সায়রা শাহ হালিম

CPIM: বেরিয়েছিলেন প্রচারে, তারপর যা অভিযোগ জানালেন সায়রা শাহ হালিম…! জানুন

কলকাতা: প্রচারে বাধা দেওয়ার ছবি ভাইরাল করেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে শুরু করলো সিপিএম। কীভাবে? প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। প্রচারে গিয়েছিলেন হরিশ মুখার্জি রোডে। সেখানে প্রচারের সময় তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রার্থীর। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

প্রচারে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুর এলাকায় বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন সায়রা। অভিযোগ যে, তাঁরা প্রচার করতে করতে হরিশ মুখার্জি রোডে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে বলা হয়, এত জনের জমায়েত করা হবে না। দেখা যায়, এই নিয়ে কালীঘাট থানার পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন সায়রা এবং বাম কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আসন সমঝোতা নিয়ে কী ভাবছে সিপিএম? কোন আসনে প্রার্থী দেবে কে? বিরাট চমক আলিমুদ্দিনের আলোচনায়

এ প্রসঙ্গে সায়রা বলেন, “আমি প্রার্থী প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাওয়া আমার অধিকার। আমার বক্তব্য তাঁদের কাছে বলতে হবে। এ বিষয়ে আমাকে কেনও আটকানো হবে? এক সঙ্গে এটা ভোটারদেরও অধিকার প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। তাঁদের বক্তব্য শোনার। পুলিশ কি সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে? নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ জানানো হবে।”

প্রসঙ্গত, যে এলাকায় সায়রাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই এলাকাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাস। যদিও এ প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। তাই যে কোনও দলের প্রার্থী কোথাও প্রচারে গেলে তাঁকে সুনির্দিষ্ট পোর্টালে ঢুকে আবেদন করতে হয়। যেখানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে সায়রাদের প্রচারের অনুমতি ছিল না।

এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। সিপিএমের অভিযোগ ইতিমধ্যে কমিশন ইমেলের মাধ্যমে পেয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের। যদিও পুলিশের তরফে বক্তব্য, নির্ধারিত রুটের বাইরে অন্য পথে মিছিল করায় আটকায় পুলিশ। কমিশন ‘নির্দিষ্ট রুটম্যাপ’ আমরা চেয়ে পাঠিয়েছে। এ দিকে প্রার্থী কে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেটাকেই প্রচারের মাধ্যম করে তুলেছে সিপিএম। দলের ডিজিটাল শাখার পক্ষ থেকে এই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।