জ্যোৎস্না চক্রবর্তী

Lok Sabha Election 2024: জেলার প্রবীণতম ভোটার তিনিই, বয়স ১০৪! বাড়িতেই ভোট দেওয়ার উদ্যোগ নিল প্রশাসন

দক্ষিণ দিনাজপুর: সরকারি তথ্য অনুসারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বয়স্কতম ভোটার জ্যোৎস্না চক্রবর্তী কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। বয়স বর্তমানে ১০৪ বছর। কানে কম শোনেন বটে। কিন্তু এখনও স্নান, খাওয়া থেকে নিজের কাজ নিজেই করেন। স্বামী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মৃত। তিনি সরকারি দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। সামনে লোকসভা ভোট। প্রতি ভোটেই তিনি নিয়ম করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ বার‌ও ভোট দেবেন। যা নিয়ে শুধু আত্মীয়-পরিজনেরাই নন, বিশেষ তৎপর প্রশাসন‌ও।

আরও পড়ুনঃ এক লাফে কমবে ৩কেজি! জিম-ডায়েট ছাড়ুন! দুপুরের এক ‘খাবারে’ বুলেট গতিতে কমবে ওজন!

জ্যোৎস্নাদেবীর জন্ম হয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্যে। বর্তমানে তাঁর দুই পুত্র এবং তিন কন্যা, পুত্রবধূ, জামাতা এবং নাতি-নাতনী রয়েছে। তার এক কন্যা মৃত। দেশভাগের স্মৃতি জ্যোৎস্নাদেবীর কাছে এখনও টাটকা রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন জ্যোৎস্নাদেবী প্রতিবার নিয়ম করে ভোট দেন। সকালবেলা থেকেই আশেপাশের বাড়িগুলিতে তিনি ঘুরে ঘুরে কথাবার্তা বলেন। প্রতিবেশীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জ্যোৎস্নাদেবী সকলের ব্যাপারেই খোঁজখবর রাখেন। এমনকী প্রশাসনিক তৎপরতায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে তাঁর বাড়িতে ভোট নিতে আসছেন নির্বাচনের কাজে যুক্ত আধিকারিকেরা।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Lok Sabha Election 2024 West Bengal

তখনকার দিনের মাধ্যমিক পাস জ্যোৎস্নাদেবী জানালেন, “আগের দিনের নির্বাচন হত ব্যালট পেপারে। তিনি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। এখন অবশ্য ইভিএম এর মাধ্যমে তিনি ভোট দিচ্ছেন। এবারে ২৬ এপ্রিল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের জন্য যে ভোট নেওয়া হবে তিনি সেই গণতন্ত্রের উৎসবে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানান।এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, “দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্নাদেবী সরকারি খাতায় জেলার বয়স্কতম ভোটার। তিনি যাতে বাড়িতে বসেই লোকসভার ভোট দিতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে। সেই ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া চলছে।”

জানা গেছে, ওপার বাংলা থেকে স্বামীর সঙ্গে কবে এ জেলায় এসেছিলেন, মনে করতে পারেন না জ্যোৎস্নাদেবী। সে আমলে স্কুল ফাইনাল উত্তীর্ণ ওই বৃদ্ধার কাছে ফেলে আসা দিনের কথা জানতে চাইলে বাংলাদেশের টুকরো স্মৃতিকথা শোনান। তার পরেই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। যদিও তাঁর আক্ষেপ, ১০-১৫ বছর আগে তিনি শেষ বার্ধক্য ভাতা পেয়েছিলেন কিন্তু কোন এক অজানা কারণে বর্তমানে তাঁর বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বললেন এই বার্ধক্য ভাতা যদি আবার শুরু হয় তাহলে তিনি খুব উপকৃত হবেন।

সুস্মিতা গোস্বামী