বাঁশির সুর 

Pied Piper of Dooars: তাঁর সুরে বশ বনের হাতি থেকে ময়ূর! ডুয়ার্সের এই বাঁশিওয়ালা মন জয় করে নেন বিদেশি পর্যটকদেরও

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: এই বাঁশির আওয়াজেই শান্ত হয় জংলি হাতি, আর নেচে ওঠে ময়ূর। ভাবছেন এ কেমন বাঁশির আওয়াজ, যাতে বন্য হাতি পর্যন্ত শান্ত হয়ে যাচ্ছে? ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘেরা বুধুরাম বন বস্তির আদিবাসী শিল্পী সুকুমার ওঁরাও ঠিক এমনই মনোমুগ্ধকর বাঁশির তালে মন জয় করে নেন পর্যটক থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণীদেরও। ডুয়ার্স ঘুরতে আসা স্থানীয় পর্যটক, এমনকি বিদেশি পর্যটকদেরও মন জয় করে নেয় সুকুমারের বাঁশির সুর।

সুকুমার বাশির সুর তুলতে শুরু করলেই বিদেশি পর্যটকেরা যেখানেই থাকুন না কেন, ঠিক খুঁজে বের করে সুকুমারকে। বলা যেতেই পারে, সুকুমারের বাঁশির টানেই বারবার এই গ্রামে ছুটে আসেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, একসময় গরুমারা জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ শাখার বনাধিকারিকের উদ্যোগে বনবস্তিতে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন একটি সাংস্কৃতিক দল। সেই থেকেই বাঁশিতে ফুঁ দেওয়া শুরু বনবস্তির বাসিন্দা সুকুমার ওঁরাও-এর।

আরও পড়ুন : সস্তায় কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ রাখতে চান হার্ট? রোজ পান করুন টুকটুকে এই লাল রস

সময়ের সঙ্গে বনবস্তিবাসীদের সাংস্কৃতিক দল ভেঙে গিয়ে প্রায় বিলুপ্ত হলেও, আজও দু’বেলা বাঁশিতে সুর তুলে জঙ্গলে থাকা বন্যপ্রাণীদের শান্ত রাখার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বুধিরাম বন বস্তির আদিবাসী শিল্পী সুকুমার ওঁরাও। এদিকে, সুকুমারের কথায়, বাবা-ঠাকুরদার স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন এই বাঁশির সুরের মধ্য দিয়ে। এক সময় তার বাবা ঠাকুরদাও বেশ ভাল বাঁশি বাজাতেন। নিছকই নিজের মতো বাঁশি বাজাতে বাজাতে কখন যে তিনি আদিবাসী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তা এখন তাঁর নিজের কাছেই অবাক করা। এখন গ্রামে কিংবা স্থানীয় কোথাও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেই ডাক পড়ে সুকুমারের। ধামসা মাদলের সঙ্গে সুমধুর বাঁশির সুর মুগ্ধ করে তোলে পর্যটকদের। পাশাপাশি মুগ্ধ হয়ে শোনে বন্য প্রাণীরাও।