দর্শনার্থীদের ভিড়

Old Tradition: গাছে পাথর বাঁধলে ‘পূরণ হয় মনস্কামনা’-এই বিশ্বাসে জঙ্গল পেরিয়ে আজও মানুষের ঢল এই মন্দিরে

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি  : বইছে ফাগুনের হাওয়া। রঙিন আমেজের মাঝেই অক্ষুণ্ণ রয়েছে উত্তরের লোকাচার, রীতিনীতি। উত্তরের পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘেরা জলপাইগুড়ি জেলার আনাচে কানাচে আজও বহমান রয়েছে স্থানীয় লোকাচার এবং স্থানীয় দেবদেবীর পুজো অর্চনার ধারাবাহিকতা। তারই অন্যতম বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল ঘেষা লোটা দেবীর মন্দির।পূর্ণিমার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি আসাম মোড় সংলগ্ন করলা ভ্যালি লোটাদেবী মন্দিরে ৬৭ তম কালী পুজো শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে মন্দির চত্বরে নেমেছে ভক্তদের ঢল। মূলত করলা নদী পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। ওই স্থানে করলায় নেই কোনও সেতু। পুজোকে কেন্দ্র করে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী মেলাও।

প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় লোটাদেবী কালীর বাৎসরিক পুজোর সময় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি পুকুর। এটি লোটাদীঘি নামে পরিচিত। মন্দিরের মায়ের পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ওই পুকুরে দুধ ঢেলেও পুজো দেন ভক্তরা। করলা নদীর উপর অস্থায়ী সেতু পেরিয়েই শয়ে শয়ে দর্শনার্থী আসছেন লোটা দেবী কালি মন্দিরে। আট থেকে আশির ভিড় উপরে পড়েছে এই প্রাচীন পুজো এবং মেলা ঘিরে।

আরও পড়ুন : কলা খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে? ডায়াবেটিসে কলা খাওয়া চরম ক্ষতিকর? জানুন

পাশাপাশি, মেলায় জলপাইগুড়ি ব্রহ্মকুমারী সেন্টারের ভাই বোনের দ্বারা প্রদর্শনী স্টলেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্ব শান্তি কামনার লক্ষ্যে ব্রহ্মকুমারীর সেন্টারের পক্ষ থেকেও চলছে প্রচার । মেলা কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান ঘিরে দর্শনার্থী এবং মেলায় আগত দূরদূরান্ত মানুষের মধ্যে উন্মাদনাও দেখার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ অসম, মেঘালয়, বিহার থেকেও বহু পুণ্যার্থী এই পুজো ও মেলায় আসেন। মেলায় স্থানীয় ও বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র ও খাবারের দোকান দিয়েছেন। মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা ও বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। পুজো ও মেলা উপলক্ষে পুরো চত্বরটি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।