নির্বাচন Kanhaiya Kumar Property: কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন..কত সম্পত্তি কানহাইয়া কুমারের? কোথা থেকে রোজগার…জানেন? Gallery April 15, 2024 Bangla Digital Desk তাঁর উত্থান হয়েছিল ছাত্র আন্দোলন থেকে৷ এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহমূলক মামলাও রুজু হয়েছিল৷ জেল থেকে রেহাই পাওয়ার পরে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁর বক্তৃতা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়৷ তাঁর বাগ্মিতা, যুক্তিবোধ সেসময় অনেককেই মুগ্ধ করেছিল৷ তবে গা থেকে ছাত্রনেতার তকমা ফিকে হয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে ঘিরে বিতর্কও কম দানা বাঁধেনি৷ এক সময় চিরকালীন বাম তকমা ছেড়ে কংগ্রেসে যোহ দেন ছাত্রনেতা৷ শোনা যায় যাওয়ার আগে তিনি তাঁর সাবেক দলীয় কার্যালয় থেকে এসি টাও খুলে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ একজন গবেষক ছাত্র হয়ে দামি শার্ট পরা, দামি জায়গায় ছুটি কাটানো নিয়ে বার বার তাঁকে নিশানা করেছে বিজেপি৷ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রবীণ বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে সিপিআই প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কানহাইয়া৷ সেই ভোটে কানহাইয়াকে ৪ লাখ ২২ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদে পৌঁছন গিরিরাজ৷ পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন৷ সেই বেগুসরাই অবশ্য এখন অতীত। এবার দিল্লিতে কানহাইয়া কুমার। একসময়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) প্রাক্তন বামপন্থী ছাত্রনেতা এবার কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে টক্কর দিতে চলেছেন দিল্লি থেকেই। কংগ্রেস তাঁকে দিল্লির একটি আসন থেকে প্রার্থী করতে পারে বলে এআইসিসি সূত্রে কানাঘুষো ছিল আগেই। রবিবার খাতায় কলমে তালিকায় এসেছে নাম। উত্তর-পূর্ব দিল্লি আসনটি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কানহাইয়া কুমার৷ তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি৷ আসুন জানা যাক, কানহাইয়া কুমারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? কানহাইয়া কুমার যখন ২০১৯ সালে বেগুসরাই আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন তাঁর হলফনামায় তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা ছিল ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৪৮ লক্ষ। তার মধ্যে ৩,৫৭, ৮৪৮ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি এবং ২,০০,০০০ টাকার অস্থাবর সম্পতি ছিল। কানহাইয়া কুমার বলেছিলেন যে তার আয়ের উত্স ছিল ফ্রিল্যান্স লেখা, গেস্ট লেকচার এবং বইয়ের রয়্যালটি থেকে প্রাপ্ত টাকা। JNU ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার কোনও গাড়ি ব্যবহার করেন না৷ তাঁর কাছে কোনও গয়নাও ছিল না। তবে, বিহারে তাঁর নামে পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। তিনি এই ১.৫ ডেসিমিল অচাষযোগ্য জমির মূল্য ২০,০০,০০ লক্ষ টাকা বলেছিলেন। কানহাইয়া কুমারের বাবা একজন কৃষক, তাঁর মা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতেন।