আগরতলা: দুর্নীতিমুক্ত দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করুন। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতি নিছক নাটক ছাড়া কিছুই নয় প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছেন নির্বাচনের মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য এবং প্রতিশ্রুতি নিছক নাটক ছাড়া কিছুই নয়। মানুষ এখন আর তাদের কথায় বিশ্বাস করে না। তাদের কাছে মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য কোন ইস্যু নেই। এই লোকসভা নির্বাচন দেশের উন্নয়নের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করার নির্বাচন।”
ধলাই জেলার সুরমায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে নির্বাচনকে ঘিরে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আগরতলা এসে বলেছেন ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’
মানিক সাহা তাঁর ভাষণে বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় ছিল। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতির সাক্ষী হয়েছে দেশ। সেসময় সীমান্তে আমাদের সৈন্যদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। সংসদ ভবন আক্রমণের শিকার হয়েছিল। একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করেছিল তখন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয়। অতীতে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কিভাবে ইউপিএ সরকারের আমলে চিন আমাদের ভূখণ্ড দখলের প্রয়াস করেছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন কেউ এই সাহস দেখায়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়েছেন উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি হিরা মডেল এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি চালু করেছেন। “
এর পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কী ভাবে জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন সেবিষয়ে আলোচনা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোট দাবি করে যে এখানে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু এখন তাদের সমাবেশে যোগ দিতে কিংবা বক্তৃতা শুনতে কেউ আর আসে না। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে তাদের প্রতিশ্রুতিগুলি নিছক নাটকীয়।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের নির্বাচনে মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। ত্রিপুরায় সর্বোচ্চ ভোটের রেকর্ডও হয়েছে এবং মানুষ পূর্ব লোকসভা আসনের জন্যও বিপুল সংখ্যক ভোট দেবেন। সিপিএম ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জনজাতি সম্প্রদায়কে এতদিন শোষণ করে এসেছে। কমিউনিষ্ট ও কংগ্রেস জমানায় ত্রিপুরার মানুষ হিংসা ও অস্থিরতা প্রত্যক্ষ করেছে। তাই এখন তারা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছেন। তাই উন্নত এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে, আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”