পাঁচমিশালি Knowledge: কোন সে প্রাণী, ডাইনোসরের থেকেও পুরনো-শক্তিশালী, ঘুরে বেড়ায় ঘরময়! বেঁচে থাকবে পরমানু যুদ্ধ হলেও! বলুন তো, কোন প্রাণী? Gallery May 20, 2024 Bangla Digital Desk আরশোলা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন কীট। এদের মতো অদ্ভূত কীট সম্ভবত দ্বিতীয় আর নেই। এরা ডাইনোসরদের থেকেও দৃঢ়। পা দিয়ে মারালেও এরা বেঁচে যায়। এমন কোনও জিনিস নেই যা এদের খাদ্য নয়। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই এরা বিরাজমান। আরশোলার একটি পা-কে শক্ত করে ধরে রাখুন। দেখবেন আরশোলা তার পা-টিকে শরীর থেকে ছিন্ন করে পালিয়ে যাবে। কারণ সেইস্থানে নতুন পা আবার সৃষ্টি হবে। প্রকৃতি এই বিচিত্র গুণ আরশোলাদের প্রদান করেছে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য। এরকম আরও অনেক বিচিত্র গুণের অধিকারী হল আরশোলা। নিজেকে বাঁচাবার এমন সব গুণ আরশোলার আছে যে পৃথিবীতে পরমাণু যুদ্ধ বাঁধলেও তারা বেঁচে থাকবে। আর সম্ভবত তাদের সঙ্গ দেবার জন্য ইঁদুররাও বেঁচে থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলেন, আরশোলার ক্ষুদ্র শরীর বিশালাকায় ডাইনোসরদের তুলনায় ৩২ গুণ বেশি। মজবুত। এছাড়াও আরশোলারা নিজেদের শরীরকে আশ্চর্যজনকভাবে সংকুচিত করতে পারে। এইজন্য এরা সরু থেকে সরু ফাটলেও ঢুকে যেতে পারে, যেখানে কোনও শত্রুর পক্ষে ঢোকা অসম্ভব। সংকুচিত আরশোলাকে যদি আপনি জুতো দিয়ে মাড়িয়ে যান, তবুও সে প্রাণে বেঁচে যাবে। বিপদের সময় এক ধরনের আরশোলা সংকুচিত হয়ে এমন গোল হয়ে যায় যে দেখে মনে হয় কোনও গোলাকার বস্তু পড়ে রয়েছে। পৃথিবীর কোন স্থানে আরশোলারা নেই? শুধুমাত্র আন্টার্কটিকা ছাড়া সম্পূর্ণ পৃথিবীতে রাজত্ব করছে আরশোলারা। অবশ্য সমস্ত কিছুকে জমিয়ে দেওয়া আন্টার্কটিকায় আরশোলারা তিনদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সর্বত্রই বসবাসের পিছনে এদের রহস্য হল যে এরা সব কিছুই হজম করতে সক্ষম। তাদের ‘মেনু কার্ডে” এমন সব জিনিস রয়েছে যেগুলির কথা আপনারা ভাবতেও পারবেন না। যেমন—সাবান, দেওয়ালে সাঁটানো কাগজ, রঙ, ডাকটিকিট লাগানো আঠা, কাপড়, পুস্তকের বাঁধানো মলাট, টিভির ভেতরের তার, কী নয়। এছাড়াও আমরা যা খাই সেগুলোও তাদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে। নদী-নালায় বসবাসকারী আরশোলারা সেখান থেকেই তাদের আহারের ব্যবস্থা করে থাকে। আরশোলা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন কীট। প্রায় ৩৫ কোটি বছর ধরে তারা এই পৃথিবীর বুকে রয়েছে। এরা নিজের চোখে বিশালাকায় ডাইনোসরদের জন্ম নিতে, পৃথিবীতে রাজত্ব করতে আর তারপর লুপ্ত হতে দেখেছে। যখন আমাদের পূর্বপুরুষরা ওহাতে আশ্রয় নিয়েছিল, আরশোলারাও সেখানে উপস্থিত ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, আরশোলা আজকের হাজার হাজার কীটের পূর্বপুরুষ। আশ্চর্যের কথা হল, এই কোটি কোটি বছরেও আরশোলাদের মধ্যে নামমাত্র পরিবর্তন হয়েছে। শুধু এদের আকার কমেছে।