জলপাইগুড়ি: শত বছর পেরিয়েও মমতাকে একবার চোখে দেখার ইচ্ছে তাঁর! ১০১ বছরেও একদম সচল ভোটার জলপাইগুড়ির রাজেন্দ্রবাবু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বচক্ষে দেখার ইচ্ছে নিয়ে এবারও দেবেন ভোট তিনি।
পরিবারের সদস্যেরা সদ্য উদযাপন করেছে ১০১ তম জন্মদিন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম প্রবীণ ভোট দাতা রাজেন্দ্র কিশোর রায়। গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় রাখতে প্রতি বছর ভোট দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা তাঁর অটুট। এই বয়সেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার হলেও চোখের সামনে দেখতে চান তিনি। সাংবাদ মাধ্যমকে কাছে পেয়ে এই আবেদন জানাতে ভোলেননি প্রবীণ এই নাগরিক।
বয়সের নীচে চাপা পড়ে যাওয়া স্মৃতি হাতড়ে আজও বললেন, ‘‘ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ সাল থেকেই দিয়ে আসছেন ভোট। কোনও বছর বাদ পড়েনি। এবারেও অন্যথা হবে না।’’ তবে, শুধু ভোট দেবার ইচ্ছেই নয়, শাসক দলকে জয়ীর আসনে দেখতে চাইছেন এই প্রবীণ গণদেবতা।
এ বিষয়ে এক্কেবারে অকপট রাজেন্দ্র বাবু। জলপাইগুড়ির কংগ্রেস পাড়ার বাসিন্দা এই প্রবীণের চার প্রজন্ম নিয়ে ভরা সংসার। অনেকেই কর্মসূত্রে থাকেন বিদেশে। সম্প্রতি রাজেন্দ্র বাবুর ১০১ বছরের জন্মদিন পালন করেছে পরিজনেরা।
কীভাবে শতবর্ষ ছুঁয়েও এত সচল? জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়মমাফিক জীবনযাপন এবং নিয়মিত বই পড়া তার এমন সচল জীবন যাত্রার চাবিকাঠি। এখনও রাতে বই না পড়লে ঘুম আসে না তাঁর। এক সময় চা বাগানে কর্মরত এই প্রবীণের ৮৮ বছর বয়সি স্ত্রী পারুল রায়ও বেশ সচল। রাজনৈতিক বিষয়ে তারও রয়েছে নিজস্ব মতামত। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে প্রস্তুত উভয় প্রবীণই।
সুরজিৎ দে