উদ্বিগ্ন পরিবার

Kanchenjunga Express Accident: কপালে নেমে এল দুর্ভোগ! এখনও ভয় কাঁপছেন মনোজ, মাত্র এক স্টেশন আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন, তারপর…

উত্তর ২৪ পরগনা: ফুটবলই ছিল প্রাণ। ছোটবেলা থেকে সময় পেলেই পায়ে বল নিয়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়াতেন। পরবর্তীতে বেঙ্গল পুলিশে চাকরি হয় তাঁর। তবে ভবিষ্যতে আর কখনও মাঠে ফুটবল পায়ে দৌড়তে পারবেন কিনা, তা নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে সংশয়। ১৫ দিনের টানা ডিউটির পর ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরতেই দুর্ঘটনার শিকার।

ঘটনাস্থল থেকে ঠিক এক স্টেশন আগে উঠেছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। স্ত্রীর সঙ্গে স্টেশনেই কথা হয়েছিল হাবড়ার যুবক, ৩৪ বছরের মনোজ কুমার দাসের। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। পায়ে ও চোখে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে অস্ত্রোপচার করা হয়। প্লেট বসানো হয়েছে পায়ে।

তবে আগামী দিনে তিনি ফুটবল খেলতে পারবেন কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়, জানান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত। হাসপাতাল থেকে ৫৩১ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া বানীপুরে মনোজের বাড়িতে এখনও কাটেনি উৎকণ্ঠার প্রহর। পরিবারের সদস্যরা শুধু এটুকুই জানেন, পায়ে সামান্য আঘাত লেগেছে মনোজের।

আরও পড়ুন: ঠিক কত বছর চলে একটি AC? উইন্ডো বা স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনারের আয়ুকাল জেনে নিন, নাহলে বিপদ…!

বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। স্বামীর দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরীক্ষা দিতে যাবেন না বলেই স্থির করেন পুলিশে কর্মরত মনোজের স্ত্রী পাপিয়া দাস। তবে স্বামী হাসপাতালের বেডে শুয়েই ফোনে স্ত্রীকে পরীক্ষা দিতে যেতে অনুরোধ করেন।

ফুটবল খেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া স্মারকগুলি ঘরে সাজানো রয়েছে। ছুটিতে বাড়িতে এলেই আগে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতেন তিনি।

ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার খবর শুনে হাবড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে এসেছেন হাবড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান নারায়ণ চন্দ্র সাহা। পাশে থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পর আবার কখনও ফুটবল পায়ে তাঁকে মাঠে দাপাতে দেখা যাবে কিনা তা অবশ্য সময়ই বলবে।

Rudra Narayan Roy