ভিচিতর শর্মা, কাংড়া: দেশ জুড়ে সদ্যই প্রায় উদযাপিত হয়েছে করবা চৌথ। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে বিবাহিতারা স্বামীর মঙ্গলকামনায় নির্জলা ব্রত করে থাকেন। কিন্তু হিমাচল প্রদেশে যে ঘটনা ঘটে গেল, তা স্বামীর মঙ্গল তো দূরের কথা, বরং পরিবারে নিয়ে এল অমঙ্গল আর শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে যে হিমাচলপ্রদেশের কাড়ার শাহপুর তহসিলের মঞ্জাগ্রা গ্রাম, দ্রমন পোস্ট অফিস এলাকার বাসিন্দা কাশ্মীর সিংয়ের পরিবারে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। করবা চৌথের দিন কাশ্মীর সিংয়ের পুত্রবধূ ৩৪ বয়সী বয়সী তৃপ্তা দেবী বেলা ১১টা নাগাদ স্থানীয় বাজারে করবা চৌথের ব্রতের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তিনি ফিরে আসেননি। চিন্তিত স্বামী শমসের সিং এবার স্ত্রীর খোঁজখবর করা শুরু করেন। জানা যায়, তৃপ্তার পাশাপাশি পরিবার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার যাবতীয় সোনার গয়না এবং নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকাও উধাও।
পরিবারের সন্দেহ, তৃপ্তা কারও সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর এবং শমসেরের তিন মেয়ে- একজনের বয়স দশ বছর, অন্যজনের আট বছর এবং তৃতীয়জনের চার বছর। এই বিষয়ে শাহপুর থানার এসএইচও কর্তার সিং ঠাকুর বলেন, শমসের সিংয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ অনুসন্ধান দায়ের করা হয়েছে। মহিলাকে খুঁজছে পুলিশ।
তবে, করবা চৌথের দিন স্বামী এবং সন্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনা এই বছরে দেশের অন্যত্রও ঘটেছে। জানা গিয়েছে যে বৃন্দাবনের কাশীরাম কলোনির বাসিন্দা এক ভদ্রলোক করবা চৌথের সন্ধ্যাবেলায় স্ত্রীর একটি চিঠি পান। সেই চিঠিতে ঠিক কী লেখা ছিল, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। শুধু জানা গিয়েছে যে সেই চিঠিতে ছিল স্ত্রীর ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর। সঙ্গত কারণেই বিচলিত হয়ে পড়েন স্বামী। খোঁজাখুঁজি চলতে থাকে চার দিকে। কিন্তু নিখোঁজ স্ত্রীর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে কেবল পানিগাঁও ব্রিজে স্ত্রীর চপ্পল মেলে। দেরি না করে এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই ভদ্রলোকের নাম প্রদীপ এবং তাঁর স্ত্রীর নাম নিশা। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। দাম্পত্যে যে মেঘ ঘনিয়েছে, তা প্রদীপ বুঝতে পারেননি কোনও দিন। এবার করবা চৌথে এই অঘটনে সঙ্গত কারণেই হতাশ পুরো পরিবার। নিশার খোঁজে নদীতে ডুবুরি নামানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খবর মেলেনি। পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।