দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : দামোদরের উপর তৈরি মাইথন জলাধার পর্যটকদের কাছে যতটা জনপ্রিয়, এই জলাধারের পরিচিতি পর্যটকদের কাছে ততটা নেই। অথচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকে কিছু কম যায়না জায়গাটি। জলধারটির নির্মাণশৈলীও আলাদা। পিকনিকের মরশুমে পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। তবে বাকি সময় সেই অর্থে দেখা পাওয়া যায় না তাদের।
কিন্তু এলাকাটি সাজিয়ে তুললে পর্যটকদের কাছে ঘুরতে যাওয়ার নতুন জায়গা তৈরি হবে। রনডিহা ব্যারেজ দামোদর ব্যারেজের পরে তৈরি আরও একটি জলাধার। বন্যা পরিস্থিতি রোধ করতে এবং দামোদরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই জলাধারটি তৈরি করা হয়েছিল। জলাধার সংলগ্ন এলাকা সবুজে মোড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানে নজরকাড়া। কিন্তু পর্যটকদের জন্য এখানে তেমন সুযোগ সুবিধা নেই। ফলে পর্যটকদের আনাগোনা কম। যদিও এলাকাটি সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি এখনও।
আরও পড়ুন : বন্যা প্রতিরোধের জলাধারই ভাসিয়ে দিচ্ছে! জমিজটই কি দুঃখের কারণ দামোদরের?
স্থানীয়রা বলছেন, মাইথন জলাধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকদের জন্য নানান সুযোগ সুবিধা রয়েছে। জলাধার সংলগ্ন এলাকা সুসজ্জিত। তাই জায়গাটি পর্যটকদের বারবার কাছে টানে। তেমনভাবে যদি রনডিহা ব্যারেজ সাজিয়ে তোলা হয়, তাহলে অচিরেই তা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। যার ফলে পর্যটকরা ঘুরতে যাওয়ার জন্য নতুন জায়গা পাবেন। কলকাতা থেকে খুব সহজে একদিনে এই জায়গা থেকে ঘুরে যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন : রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলেন সকলে! হঠাৎ করে বিকট শব্দে ঘুম ভাঙল, তারপর যা দেখলেন…
তারা বলছেন, ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা প্রশাসন নিয়েছে। যদি সেই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে শুধু পর্যটকরা উপকৃত হবেন, এমনটা নয়। উপকৃত হবেন স্থানীয়রাও। এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নতি হবে। তাছাড়াও সরকারও লাভবান হবে। তাই যদি প্রশাসন এলাকাটি সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেয়, তাহলে তা সকলের জন্যই মঙ্গলকর হবে।
নয়ন ঘোষ