্কুল হাওড়ার ‘ডিভাইন মার্সি স্কুল’এর শিক্ষক -শিক্ষিকাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন পূর্বাশা।

আরও পড়ুন:  ‘সন্দেশখালির বেলুনে আলপিন..,’ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ভিডিও নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ, কী বললেন অভিষেক?

ভাল ফলাফলের পর বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে চিকিৎসক হতে চায় সে। গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় ছোট্ট পূর্বাশা। চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে বহুদূর যেতে হয় গ্রামবাসীদের। স্কুলের শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তী জানান, প্রত্যন্ত গ্রামে থেকেও যে ভাল ফল করা যায়, তা প্রমাণ করল পূর্বাশা। আইসিএসই-তে ওর প্রাপ্ত নম্বর স্কুলের বিগত দিনের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। পূর্বাশার বাবা একজন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। তাঁর মা-বাবারও স্বপ্ন সে ডাক্তার হোক।

ISCE Class 10 Result 2024: ছিল না কোনও গৃহশিক্ষক! আইসিএসইতে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলার সেরা সৌমাভ

কোচবিহার: আইসিএসই বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোচবিহার থেকে দারুণ ফল করল এক কৃতী ছাত্র। সেন্ট মেরিজ স্কুলের ছাত্র সৌমাভ প্রধান ছোট থেকে মেধাবী পড়ুয়া। এবার তাঁর সাফল্য এক নতুন পালক যুক্ত করল কোচবিহারের সাফল্যের মুকুটে। মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৫ পেয়েছে সে। তাই এই নম্বরের নিরিখে মোট শতাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৯ শতাংশ। জেলার কৃতি সৌমাভর স্বপ্ন ভবিষ্যতের দিনে চিকিৎসক হয়ে ওঠার। আপাতত তাই সেই প্রস্তুতির পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে সে। নিট পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে তাঁর। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সে ভর্তি হতে চলেছে কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলে ।

আরও পড়ুনঃ ছেলেদের থেকে পাশের হারে সামান্য পিছিয়ে মেয়েরা, HS-এর মেধাতালিকায় চমকে দিল প্রতীচী-স্নেহা

সৌমাভর বাবা কৌশিক প্রধান উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক। মা গৃহবধূ। তবে ছেলের পড়াশোনার জন্য চাকরির পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলেন সৌমাভের মা। সৌমাভ প্রধান জানায়, “দিনে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। তবে তাঁর কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। মূলত তাঁর মা নিজেই পড়াশোনায় সাহায্য করত তাঁকে। পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়ার পাশাপাশি পরীক্ষার আগে প্রচুর মক টেস্ট দিয়েছিল সে। তাই তাঁর পক্ষে পরীক্ষায় ভাল ফল করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাঁর বাবাও তাঁকে যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছেন ভাল ফল করার জন্য।”

সৌমাভের মা সোমা প্রধান জানান, “ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল। ফলে খুব একটা বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে। স্কুলের শিক্ষকদের পড়াশোনার পাশাপশি তিনি ছেলেকে কিছুটা সাহায্য করেছেন। তবে ভবিষ্যতে ছেলে ডাক্তার হতে চায়। সেইজন্য সেই প্রস্তুতি শুরু করেছে সে ইতিমধ্যেই।” সৌমাভের বাবা কৌশিক প্রধান জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসার পর সময় বলে খুব একটা কিছু থাকতো না। তাই ছেলেকে তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে খুব একটা সাহায্য করতে পারেননি তিনি। তবে ছেলেকে মূল্যবোধের বিষয়গুলি তিনি বোঝাতে পেরেছেন। তিনি চান ছেলে একজন ভাল মানের মানুষ হয়ে উঠুক।”

তবে, পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে কোচবিহারের নজরকাড়া পর। আবারও এই সাফল্য কোচবিহারের নাম উজ্জ্বল করেছো অনেকটাই। কোচবিহারের সাফল্যের মুকুটে একের পর এক পালক যুক্ত হচ্ছে। মূলত এই কারণেই কোচবিহারবাসীরা বর্তমান সময়ে রীতিমতো আনন্দে রয়েছেন।

Sarthak Pandit

ICSE Result 2024: ICSE-তে নজর কাড়া সাফল্য উত্তরবঙ্গের! রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম ওদলাবাড়ির স্বপ্নজিৎ!

জলপাইগুড়ি: আইসিএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকার করল মালবাজারের স্বপ্নজিৎ বিশ্বাস। মাল মহাকুমার ওদলাবাড়ি ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র স্বপ্নজিৎ পরীক্ষায় ৯৯.৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম হওয়ার পাশাপাশি সারা দেশে সম্ভাব্য তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে এই কৃতীছাত্র, দাবি স্কুলের প্রিন্সিপালের। স্বপ্নজিতের সাফল্যে গর্বিত স্কুল এবং তার প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুনঃ বাবা রাজনৈতিক কর্মী, মা গৃহবধূ! মাধ্যমিকের ফল বেরতেই উদয়নকে ঘিরে উচ্ছ্বাস বালুরঘাটে

মালবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলোনির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সুব্রত বিশ্বাস ও জয়শ্রী করের একমাত্র সন্তান স্বপ্নজিৎ ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। এই সাফল্যের পর মা-বাবা এবং স্কুলের শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এই কৃতীছাত্র। কৃতি ছাত্র স্বপ্নজিৎ জানিয়েছে, বাড়িতে বাবা-মা তাকে পড়াতেন। তেমনভাবে প্রাইভেট টিউশন পড়িনি। টেক্সট বুক ভাল করে পড়েছি। লেখাপড়ার জন্য তেমন বাঁধাধরা সময় ছিল না। পড়াশোনার পাশাপাশি আর আগ্রহ রয়েছে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায়।

শিলিগুড়ির সেন্ট মাইকেলস স্কুলের দুই ছাত্র মানব মোতানি এবং বিবেক আগরওয়াল। দু’জনেই ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। দু’জনের এই সাফল্যে খুশির জোয়ার গোটা পরিবারে। মানব এবং বিবেক দু’জনেরই বাড়ি বিহারে । তারা শিলিগুড়িতে স্কুলের বর্ডিংয়ে থাকত। বর্তমানে মানব দিল্লিতে আইআইটি-র জন্য কোচিং নিচ্ছে। অন্যদিকে, বিবেক দিল্লিতে সায়েন্স নিয়ে একটি স্কুলে পড়ছে।

সুরজিৎ দে ও অনির্বাণ রায়

ICSE Class 10th 2024 Result : প্রকাশিত এ বছরের ICSE পরীক্ষার ফল, ছাত্রদের টেক্কা দিল ছাত্রীরা, জানুন বাংলার পরীক্ষার্থীদের সাফল্য

নয়াদিল্লি: প্রকাশিত হল এ বছরের আইসিএসই পরীক্ষার ফল। সোমবার সকাল ১১ টায় সাংবাদিক বৈঠক করে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করে দ্য কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন বা সিআইএসসিই। এদিনই CISCE-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট cisce.org থেকে মার্কশিট ডাউনলোড করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। এ বছর সার্বিকভাবে ICSE-তে পাশের হার ৯৯.৪৭ শতাংশ। ICSE-তে ছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য ফল করেছে ছাত্রদের তুলনায়। ছাত্রীদের পাশের হার ৯৯.৬৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাশের হার ৯৯.৩১ শতাংশ।

বাংলা থেকে এ বছর ICSE পরীক্ষায় বসেছিল মোট ৪২,৩৭২ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ছিল ২৩, ২১৪ এবং ছাত্রীর সংখ্যা  ১৯, ১৫৮ জন। এ রাজ্যে ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৯৯.৪১ শতাংশ। ছাত্রদের মধ্যে সফল হয়েছে ৯৯.০৭ শতাংশ। রাজ্যে সার্বিক সাফল্যের হার ৯৯.২২ শতাংশ।

আরও পড়ুন : প্রকাশিত হল ISC-র ফলাফল, দ্বাদশের ফলে পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, রাজ্যের ফল কেমন হল?

এ বছর ICSE দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২১ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা চলেছিল ২৮ মার্চ পর্যন্ত। ISC বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা চলেছিল ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতি বিষয়ে এবং সার্বিক মোট নম্বরে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ বা গ্রেড ডি পেতেই হবে পরীক্ষার্থীকে। এর থেকে কম পেলে তাকে অনুত্তীর্ণ বলে ধরে নেওয়া হবে। পরের বছর তাকে ফের বসতে হবে পরীক্ষায়। গত বছর ICSE দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯৮.৯৪% । ২০২৩-এর তুলনায় এ বছর সামান্য হলেও বাড়ল পাশের হার।