পূর্ববঙ্গের জনপ্রিয় গাড়ুর ডাল

Food: আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়! সংক্রান্তির আগে জেনে নিন গাড়ুর ডালের সুস্বাদু রেসিপি

নদিয়া: আশ্বিনেতে রান্না করে কার্তিকে খাওয়া, জানুন এদেশে প্রায় বিলুপ্ত হওয়া পূর্ববঙ্গের গাড়ুর ডালের রেসিপি। গাড়ুর ডাল সম্পর্কিত একটা প্রবাদ প্রবচলও বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। তা হল- আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায়/ যেই বর মাগে, সেই বর পায়। কার্তিক এক সময় ছিল অভাবের মাস। সন্তানরা যাতে ভাল থাকে, তাদের যাতে পুরো বছর ভাল যায় সেই কামনা থাকে এই বিশেষ দিনে। এছাড়াও কার্তিকে বাড়ে নানা রোগের প্রকোপ। সুস্থ থাকতেও তাই এই ডাল বানিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়। গাড়ুর ডালে তেল, ঘি, হলুদ পড়ে না। দেখে নিন কীভাবে বানাবেন এই ডাল।

উপকরণ- পরিমান মত মটর ডাল, মুলো, ঝিঙে, বরবটি, মিষ্টি আলু, লাউ শাক, থোড়, সিম, মিষ্টি কুমড়ো, শাপলা, বিনস, গাটিকচু, মান কচু, জলপাই, চালতা, শালুক, কাঁকরোল, কাঁচা লঙ্কা, তেঁতুল। আগের রাতে ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। সমস্ত সবজি ছোট করে কেটে নিতে হবে। শুকনো কড়াইতে গোটা ধনে, তেজপাতা, জিরে, শুকনো লঙ্কা দিয়ে নেড়ে সেগুলিকে গুড়ো করে নিতে হবে।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর বিপদের শঙ্কা দুয়ারে…! ধেয়ে আসছে ঘাতক ‘লা নিনা’! কাঁপবে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড! আবহাওয়ার হাড়হিম সতর্কবাণী IMD-র

চালতা, জলপাই, মুলো, থোর, মিষ্টি আলু, সিম, শালুক, বরবটি সমস্ত কিছু প্রেসার কুকারে দিয়ে সামান্য জল আর নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে। এবার পরিমান মত জল দিয়ে প্রেসারের ডাল সিদ্ধ করতে বসাতে হবে। তার মধ্যে ঝিঙে, কুমড়ো মিশিয়ে দিতে হবে। সিদ্ধ হয়ে এলে বাকি সব সবজি মিশিয়ে দিতে হবে, এরপর দিতে হবে স্বাদমতো নুন। এরপর একটু কালো জিরে মিশিয়ে নিয়ে নামানোর আগে ভাজা মশলার গুড়ো পুরোটা ছড়িয়ে দিতে হবে। ব্যাস, তাহলেই হয়ে যাবে আপনার গাড়ুর ডাল রেডি।

আরও পড়ুন-আশঙ্কাই সত্যি হল…! রাক্ষুসে গতিতে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’! ১২০ কিমি/ঘণ্টায় আছড়ে পড়বে, বাংলা থেকে কত দূরে সিভিয়ার সাইক্লোন? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস

বিলুপ্ত হতে বসা এই উপাচার আবারও ফিরে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংবা বিভিন্ন ফুড ভ্লগারদের কল্যাণ আবারও গৃহিণীরা ট্র্যাডিশন হিসেবে গাড়ুর ডাল রান্না করে সেই ছবি পোস্ট করে জনপ্রিয় তার শিখরে। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যারা বিভিন্ন ধরনের আনাজ খেতে চান না তাদের কাছেও এই বিশেষ ডাল হয়ে উঠছে জনপ্রিয় আর সেখানেই হয়তো এ ধরনের উপাচারের সার্থকতা।

Mainak Debnath