উত্তর ২৪ পরগনা: চরম উৎকণ্ঠার প্রহর কাটছে ঘোলার মণ্ডল পরিবারের। শিলিগুড়িতে কর্মরত থাকলেও এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এক সঙ্গে ফিরছিলেন তিনজন সহকর্মী। আরএমএসে কর্মরত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঘোলা তীর্থ ভারতের বাসিন্দা পার্থসারথি মণ্ডলের খোঁজ মিলছে না তারপর থেকেই। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুরু করে রেলের নানা দফতরে ফোন করেও কোন খোঁজ মেলেনি তার।
তবে পার্থসারথি বাবুর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহকর্মীর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে টিভিতে খবরে দেখেন তারা। এরপরই আরও বাড়ে আতঙ্ক। তবে কী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চরম বিপত্তি ঘটেছে পরিবারের সদস্যের এমন আতঙ্কই গ্রাস করে গোটা পরিবারে। কান্নার রোল পড়ে রীতিমতো। স্ত্রী শম্পা মণ্ডল উৎকণ্ঠা নিয়েই জানান, এখনও ফোনে কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি পার্থসারথি বাবুর সঙ্গে। তবে পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলেই জানান তিনি। কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন পার্থসারথী বাবু তাও স্পষ্ট নয়।
তবে সূত্র মারফত খবর মিলেছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি। যতক্ষণ না পরিবারের মানুষকে চোখের সামনে দেখছেন ততক্ষণ যেন কাটছে না আতঙ্ক। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনরকম সাহায্য মেলেনি বলেও জানান শম্পাদেবী। এখনও অফিসের তরফ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেই আশাবাদী স্ত্রী। পার্থসারথি বাবুর সম্পর্কে ভাই, আত্মীয় উত্তম দাস জানান, দাদার সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগ হয়নি। টিভিতে দেখে জানতে পারেন ঘটনার কথা।
এখন ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী অবস্থায় দেখা মেলে পার্থসারথী মণ্ডলের সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে ঘোলা এলাকার মণ্ডল পরিবার। প্রতিবেশী পার্থসারথি বাবুর এমন বিপদের সময় উদ্বিগ্ন প্রতিবেশীরাও খোঁজ নিচ্ছেন বারংবার। ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে নিয়ে পরিবারের লোকেরা রওনা দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি দেখে অ্যাম্বুলেন্স করেই তাকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হতে পারে।
Rudra Narayan Roy