Tag Archives: Wild Animal

Bull Panic: ষাঁড়ের ভয়ে পগারপার! বাড়ির বাইরে বেরোতে চাইছে না কেউ

হুগলি: ষাঁড়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। রাস্তায় বেরোলেই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে, এই বুঝে পিছন থেকে এসে গুঁতিয়ে দিল! ষাঁড়ের এমন দাপটে বেশ কিছু দিন ধরে আতঙ্কিত বলাগড়ের চরকৃষ্ণবাটি পঞ্চায়েতের বেনালিচর এবং পদ্মডাঙা গ্রামের মানুষ। বাড়ির গবাদি পশু দেখলেও আক্রমণ করছে ষাঁড়টি।

ঘাঁড়ের এই তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে পঞ্চায়েতে গণস্বাক্ষর করা দরখাস্ত জমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাতে আবেদন করা হয়েছে, প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে যেন ষাঁড়টিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। হুগলির এই গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, ষাঁড়টির মাথায় ক্ষত রয়েছে। তা নিয়েও উদ্বেগে গ্রামবাসীরা। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আর্জিও তাঁরা জানিয়েছেন। একই মর্মে ই-মেল করা হয়েছে জেলাশাসক, হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এসপি, বলাগড়ের বিডিও, ব্লক পশুপালন আধিকারিককে। বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় থানাকেও।

আর‌ও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীর বেচাকেনা পণ্ড, বাজারের মালিকানা নিয়ে সাতসকালে দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার

গ্রামবাসীরা জানান, এলাকায় আগে দুটি ষাঁড় ঘুরে বেড়াত। কয়েক মাস ধরে আরও একটি কালো ষাঁড় এসেছে। আগে দুটি লাল ষাঁড় ফসলের ক্ষতি করেছে। তবে তার থেকেও বেশি চিন্তা কালো ষাঁড়টির মেজাজ নিয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ষাঁড়ের শিংয়ের গুঁতোয় এক জনের হাত কেটেছে। তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে পাঁচ জন পড়ে আহত হয়েছেন।বেনালিচরের বাসিন্দা দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, মাসখানেক আগে আসা কালো ষাঁড়টাকে নিয়ে আমরা খুব আতঙ্কে আছি। প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। ব্লক থেকে জেলাস্তর সকল জায়গায় জানিয়েছি ই-মেল মারফত।

আরও এক বাসিন্দা মাম্পি বিশ্বাস বলেন, আমরা ষাঁড়ের আতঙ্কে বাইরে বেড়োতে পারছি না। তাড়া করছে, মারছে। বাড়ির গবাদি পশু গুলোকে খেতে দিতে দেখলে তাদের উপর আক্রমণ করছে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ষাঁড়টিকে এখান থেকে নিয়ে যাক। বলাগড় ব্লক প্রাণিসম্পদ বিভাগের আধিকারিক বরুণ মৌলি ফোনে জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। হয়তো কেউ তাকে আগে আক্রমণ করেছে, তার শিং ধরে ভেঙে দিয়েছে। তাই সে মানুষকে ভয় পেয়ে নিজের আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণ করছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ওটাকে ধরে আগে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করতে হবে।

রাহী হালদার

Leopard Panic: লোকালয়ে চিতাবাঘ! আতঙ্ক ছড়াতেই খাঁচা পাতল বন দফতর

জলপাইগুড়ি: আবারও চিতাবাঘের আতঙ্ক জেলায়। ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশির ডাঙায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি বেশ গুরুতর হয়ে ওঠায় নড়েচড়ে বসতে হয়েছে বন দফতরকে।

ময়নাগুড়ির গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা চিতাবাঘ দেখতে পেয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছে মানুষজন। পরিস্থিতির সামলাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রামসাই ওয়াইল্ড লাইফের বনকর্মীরা। ময়নাগুড়ি থানার পক্ষ থেকে পুলিশ’ও গ্রামে গিয়েছিল। বনকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে এই আতঙ্কের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। তারপরই তাঁরা পদক্ষেপ করেন।

আর‌ও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে এসে সজোরে ধাক্কা, মাঝরাতে মৃত্যু চালক ও খালাসির

গ্রামবাসীদের কথামত চিতাবাঘ ধরতে এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে খাঁচা পাতা হয়। পাশাপাশি এলাকাবাসীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর। সেই সঙ্গে এলাকায় সতর্কবার্তা দিয়ে প্রচার শুরু করেছে বন দফতর। এদিকে এই ঘটনার পর চাষের জমিতে যেতে ভয় পাচ্ছেন এলাকার বহু কৃষক। সকলেই চাইছেন দ্রুত যেন বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে চিতাবাঘটি।

সুরজিৎ দে

Artificial Reservoir: তীব্র গরমে বন্যপ্রাণীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, জঙ্গলে বাড়ল কৃত্রিম জলাশয়

আলিপুরদুয়ার: আবার গরমের দাপট শুরু হয়েছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষের প্রাণ। ছাড় নেই উত্তরের মানুষদের‌ও। তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে। এতে শুধু মানুষ নয়, সমস্যায় পড়েছে বন্য প্রাণীরাও। গরমে বিভিন্ন জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীদের পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের কোর এরিয়াগুলিতে ৯ টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। বৈচিত্রময় বক্সা জঙ্গলে রয়েছে হাতি, বাইসন, হরিণ সহ নানান বন্য প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকার অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বক্সার জঙ্গলে। তার আগে বন্য প্রাণীদের তৃষ্ণা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।জঙ্গলের ভেতরে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম জলাশয়। জানা গিয়েছে প্রতিদিন ট্যাঙ্কার নিয়ে গিয়ে সেটা জলে পরিপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। শুধু জল নয়, তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে লবণ।

আর‌ও পড়ুন: সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! দাঁড়িয়েছিল নাবালিকা, হঠাৎ সব শেষ

বন্যপ্রাণীদের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি প্রসঙ্গে রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু মাঝি জানান, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি মানুষের। পশুদের‌ও একই অবস্থা, কিন্তু ওরা বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই গরমে যাতে বন্যপ্রাণীদের সমস্যা না হয় তার জন্য মেডিকেল টিমও তৈরি করেছে বন দফতর।

অনন্যা দে

Lok Sabha Election 2024: ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিপদ হবে না তো! জঙ্গল পথ নিয়ে আতঙ্কে বন বস্তিবাসীরা

জলপাইগুড়ি: বন্যপ্রাণের আতঙ্ক নিয়েই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছবেন বন বস্তিবাসীরা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গরুমারা জাতীয় উদ্যানের বিছাভাঙা বুথ। ভোটার রয়েছেন প্রায় পাঁচশো। এঁরা সবাই সুরসুতি, বামনি, বিছাভাঙা বনবস্তিবাসীগুলোর বাসিন্দা। এদিকে ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে বেশ ভয় আছে ভোটারদের মধ্যে।

বাসিন্দাদের কথায়, জঙ্গল পথে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেতে হয়। আগে জংলী প্রাণী বিশেষত হাতি সামনে থাকলেও কিছুই করত না। ছুটে আসত না বুনো মোষ বা বাইসন৷ এখন সময় বদলেছে। গাছগাছালি ক্রমেই কমে যাওয়ায় বেড়েছে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যের অভাব। মেজাজও বদলেছে তাদের। এখন মানুষ দেখলেই আক্রমণ করার প্রবণতা দেখা যায় জঙ্গলের হাতি, বাইসন, মোষদের মধ্যে। ফলে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিপদ না ঘটে, সেই আশঙ্কা কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

আর‌ও পড়ুন: রামপুরহাট স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ, পরনে শুধু প্যান্ট

এই প্রসঙ্গে লাটাগুড়ি বনাঞ্চলের ভূমিপুত্র তথা পরিবেশ কর্মী অনির্বাণ মজুমদার বনবস্তির বাসিন্দাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে বন্যপ্রাণীদের খাবার, পানীয় জল, বাসস্থানের উপর দখলদারি শুরু করায় এই বিপদ দেখা দিয়েছে বলে তাঁর অভিমত। তবে বর্তমানে বনবস্তির ভোটদাতাদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গাড়ি, টোটোর ব্যবস্থা করে। বিছাডাঙা প্রাথমিক স্কুলের বুথে মূলত ভোট দেন এই বন বস্তিবাসীরা। সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে বুথ সুরক্ষিত রাখার। ভোটকর্মীদের দেওয়া হবে চকলেট বোম ও টর্চ। সঙ্গে থাকছেন বনকর্মীরাও। এই এলাকায় ভোট সন্ত্রাস নয়, বন্যপ্রাণের ভয়ে ভোট দিতে‌ যান ভোটাররা।

সুরজিৎ দে

Pied Piper of Dooars: তাঁর সুরে বশ বনের হাতি থেকে ময়ূর! ডুয়ার্সের এই বাঁশিওয়ালা মন জয় করে নেন বিদেশি পর্যটকদেরও

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: এই বাঁশির আওয়াজেই শান্ত হয় জংলি হাতি, আর নেচে ওঠে ময়ূর। ভাবছেন এ কেমন বাঁশির আওয়াজ, যাতে বন্য হাতি পর্যন্ত শান্ত হয়ে যাচ্ছে? ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘেরা বুধুরাম বন বস্তির আদিবাসী শিল্পী সুকুমার ওঁরাও ঠিক এমনই মনোমুগ্ধকর বাঁশির তালে মন জয় করে নেন পর্যটক থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণীদেরও। ডুয়ার্স ঘুরতে আসা স্থানীয় পর্যটক, এমনকি বিদেশি পর্যটকদেরও মন জয় করে নেয় সুকুমারের বাঁশির সুর।

সুকুমার বাশির সুর তুলতে শুরু করলেই বিদেশি পর্যটকেরা যেখানেই থাকুন না কেন, ঠিক খুঁজে বের করে সুকুমারকে। বলা যেতেই পারে, সুকুমারের বাঁশির টানেই বারবার এই গ্রামে ছুটে আসেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, একসময় গরুমারা জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ শাখার বনাধিকারিকের উদ্যোগে বনবস্তিতে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন একটি সাংস্কৃতিক দল। সেই থেকেই বাঁশিতে ফুঁ দেওয়া শুরু বনবস্তির বাসিন্দা সুকুমার ওঁরাও-এর।

আরও পড়ুন : সস্তায় কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ রাখতে চান হার্ট? রোজ পান করুন টুকটুকে এই লাল রস

সময়ের সঙ্গে বনবস্তিবাসীদের সাংস্কৃতিক দল ভেঙে গিয়ে প্রায় বিলুপ্ত হলেও, আজও দু’বেলা বাঁশিতে সুর তুলে জঙ্গলে থাকা বন্যপ্রাণীদের শান্ত রাখার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বুধিরাম বন বস্তির আদিবাসী শিল্পী সুকুমার ওঁরাও। এদিকে, সুকুমারের কথায়, বাবা-ঠাকুরদার স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন এই বাঁশির সুরের মধ্য দিয়ে। এক সময় তার বাবা ঠাকুরদাও বেশ ভাল বাঁশি বাজাতেন। নিছকই নিজের মতো বাঁশি বাজাতে বাজাতে কখন যে তিনি আদিবাসী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তা এখন তাঁর নিজের কাছেই অবাক করা। এখন গ্রামে কিংবা স্থানীয় কোথাও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেই ডাক পড়ে সুকুমারের। ধামসা মাদলের সঙ্গে সুমধুর বাঁশির সুর মুগ্ধ করে তোলে পর্যটকদের। পাশাপাশি মুগ্ধ হয়ে শোনে বন্য প্রাণীরাও।

Purulia News: বন্যপ্রাণীর হামলায় মৃতদের পরিবারের জন্য অভিনব সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, খুশি বহু পরিবার

পুরুলিয়া: বন্যপ্রাণ বা হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শই শোনা যায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরিবারের একমাত্র রোজগারের সদস্য কখনও হাতি, বাঘ, কুমির, লোপার্ড-এর মতো বন্যপ্রাণীর হামলায় মারা যান। আর সেই সকল পরিবারের সদস্যরা একেবারেই দিকশূন্য হয়ে পড়ে। ‌

সূত্র মারফর জানা গিয়েছে, দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছরে বিভিন্ন জেলায় বন্যপ্রাণের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৭৫ জনের। ‌এবার সেই সকল পরিবারের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। মৃতের পরিবারের একজন করে সদস্যকে ফরেস্ট ভলেন্টিয়ারের চাকরি দিচ্ছে রাজ্য। নতুন বছর থেকেই বনদফতর শুরু করে দিয়েছে এর প্রক্রিয়াকরণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলার ওই পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক এই কাজে ফরেস্ট ভলান্টিয়াররা জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণ রক্ষায় মূলত কাজ করবেন।

আরও পড়ুন: দুই ঘূর্ণাবর্তের ধাক্কায় ধেয়ে আসছে ঝোড়ো হাওয়া! ঘনঘন বজ্রপাতে ফালাফালা হবে ১০ জেলা, চলতি সপ্তাহেই ফের বৃষ্টির দাপট

তবে এই কাজ ছাড়াও রেঞ্জ বা বিটের অন্যান্য কাজও তাঁদের করতে হতে পারে। আপাতত মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতন মিলবে। তবে তাঁদের ইউনিফর্ম কী হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্যের বনবিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেন, বন্যপ্রাণ বা হামলায় মৃতের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ তো দেওয়া হয়। এছাড়াও রাজ্য সরকার ওই পরিবারের একজন করে সদস্যকে ফরেস্ট ভলান্টিয়ারের কাজ দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণা মতো কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন্যপ্রাণের হামলায় মৃত্যু হওয়া সেই পরিবারে যাতে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে সেই কথা মাথায় রেখেই ফরেস্ট ভলান্টিয়ারের কাজ নিয়োগ শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই সবুজ সংকেত দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে আদেশনামাও জারি হয়। সম্প্রতি বনদফতর ওই ৬৭৫ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। ওই তালিকায় বন্যপ্রাণ হামলায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ারে। ওই জেলায় মোট ১৬৩ জন ফরেস্ট ভলান্টিয়ারের চাকরি পাবেন। এছাড়া জঙ্গলমহলের চার জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরেও একাধিক জনকে এই চাকরি দেওয়া হচ্ছে। রয়েছে সুন্দরবন ছুঁয়ে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাও। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ১৭টি জেলায় বন্যপ্রাণ হামলায় মৃতের পরিবারের একজন সদস্যকে এই চাকরি দেওয়া হচ্ছে।

গত বছর মাঠা বনাঞ্চলের কুদনাতে জ্বালানির জন্য কাঠ কুড়াতে গিয়ে দাঁতালের মুখোমুখি পড়ে প্রাণ হারান বাঘমুন্ডির মাদলা গ্রামের বাসিন্দা ৪৩ বছরের মঙ্গল মুড়া। তাঁর ছেলে সাগর মুড়াকেই বনদফতর ফরেস্ট ভলান্টিয়ারের নিয়োগপত্র দিয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি তিনি বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলে কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি