কার্তিক পাল

Lok Sabha Elections 2024 Result: দল বদলেই বাজিমাত! কৃষ্ণ নয়, রায়গঞ্জ রায় দিল কার্তিকের পক্ষে! আফসোস তৃণমূলের

উত্তর দিনাজপুর: দলবদলু হয়েও নিজের কারিশমায় বাজিমাত করলেন রায়গঞ্জ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে এবারও জয়ের তকমা ছিনিয়ে নিল বিজেপি।

৬৮,১৭৩-এর বেশি ভোটে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল। ২০১৯ সালের রায়গঞ্জ লোকসভার এই আসনে ৫১ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। তবে এবারে গতবারের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করলেন বিজেপি প্রার্থী তথা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল।

আরও পড়ুন: বাঁশ বাগানে কুচকুচে কালো ওটা কী? কাছে ‌যেতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! মালবাজারে চাঞ্চল্য

২০২০ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কার্তিকবাবু। ছাত্র পরিষদের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের। ১৯৯৪ সালে তিনি কালিয়াগঞ্জ কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে স্নাতক পাস করেন। কলেজ জীবন থেকেই তিনি ধীরে ধীরে জেলা কংগ্রেসের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।

আরও পড়ুন: বিজেপির একজনও নেই, ১১ মহিলা সাংসদ নিয়ে সংসদে মমতার ‘টিম’! নতুন মুখ ৫

পরবর্তীতে কংগ্রেসের নেতাও হন। কিন্তু ২০১৬-তে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর ২০২০-র শেষে তৃণমূল থেকে সরাসরি বিজেপিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কার্তিকবাবুর রাজনৈতিক কেরিয়ার রামধনুর মতো রঙিন বললেও ভুল হবে না। তবে তিনি যেই দলেই থাকুন না কেন তিনি সর্বদাই মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। তাই লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবিতেও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে মান রক্ষা করতে পেরেছেন কার্তিক চন্দ্র পাল।

যেখানে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফলাফল করেছে সেখানে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের ভরাডুবিতে স্বভাবতই তৃণমূলের সমর্থক থেকে নেত্রীবৃন্দ সবাই ভেঙে পড়েছে। এক সাক্ষাৎকারে উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগারওয়াল জানান, ‘এই হার আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক! কেন এই ধরনের ঘটনা পরপর দু’বার হল আমরা এই হারের মূল কারণ উদঘাটন করব।’

উল্লেখ্য রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে কার্তিক পালের এই বিশাল জয়ে সারা উত্তর দিনাজপুর জেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরের আপামর জনগণ এদিন কার্তিক চন্দ্র পালের শেঠ কলোনির বাড়ির সামনে অধিক রাত পর্যন্ত আনন্দে গা ভাসিয়ে দেন।

পিয়া গুপ্তা