বঞ্চিত পুরুলিয়ার এই এলাকা

Life Living Crisis: চরম লড়াই করে প্রতিটা দিন বাঁচছেন পুরুলিয়ার এই এলাকার মানুষরা

পুরুলিয়া: পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া। গত কয়েক বছরে জেলা পুরুলিয়ার চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। কিন্তু আজও এই জেলার বহু গ্রাম নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্বাধীনতার প্রায় ৭৫ টা বছর পেরিয়েছে, কিন্তু আজও বঞ্চিত পুরুলিয়ার ঝালদা থানার মাঠারি খামার গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁড়রি গ্রামের কুমারডিহি টোলার বাসিন্দারা। এখানকার বাসিন্দারা চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গ্রামে না আছে রাস্তা, না আছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে নদীর জল পান করেন তাঁরা।

এখানে কুমোর সম্প্রদায়ের মানুষরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। কিন্তু তাতেও এই ন্যূনতম পরিষেবা টুকুও জোটে না। কোনওরকমে চাষবাস করে তাঁরা নিজেদের পেটের ভাতের জোগান দেন।‌ তার উপরে রয়েছে এই সমস্ত সমস্যা। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেশনের চাল ও কেউ কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান।

আর‌ও পড়ুন: এখানকার মাখা সন্দেশ খেলে সেই স্বাদ জীবনে ভুলবেন না!

নদীর ধারে দাঁড়ি খুঁড়ে পানীয় জল সংগ্রহ করেন এই মানুষগুলো। ‌গ্রামে ঢোকার জন্য নেই কোন‌ও রাস্তা। ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। এমনকি প্রসূতি মহিলাদেরকে ডুলিতে করে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত নিয়ে গেলে তবে পাকা রাস্তায় ওঠা যায়।

এই বিষয়ে মাঠারি খামার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাধুরী সিং মুড়া বলেন, কুমারডিহি টোলার বস্তিটি বন দফতরের জমির উপরে থাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষে বিভিন্ন সময় নানান কাজ করতে অসুবিধা হয়। ‌

আর‌ও পড়ুন: মিনিট টর্নেডোয় থমকে গেছে জীবন, দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে রোজগারের চাকা

ওই এলাকায় ডিপ বোরিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজও সফল হয়নি। ‌আগামী দিনে তাদের এই সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা হয় পঞ্চায়েত সেই চেষ্টায় করবে। গ্রীষ্মে পুরুলিয়ায় জলের কষ্ট থাকে সর্বত্র। সেখানে দাঁড়িয়ে আজও নদী থেকে জল সংগ্রহ করতে হয় এই এলাকার মানুষদের। কবে এই এলাকার মানুষদের জীবনে সুদিন ফিরে আসবে তারই অপেক্ষায় রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি