Tag Archives: Kanchanjunga Express

Kanchanjunga Express accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে দায় রেলের না মালগাড়ির চালকের? এখনও চলছে চাপানউতর

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেল আধিকারিকরা নিজেদের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। এই ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে’ চিফ লোকো ইন্সপেক্টর ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ম অমান্য করে মালগাড়িটির অত্যধিক গতিকেই দায়ী করা হয়েছে দুর্ঘটনার জন্য। তবে ওই চিফ লোকো ইন্সপেক্টর অবশ্য তাঁর পর্যবেক্ষণে দাবি করেছেন, ভোর থেকে অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ ছিল। গোটা সেকশনে ‘অ্যাবসলিউট ব্লক’ করা উচিত ছিল। অর্থাৎ একটা সময়ে এই লাইন দিয়ে একটি ট্রেনকেই পার করার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। অর্থাৎ রেলের অব্যবস্থা এবং ব্যর্থতা এক্ষেত্রে প্রকট। রেল কোনওভাবেই দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না, তা স্পষ্ট ওই লোকো ইন্সপেক্টরের কথায়। যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যালিং, মেকানিকাল এবং ট্রাফিক দফতরের বাকি আধিকারিকরা এই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছেন মালগাড়ির মৃত চালকের ঘাড়েই।

আগে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও জয়া বর্মাও দাবি করেছিলেন, মানুষের ভুলেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রেড সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে গিয়েছিল মালগাড়িটি। কিন্তু তার পরেই জানা যায়, সকাল থেকেই ওই লাইনে অটোমেটিক সিগন্যাল গোলমাল করছিল। ‘কাগুজে সিগন্যাল’-এর মাধ্যমে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল করছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির কাছে রেড সিগন্যাল অতিক্রম করার কাগুজে ছাড়পত্র ছিল। এই কাগুজে ছাড়পত্রের অর্থ হল, ধীরগতিতে রেড সিগন্যাল পেরিয়ে যেতে পারবে তারা।

এক্ষেত্রে মালগাড়ির চালক যেমন দায় এড়াতে পারেন না মাল গাড়িটির অতিরিক্ত গতির জন্য, তেমনি রেল সব দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। কেন রেড সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও একই লাইনে দুটি ট্রেনকে ছাড়পত্র দেওয়া হল সেই প্রশ্ন উঠছে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মালগাড়ির চালককে রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার যে কাগুজে সিগন্যাল দিয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল, রাঙাপানি ও ছত্তরহাট জংশনের মধ্যে যতগুলি অটোমেটিক সিগন্যাল আছে, সেগুলি পার করার অনুমতি দেওয়া হল। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি অটোমেটিক সিগন্যালে ১ মিনিট করে অপেক্ষা করতে হয় দিনের বেলায়। এরপর ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এগোতে হয়। অনুমতিপত্রে ট্রেনের গতিবেগ যাতে কোনওভাবেই ১৫ কিলোমিটারের বেশি না হয়, তা উল্লেখ করা হয়েছিল বলে দাবি রিপোর্টে। কিন্তু মালগাড়িটির গতিবেগ এতটা বাড়ল কী কারণে, ওই জয়েন্ট রিপোর্টে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হলেই বোঝা যাবে, কেন বিধি অমান্য করে দ্রুতগতিতে ছুটেছিল ঘাতক মালগাড়িটি। এই প্রশ্নের উত্তরের দায়ও কিন্তু এড়াতে পারে না রেল কর্তৃপক্ষ।

Kanchanjungha Express Accident: ঘোষণা করা হয়েছিল সহকারি চালক মারা গেছেন, এখন হাসপাতালের বেড থেকে তাঁর প্রশ্ন, ‘ড্রাইভার সাব ক্যায়সা হ্যায়’!

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি মালগাড়ির সহকারি চালক। হাসপাতালে ভর্তি মনু কুমার। সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার কাছে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। ধাক্কার অভিঘাতে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যান। এই অবস্থায়, দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসাবে রেলের তরফে, মালগাড়ির চালকের বিরুদ্ধে সিগনাল না মানার অভিযোগ করা হচ্ছে।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে যে মালগাড়িটি ধাক্কা মেরেছিল তার চালক ও সহকারী চালক দুজনেই মারা গেছে বলে গতকাল জানানো হয়েছিল রেলবোর্ডের তরফে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গেছে, মালগাড়ির সহকারী চালক জীবিত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। বর্তমানে তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন – Helmet Use: ‘চোখে আঙুল দাদা’- গায়ে নামাবলী, মাথায় হেলমেট, সাইকেল চালিয়ে কোথায় যাচ্ছেন পুরুত মশায়

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া মিলেছে । মনু কুমার জিজ্ঞেস করেন, “ড্রাইভার সাব ক্যায়সে হ্যয় (চালক কেমন আছেন) ৷” যদিও তাঁকে মালগাড়ির চালকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি ৷ তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ । বাড়ির লোককে দুর্ঘটনার খবর দিতে চান না তিনি ৷ খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না মনু । তবে এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি লোকাল18 বাংলা ৷

কেন হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ? কী করে এক লাইনে চলে এল দু’টি ট্রেন ? কী করেই বা মালগাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ? এসবেরই উত্তর খুঁজছেন রেলওয়ে সেফটির আধিকারিকরা ।তবে এই গোটা ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার । এখন একমাত্র তিনি পারেন এর রহস্য উন্মোচন করতে । কিন্তু তিনিও এখন শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।

Anirban Roy

Kanchanjungha Express Accident: ভয়াবহ ট্রেনের জেনারেল কামরাতেই ছিলেন ধনিয়াখালীর দুই যুবক! তারপর…

হুগলি: সোমবার সকালের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা আবারও স্মৃতি উসকে দিয়েছে ঠিক আরো এক বছর আগে ঘটা করমন্ডল এর দুর্ঘটনার। গতকাল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর পিছনদিকে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। লাইন থেকে ছিটকে দুমড়ে মুছড়ে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুটি বগি। সেখানেই পিছনের জেনারেল কামরায় ছিলেন হুগলির দুই যুবক সৌণক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। দুর্ঘটনায় আহত দুজনেই চিকিৎসাধীন রয়েছে হাসপাতালে। দুশ্চিন্তায় খাওয়া ঘুম বন্ধ হয়েছে দুই পরিবারের। ২ যুবকের পরিবারের এখন একটাই আশা ঘরের ছেলে ফিরে আসুক ঘরে।

মেশিনে ধান কাটার কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন হুগলির ধনিয়াখালি মদনমোহন তলার সৌনক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরা যাত্রী ছিলেন তারা।ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন সৌনক, আহত হন তন্ময়ও।দুজনেই ভর্তি হাসপাতালে। ট্রেন দূর্ঘনার খবর আসে তাদের বাড়িতেও। তারপর থেকেই দুশ্চিন্তার ছায়ার দুই পরিবারের মধ্যে।

আরও পড়ুনKanchanjungha Express Accident: দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে ছিলেন ঘোলার পার্থসারথি, চরম উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে পরিবার

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায়, ঘটনার সময় তন্ময় বুঝতে পারে ট্রেনের এক্সিডেন্ট ঘটেছে। দৌড়ে ঝাঁপ দিয়ে দরজা থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়ে সে। সেই সময় কাঁধে গুরুতরো আঘাত লাগে তার বন্ধু সৌনকের। আঘাতপ্রাপ্ত হন তার বন্ধু তন্ময় ও । সেই আঘাত নিয়েই তন্ময় এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রেনে আটকে থাকা যাত্রীদের সেখান থেকে বার করেন দুই বন্ধু। পরবর্তীতে তাদের দুজনকেও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় শিলিগুড়ি হাসপাতালে। এদিন রাতে বাড়ির লোককে ফোন করে নিজের অবস্থার কথা জানান তন্ময়।ঘটনার পরই ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে দূর্ঘটনার দিনই ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ধনিয়াখালির দুই যুবকের চিকিৎসা ও তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান বিধায়িকা।

রাহী হালদার

Kanchanjungha Express Accident: কাজের জায়গা থেকে ছুটি নিয়ে ফিরছিলেন পরিবারের কাছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন জীবন-মৃত্যুর লড়াই, গোঙানির শব্দেই বাঁচার আশা দেখছে পরিবার

উত্তর ২৪ পরগনা: একই এলাকায় মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে দুই পরিবারই এখন কাটাচ্ছে উৎকণ্ঠার প্রহর। উত্তরবঙ্গে অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ঘোলার পার্থসারথি মন্ডলের সঙ্গেই ফিরছিলেন পানিহাটির নাটাগড় এলাকার বাসিন্দা খোকন সেন সহ আরেক সহকর্মী শঙ্কর মোহন দাস। যদিও রাঙাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকা সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মাল গাড়ি এসে ধাক্কা মারার পরেই, মৃত্যু হয় শঙ্কর মোহন দাসের।

সেই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছতেই রীতিমতো কান্নার রোল পড়ে যায় পানিহাটির সেন পরিবারেও। সেই খবরের পরই পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন হয়তো তাদের পরিবারের সদস্য খোকনের উপরও নেমে এসেছে চরম দুর্ঘটনা। কি করবেন তারা, যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। রেলওয়ে মেল সার্ভিসে কর্মরত খোকন সেনের স্ত্রী স্বপ্না সেন সহ রয়েছে দুই ছেলে। কেমন আছে বাবা, কি অবস্থায় আছে তা বুঝতে না পেরেই ছোট ছেলে স্বরূপ সেন রওনা দেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে।

ইতিমধ্যেই অন্যান্য সহকর্মীদের থেকে খবর আসে বাড়িতে। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে খোকন বাবুকে। জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রপচার করা হয় তার। আঘাত লেগে লিভারের রক্ত জমে যাওয়ায় দ্রুত চিকিৎসকরা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন। অবশেষে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন তিনি বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।

আরও পড়ুন – Turmeric Use Tips: ডায়াবেটিস হাতের মুঠোয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সেরা, তা বলে রান্নায় মুঠো মুঠো হলুদ নয়, পুরুষরা মেপে মেপে খান নইলে বড় বিপদ

স্ত্রী স্বপ্না দেবীর সঙ্গে ফোনে কথা হলেও কোন কথাই বলতে পারেননি শারীরিকভাবে অসুস্থ খোকন বাবু। শুধু গোঙানি শব্দই শুনতে পেয়েছেন বলে জানালেন পানিহাটির বাড়িতে উৎকণ্ঠার প্রহর গোনা স্ত্রী স্বপ্না সেন। এখনও যেন চোখের জল বাঁধ মানছে না। স্বামীকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে তা যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। তবে বারংবার এভাবে রেল দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য রেলের গাফিলতি রয়েছে বলেই মনে করছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত খোকন সেনের পরিবার। খোকন বাবুকে বাহাত্তর ঘন্টা অবজারভেশনের রাখা হয়েছে বলে মা কে জানিয়েছে ছেলে। অফিসের তরফ থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য মিলছে বলেও জানান স্ত্রী। তবে যতক্ষণ না স্বামী কে স্বশরীরে দেখতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ যেন দুশ্চিন্তা কমছে না পানিহাটির সেন পরিবারের এই গৃহিণীর।

Rudra Narayan Roy

 

Kanchanjunga Express Accident: পড়ে রইল কেক, খিচুড়ি-মাছ ভাজা! মেয়ের জন্মদিনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় চিরঘুমে বাবা

বালিগঞ্জ: বাড়ি ফিরে আর খাওয়া হলো না খিচুড়ি মাছ ভাজা। মেয়ের জন্মদিনের আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কলকাতার বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালীর। বর্তমানে তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক‍‍্যাল কলেজের মর্গে। বালিগঞ্জের ১৭ জামির লেনের বাসিন্দা শুভজিৎ মালীর বাড়িতে এখন শোকের ছায়া।

আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

বাড়িতে রয়েছে ১১ বছরের ছোট মেয়ে, মেয়ের আবদার ছিল বাবা বাড়িতে এলে জন্মদিনের কেক কাটবে। মেয়ের আবদারের কারণেই তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি উঠেছিলেন অভিশপ্ত সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। এর পরেই ঘটে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যাতে প্রাণ যায় বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালির।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুভজিৎ মালিকে কর্মসূত্রে প্রায়ই যেতে হয় ভিন রাজ্যে। সম্প্রতি একটি চারচাকা গাড়ি চালিয়ে সেই গাড়ি ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। সেখানে গাড়ি ডেলিভারি দিয়ে ফিরছিলেন কলকাতায়। এই কাজ তিনি দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে করে আসছেন, গাড়ি নিয়ে ভিন রাজ্যে যান, সেখানে ডেলিভারি দিয়ে ফিরে আসেন কলকাতায়। মেয়ের আবদার মেটাতে দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্যেই ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালি। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে।

সুমন সাহা

Kanchanjunga Express Accident Experience: হঠাৎ ঝাকুনি…. ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শুনুন

বীরভূম: করমন্ডল এক্সপ্রেস এর সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা আবার যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে সকলকে।হঠাৎ প্রথমে এক বিকট শব্দ। তার পরে ট্রেন লাইনে নজর পড়তেই চমকে উঠেছিলেন ওঁরা।সোমবার ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানির কাছে, জালাস গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট নির্মল জোতের বাসিন্দাদের অনেকেরই দিন শুরু হয় আঁতকে ওঠা দিয়ে।সময় তখন সকাল পৌনে ৯টা, কানফাটানো আওয়াজের পরে, তাঁরা দেখেন, মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে উঠে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি কামরা! ধাক্কায় প্রায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে আর একটি।

যাত্রীদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল গ্রাম জুড়ে। প্রথমে স্থানীয়রাই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। গ্রামবাসীরা বাড়ি থেকে জল, চাদর নিয়ে আসেন। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একটি কামরার ভিতর থেকে যাত্রীদের বার করে আনা হয়। রেলে খবর যাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায় এনডিআরএফ কর্মীদের। ট্রেন দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও আসতে শুরু করেন।ধীরে ধীরে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শিয়ালদা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাত্রি ১১টা২৪ মিনিট এ এসে দাঁড়ায়। নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় ৯ ঘণ্টা দেরিতে এসে পৌঁছায় ট্রেন। সেই ট্রেনের যাত্রীরা জানায় তাদের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।

আরও পড়ুনKanchanjungha Express Accident: দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে ছিলেন ঘোলার পার্থসারথি, চরম উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে পরিবার

রামপুরহাট পৌঁছে ট্রেন এ আগত এক যাত্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান “চোখের পলকে ঘটনাগুলো ঘটে গেল।ভয় পেয়েছিলাম প্রচণ্ড।কোনও ভাবে বাইরে বেরিয়ে দেখলাম, ভয়াবহ চিত্র।আমাদের কয়েকটি কামরার পরেই ছিল অসংরক্ষিত কামরা, গার্ডের কামরা। সে সব দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভিতর থেকে ভয়ঙ্কর আর্তনাদ ভেসে আসছিল।অনেকে সেখান থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছেন।এলাকার মানুষও দৌড়ে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কত জন যে জখম, কত জন মারা গেলেন, বুঝতে পারছিলাম না! শুধু মনে হচ্ছিল, অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে”। সব মিলিয়ে কার্যত নতুন জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি।

যদিও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে ‘হেল্প ডেস্ক’ খোলা হয়েছিল।ওই হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যে সমস্ত যাত্রী রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া স্টেশনে নামবেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।যাত্রীদের তালিকা রেলকর্মীদের দেওয়া ছিল। স্টেশনে আসা যাত্রীদের আত্মীয় পরিজনদের রেলকর্মীরা হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সাহায্য করেছেন।রামপুরহাট স্টেশনে টিকিট কালেক্টরদের ঘরের সামনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়।হেল্প ডেস্কে রেলপুলিশের কর্মীরা যাত্রীদের সাহায্যর জন্য তৎপর ছিলেন।রেলপুলিশের সাঁইথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে কত জন যাত্রী নামবেন, তাঁদের তালিকা রেলকর্মীদের কাছে দেওয়া হয়েছিল।ওই তালিকা দেখে যাত্রীদের সমস্ত রকম সাহায্য করা হয়।

সৌভিক রায়

Kanchanjungha Express Accident: প্রিয়জনের অপেক্ষায়, ট্রেনের পথ চেয়ে সারি সারি উদ্বিগ্ন মুখের ভিড়ে বিপর্যস্ত নিউ জলপাইগুড়ি

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন লাগোয়া রাঙাপানি এলাকায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার পরে কার্যত লন্ডভন্ড ছবি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের। অসহায় কাতর মুখগুলো দেখলে চোখে জল আসতে বাধ্য। ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনেই ভিড় অগণিত অসহায় যাত্রীর। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে জলে ভাসছে পাহাড় থেকে সমতল। পাহাড়ে আটকে থাকা বহু পর্যটকদের ধীরে ধীরে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে।

পাহাড়েও প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে  আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে সরানোর কাজ। উপরন্তু অবিরাম বৃষ্টির জেরে এখনও প্রতি পদে নানা বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রশাসনকে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গ জুড়ে। তার উপর গতকালের ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে ঘটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে হাজার হাজার যাত্রীর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

একদিকে পাহাড়ে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্বিগ্ন চেহারা, অন্যদিকে আতঙ্কিত রেল যাত্রীদের ভিড়-সব  মিলিয়ে একেবারে বিপর্যস্ত চেহারা নিয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্থ রেল লাইন ক্লিয়ার হয়নি। ফলে উত্তর পূর্ব রেল যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এনজেপি স্টেশনের যাত্রী প্রতিক্ষালয় থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্মে ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। কবে, কখন মিলবে বাড়ি ফেরার ট্রেন! তারই অপেক্ষায় চাতকপাখির মতো অসহায় ভাবে অপেক্ষা করছেন প্রত্যেকে।

আরও পড়ুন : অসহ্য গরমে হল এক পশলা স্বস্তির বর্ষণ, গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি

কখন, কোন ট্রেন, কোন পথে আসবে? আদৌ আসবে কিনা? তা নিয়ে রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সঠিক নির্দেশিকাও পাচ্ছেন না তাঁরা, এমনটাই অভিযোগ জানাচ্ছেন যাত্রীদের একাংশ। অনেকেই বিকল্প উপায়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ দিন যাপনের জন্য হন্যে হয়ে হোটেল খুঁজছেন। কেউ আবার স্টেশনেই দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছেন ট্রেনের অপেক্ষায়। স্টেশনের সার্বিক ছবি দেখে স্বাভাবিকভাবেই বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি রেলস্টেশন! তবে, দ্রুত পরিস্থিতির স্বাভাবিক করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এবার কখন আসে বাড়ি ফেরার ট্রেন, এখন তারই অপেক্ষায় যাত্রীরা।

Kanchanjungha Express Accident: দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে ছিলেন ঘোলার পার্থসারথি, চরম উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে পরিবার

উত্তর ২৪ পরগনা: চরম উৎকণ্ঠার প্রহর কাটছে ঘোলার মণ্ডল পরিবারের। শিলিগুড়িতে কর্মরত থাকলেও এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এক সঙ্গে ফিরছিলেন তিনজন সহকর্মী। আরএমএসে কর্মরত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঘোলা তীর্থ ভারতের বাসিন্দা পার্থসারথি মণ্ডলের খোঁজ মিলছে না তারপর থেকেই। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুরু করে রেলের নানা দফতরে ফোন করেও কোন খোঁজ মেলেনি তার।

তবে পার্থসারথি বাবুর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহকর্মীর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে টিভিতে খবরে দেখেন তারা। এরপরই আরও বাড়ে আতঙ্ক। তবে কী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চরম বিপত্তি ঘটেছে পরিবারের সদস্যের এমন আতঙ্কই গ্রাস করে গোটা পরিবারে। কান্নার রোল পড়ে রীতিমতো। স্ত্রী শম্পা মণ্ডল উৎকণ্ঠা নিয়েই জানান, এখনও ফোনে কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি পার্থসারথি বাবুর সঙ্গে। তবে পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলেই জানান তিনি। কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন পার্থসারথী বাবু তাও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুনSikkim Flood: তিস্তার তুফানি রূপ, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, নাজেহাল পর্যটকরা,’অপারেশন স্বস্তিক’ কি দেবে স্বস্তি

তবে সূত্র মারফত খবর মিলেছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি। যতক্ষণ না পরিবারের মানুষকে চোখের সামনে দেখছেন ততক্ষণ যেন কাটছে না আতঙ্ক। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনরকম সাহায্য মেলেনি বলেও জানান শম্পাদেবী। এখনও অফিসের তরফ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেই আশাবাদী স্ত্রী। পার্থসারথি বাবুর সম্পর্কে ভাই, আত্মীয় উত্তম দাস জানান, দাদার সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগ হয়নি। টিভিতে দেখে জানতে পারেন ঘটনার কথা।

এখন ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী অবস্থায় দেখা মেলে পার্থসারথী মণ্ডলের সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে ঘোলা এলাকার মণ্ডল পরিবার। প্রতিবেশী পার্থসারথি বাবুর এমন বিপদের সময় উদ্বিগ্ন প্রতিবেশীরাও খোঁজ নিচ্ছেন বারংবার। ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে নিয়ে পরিবারের লোকেরা রওনা দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি দেখে অ্যাম্বুলেন্স করেই তাকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হতে পারে।

Rudra Narayan Roy

Kanchanjunga Express Accident: দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে! শিয়ালদহ থেকে ছাড়ল দুর্ঘটনাগ্রস্থ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

কলকাতা: সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা স্মৃতি এখনও তাজা। সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। মারাত্মক দুর্ঘটনার পর শিয়ালদহ ফিরে আসে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ভোর তিনটের পর শিয়ালদহে ঢোকে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটি। মঙ্গলবার ফের রওনা দেবে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।

শিয়ালদহ স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ঢোকার আগেই সেখানে উপস্থিত হয়ে যান মেয়র ও পরিবহন মন্ত্রী। চলে আসেন ডিআরএম-সহ রেলের আধিকারিকরা। যাত্রীরা যাতে দ্রুত বাড়ি পৌঁছাতে পারে তার জন্য আগে থেকেই বাস ও ছোট গাড়ি আনা হয়। আহত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয় প্রশাসনের তরফে।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজে গেলে ১ কেজি, আবার পুড়লে ৩ কেজি হয়ে যায়? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

১৪ নম্বর প্লাটফর্মে আসে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টার সময় ট্রেনটি ছাড়ল, অপেক্ষারত রয়েছেন যাত্রীরা। জেনারেল কম্পার্টমেন্টের সামনে ছিল উপচে পড়ার ভিড়। যাত্রীদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর অভ‍্যন্তরে চলছে ভয়ানক কাণ্ড! কোন ‘মহাপ্রলয়’ ঘনিয়ে আসছে? নতুন গবেষণায় চাঞ্চল‍্যকর তথ‍্য

সূত্রের খবর অনুযায়ী ট্রেন যাত্রীরা রেলের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ওই ট্রেনে করে যাত্রীদের দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াটা রেলের ভাল উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। রেল দুর্ঘটনা নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে একহাত নেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

অল্পের জন্য রক্ষা পদাতিক এক্সপ্রেসের! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের

ভয়াবহ দুর্ঘটনা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। নিউ আলিপুরদুয়ার গামী পদাতিক এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরেই ছিল। দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রী আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা ও তার আতঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন তিনি।  তার লেখায় বারবার উঠে আসছে পদাতিক এক্সপ্রেস ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের আজ সংঘর্ষ হতে পারত। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পেত যদি না মাল গাড়িটির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার সংঘর্ষ হত।