হুগলি: ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে আমারই ঘরে থাকো আলো করে’। ধন-সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মী আরাধনার বাকি আর মাত্র হাতে একটা দিন। ধন-সম্পদে গৃহস্থের ঘর ভরিয়ে রাখার জন্য মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। তবে বর্তমান সময়ে পটুয়ারা যারা মা লক্ষ্মীকে কাঠামোর মধ্যে খড় বেঁধে মাটি লেপে তার রূপদান করেন তাদেরই লক্ষী লাভ হয় না, লক্ষ্মী পুজোয়। তার কারণ বাজার ভর্তি ছাঁচের ঠাকুর !
লক্ষী পুজোয় বাজার ছেয়েছে ছাঁচের লক্ষ্মী ঠাকুরে। যার ফলে কদর কমেছে কাঠামো খড় মাটি দিয়ে তৈরি লক্ষ্মী প্রতিমার। যার ফলে লক্ষ্মী ঠাকুর বানিয়েও সেভাবে লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে না মৃৎশিল্পীদের। বর্তমান বাজারে যে কম দামে ছাঁচের ঠাকুর বিক্রি হচ্ছে, সেই কম দামে মাটির তৈরি কাঠামোর ঠাকুর বিক্রি করা কার্যত অসম্ভব মৃৎশিল্পীদের কাছে। একটি কাঠামোর ঠাকুর তৈরি করতে যে পরিশ্রম ও মেহনত ও কাঁচামাল লাগে তা ছাঁচের ঠাকুর তৈরি করতে হয় এক-তৃতীয়াংশেরও কম খরচে। অন্যদিকে একটা সময় পর্যন্ত শুধুমাত্র কাঠামোর ঠাকুর-ই পুজো করার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। বর্তমান সময়ে বাজারে যেভাবে ছাঁচের ঠাকুর ছেয়েছে তাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের।
এই বিষয়ে মৃৎশিল্পী বাদল পাল বলেন,”লক্ষ্মী ঠাকুরকে তারা ধন দৌলতের ঠাকুর বলে থাকলেও লক্ষ্মী ঠাকুর বানিয়ে তাদের লাভ সেভাবে কিছুই হয় না। কারণ প্রথমত রেডিমেড ছাচের যে ঠাকুর বাজার দখল করে নিয়েছে। অন্যদিকে দুর্গা ঠাকুরের সঙ্গেই বায়না হয় লক্ষ্মী ঠাকুরের। ইচ্ছা না থাকলেও অনেক সময় সামান্য মূল্য বা কখনও কখনও বিনামূল্যেই লক্ষ্মীঠাকুর প্রদান করতে হয়, দুর্গা ঠাকুর যারা কিনে থাকেন তাদেরকে।”
আরও পড়ুনঃ IND vs NZ: ভারতের ইনফর্ম তারকা ব্যাটারের চোট! বড় সুযোগ পেতে পারেন তরুণ ব্যাটার
এই বছর তিনি মোট ৩৫ টি কাঠামোর লক্ষ্মী ঠাকুর তৈরি করেছেন। তবে তার মধ্যে ১৫ টি এখনও পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। লক্ষ্মীপূজো মূলত ধন সম্পদের দেবীর আরাধনার জন্য হয়ে থাকলেও, মৃৎশিল্পীরা যারা এই লক্ষ্মী ঠাকুর তৈরি করেন মূলত যারা কাঠামোর লক্ষ্মী ঠাকুর তৈরি করেন তাদের মা লক্ষী বানিয়েও সেভাবে লক্ষ্মী লাভ হয় না।
রাহী হালদার