প্রতীকী ছবি

Kalna Disaster: পুজোর আবহে শোকের ছায়া, দণ্ডি কাটার পর বাবা মায়ের চোখের সামনেই ভাগীরথীতে তলিয়ে গেল কিশোর

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: মায়ের সঙ্গে স্নান করতে নেমে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পুজোর আবহে শোকের ছায়া কালনায়। পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের অন্যতম প্রধান উৎসব হল শ্রাবণ মাসে মহিষমর্দিনী পুজো। এই পুজোকে ঘিরে ব্যাপক জনসমাগম হয় কালনা শহরে। দুর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই পুজোতে। অনেক ভক্ত নিজেদের মনস্কামনা পূরণের জন্য দণ্ডি কাটেন মহিষমর্দিনী মন্দিরে।

তেমনই এদিন মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে দণ্ডি কেটে ভাগীরথীতে স্নান করতে যায় সৌম্যদীপ কাহার নামের এক স্কুলপড়ুয়া। এর পর আচমকাই জলে তলিয়ে যায় ওই পড়ুয়া। সাঁতার না জানার কারণে মুহূর্তেই নদীতে ডুবে যায় সে। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি আধঘণ্টার মধ্যে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি তার।

আরও পড়ুন : অবাধ্যতার অকথ্য ‘শাস্তি’! চলন্ত বাইকের পিছনে বেঁধে পাথুরে রাস্তায় স্ত্রীকে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল স্বামী!

কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌম্যদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের মহিষমর্দিনী তলার ঘাটে। জানা গিয়েছে মৃত ওই পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। এই প্রসঙ্গে মৃত ওই ছাত্রের বাবা সঞ্জয় কাহার বলেন, দণ্ডি কেটে মায়ের সঙ্গে স্নান করতে নেমেছিল সৌম্যদীপ। সাঁতার না জানার কারণে জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।

প্রসঙ্গত কালনা শহরের ঐতিহ্যবাহী এই পুজো উপলক্ষে ঘাটে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর তরফে দেওয়া হয়েছে একটি বড় সাইনবোর্ডও। তবুও আটকানো গেল না দুর্ঘটনা। অন্যদিকে সাবধানতা অবলম্বন করে গঙ্গায় স্নান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পুজো কমিটির পৃষ্ঠপোষক সুশীল কুমার মিশ্র। সব মিলিয়ে এই ঘটনার জেরে পুজোর আবহেও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।