গাছের কোঠরে মন্দির 

Lord Shiva: বট গাছের মধ্যে বসে আছেন শিব! দর্শনেই যা চাইবেন ফলে যাবে! ঘরে বসেই দেখুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভক্তি ভরে ডাকলে পূরণ হয় মনের আশা। প্রান্তিক গ্রামে পুরানো বটগাছের কোঠরে থাকা শিবলিঙ্গকে ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। প্রাচীন ইতিহাস ও ভক্তি যেন মিলেমিশে একাকার এখানে।গ্রামের নয়, দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে পুরানো এক বটগাছ। তার নেমে আসা ঝুরি, ঘিরে রেখেছে একটি শিবলিঙ্গকে। এটি আসলে প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় প্রাচীন এক শিবমন্দির। দুর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মন্দিরে পুজো দিতে। তবে মন্দিরে এলে মন জুড়াবে আপনারও। প্রকৃতি এবং বিশ্বাস এখানে মিলেমিশে একাকার।

ঠিক যেন বিশ্বাসে মিলায় ভগবান। বাইরে মন্দিরের দালান থাকলেও পুরোনো বটগাছের কোঠরে অবস্থান শিবলিঙ্গের। এ যেন পরিচিত মন্দিরের অন্য ছবি। এখানেই প্রায় দেড়’শ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মহাদেব। পরিবারের সমস্যা থেকে নানা মনস্কামনা পূরণের আশা নিয়ে আসেন দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে ভক্তরা। পুজো করেন গাছের কোঠরের ভেতরে গিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ছাতারকোল গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন শিবালয় মন্দিরটি।

আরও পড়ুন: সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে? শরীর যেন চলেই না! খালি পেটে খান এই ফুলের বীজ!

প্রসঙ্গত জঙ্গল ছিল গ্রামীণ এলাকার এই স্থান। দেড়’শ বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পান মহাদেব এখানে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এরপর থেকেই রীতিনীতি মেনেই এখানে হয় শিবের উপাসনা। তবে গ্রামীন এলাকার এই মন্দিরে এলে মন জুড়াবে আপনার। একাত্ম হতে পারবেন আধ্যাত্মিকতা এবং প্রকৃতির সঙ্গে। ১৫০ বছরের এই প্রাচীন ছাতারকোল শিবালয় মন্দির। প্রতিদিন নিত্য পুজো হলেও বছরের চৈত্র মাসের নির্দিষ্ট দিনে বড়পুজো হয় এখানে। হয় গাজন উৎসব।

বিভিন্ন জায়গায় বড় মন্দির থাকলেও এখানে নেই সুউচ্চ মন্দির। ঠাকুর দালান থাকলেও সেটি রয়েছে গাছের কাণ্ড ছাড়িয়ে। তবে আসল মন্দির বা দেবস্থানটি রয়েছে বটগাছের কোঠরে। বাইরে দালান থাকলেও মন্দিরের উপর নেই কোনও ছাউনি। রোদ, জল-বৃষ্টিতে গাছের আচ্ছাদনেই থাকেন মহাদেব। মনস্কামনা পূরণের পর এসে পুজোও দেন অনেকে। একবার ঘুরে দেখুন গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত এমন মন্দির, যা আচ্ছাদিত গাছের ঝুরিতে।

রঞ্জন চন্দ