ঝাড়গ্রাম: ঘূর্ণিঝড় দানায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল মৃৎশিল্পীদের। অবশেষে সেই চিন্তা দূর করে মৃৎশিল্পালয়ে মৃৎশিল্পীর হাতেই মা কালীর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। চলছে মা কালীর সাজগোজ। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মা কালীর প্রতিমা মৃৎশিল্পালয় ছেড়ে পাড়ি দিয়েছে মণ্ডপে।
ত্রিপলের চালির মধ্যেই চলে মৃৎশিল্পালয়। ফলে ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন মৃৎশিল্পীরা। ঝাড়গ্রাম জেলায় ঘূর্ণিঝড় দানার তেমন একটা দাপট না থাকলেও দানার কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় টানা তিন দিন ধরে। ফলে গ্যাসের ব্লু্-ল্যাম্পের মাধ্যমে প্রতিমা শুকনো করা হয়। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব কাটতেই দেখা যায় রোদের মুখ। তারপরেই শুরু হয় আরও জোর কদমে কাজ।
ঝাড়গ্রাম শহরের নতুনডিহি এলাকার জয় কালী মৃৎশিল্পালয়ে তৈরি হয়েছে ৬২ টি প্রতিমা। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ ফুটের প্রতিমা রয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম শহর, বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর, শিলদা সহ বিভিন্ন এলাকায় এই প্রতিমা চলে যায়। তার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডও পাড়ি দেয় বাংলার এই শিল্পালয়ের কালী প্রতিমা।
মৃৎশিল্পী সঞ্জীব দাস ওরফে বুবাই বলেন, “ঘূর্ণিঝড় দানার কথা শোনার পর থেকেই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল। চোখের ঘুম এবং খিদেও উড়ে গিয়েছিল আমাদের। কিন্তু তেমন একটা প্রভাব না পড়ায় আমরা যথেষ্ট রক্ষা পেয়েছি। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জোর কদমে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রতিমা মণ্ডপে চলে গিয়েছে। কালকে দুপুরের মধ্যেই সব প্রতিমা চলে যাবে।”
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব ঝাড়গ্রাম জেলায় না পড়ায় খুশি মৃৎশিল্পীরা। সময় মত তাড়াতাড়ি প্রতিমা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর কয়েকটা ঘন্টা পরেই মৃৎশিল্পালয় ছেড়ে মা কালীর প্রতিমা চলে যাবে মন্ডপে।
বুদ্ধদেব বেরা