Tag Archives: Temple

South 24 Parganas News: অতি প্রাচীন এই শীতলা মন্দিরে বৈশাখের শেষ সপ্তাহে ভক্ত সমাগম

নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রতি বছর বৈশাখের শেষ সপ্তাহে কৌতলার শীতলা মন্দিরে ভিড় জমান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই মন্দির খুবই জাগ্রত। প্রচীন এই মন্দিরকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক গল্পকথা।এই মন্দির আগে জঙ্গলের মধ্যে ছিল বলে দাবি মন্দিরের সেবায়েত রনজিৎ চক্রবর্তীর। পরে জমিদারি আমলে মন্দিরের জায়গা হস্তান্তিরত হয় বর্তমান সেবায়েতদের কাছে। বর্তমানে মন্দিরটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বৈশাখের শেষ সপ্তাহে এই উপলক্ষে তিন দিন ধরে চলে মেলা।

এবছর শতাধিক দোকান ও প্রায় পাঁচ হাজার পুণ্যার্থী এখানে এসেছেন। বর্তমানে এই মন্দিরের পরিচিতি ছড়িয়েছে জেলার অন্যান্য জায়গাতেও।সেজন্য আগের থেকে এখন অনেক বেশি মানুষজন এখানে আসেন। তিনদিন ধরে ভক্তরা তাঁদের পুজোর উপকরণ সাজিয়ে রেখে যান। পরে সেগুলি পুজো দিয়ে ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়।

আরও পড়ুন : ঘি খেলে ওজন কমে নাকি বাড়ে? কীভাবে ঘি খেলে কমবে ব্লাড সুগার? জানুন সুস্থ থাকতে রোজ কতটা ঘি খেতে পারবেন

এভাবেই বছরের পর বছর ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে চলছে এই পুজো। পুরানো মন্দিরটির জায়গায় বর্তমানে নতুন মন্দির করা হয়েছে। যেখানে অনেক লোক আসেন সারা বছর ধরেই। তবে বছরের এই কিছু দিন বেশি লোক আসেন সেখানে। এই উপলক্ষে সেখানে মেলাও বসে। আপনিও সময় পেলে ঘুরে আসুন এখান থেকে।

Rabindranath Tagore Birth Anniversary: আরাধ্য দেবতার আসনে বিশ্বকবির বিগ্রহ, এই মন্দিরে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে অবস্থিত ‘উত্তরের শান্তিনিকেতন’-এর মন্দিরে ঈশ্বর রূপে পূজিত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। শিলিগুড়ি শহরের অদূরে ঠাকুরনগর এলাকায় অবস্থান মন্দিরের। লোকমুখে “উত্তরের শান্তিনিকেতন” বলেই পরিচিত এই জায়গাটি।শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা শংকর ঘোষ ২০০২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

শংকর বাবুর কথায়, তাঁর গুরু শরৎচন্দ্র দাস মহাশয়ের ইচ্ছায় “শ্রী শ্রী গৌড় ভবামিত বিশ্ব কল্যাণকামী হরিগুরু সংঘ” শুরু করেছিলেন। এই সংঘের নামটিও রবি ঠাকুরের দেওয়া বলে তাঁদের দাবি। শংকর বাবুর গুরুদেব ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরম ভক্ত। গুরুর আদেশ মতোই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বের দরবারে পূজিত করার লক্ষ্যে মন্দির স্থাপনা করেছিলেন তিনি এবং পুজোও শুরু করেছিলেন এই মন্দিরে। মৃত্যুবার্ষিকী এবং জন্মবার্ষিকীতে সকলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে মনে করলেও, আজও তিন বেলা রবি ঠাকুরের পুজো করা হয়ে থাকে এই মন্দিরে। জন্মবার্ষিকীতে ভোগ দিয়ে, রীতিমতো ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে এখানে।

তিন বিঘা জমির উপর ঠাকুরনগরের “উত্তরের শান্তিনিকেতন” তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা চিন্তা করে। তবে সাহায্যের অভাবে পরিকাঠামোগত অভাবে আজও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে শংকরবাবুর।

আরও পড়ুন : গরমে বিউলির ডাল খাচ্ছেন? এঁরা ভুলেও কলাইয়ের ডাল খাবেন না! এই ডাল খেলেই চরম বিপদ এঁদের

মন্দিরের পূজো দিতে এসে শংকরবাবু বলেন, ” গোটা ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যে মন্দিরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজা দিয়ে থাকি আমরা। প্রতিদিন তিন বেলা পুজো দেওয়া হয়। এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নিজের হতে পায়েস রান্না করে ভোগ দিই।” করোনা কালের পর থেকে যদিও সাড়ম্বরে অনুষ্ঠান পালন করা বন্ধ হয়েছে।

শংকর বাবু আরও জানান, “আমি আজও দুয়ারে দুয়ারে ছুটছি সাহায্যের জন্য, সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এলেই এখানে গরিব অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয়ের জায়গা তৈরি করব।” বর্তমানে শংকর বাবু এবং মন্দিরের এক পূজারী রয়েছেন। তাঁরাই মন্দিরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন।

Lord Shiva: বট গাছের মধ্যে বসে আছেন শিব! দর্শনেই যা চাইবেন ফলে যাবে! ঘরে বসেই দেখুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভক্তি ভরে ডাকলে পূরণ হয় মনের আশা। প্রান্তিক গ্রামে পুরানো বটগাছের কোঠরে থাকা শিবলিঙ্গকে ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। প্রাচীন ইতিহাস ও ভক্তি যেন মিলেমিশে একাকার এখানে।গ্রামের নয়, দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে পুরানো এক বটগাছ। তার নেমে আসা ঝুরি, ঘিরে রেখেছে একটি শিবলিঙ্গকে। এটি আসলে প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় প্রাচীন এক শিবমন্দির। দুর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মন্দিরে পুজো দিতে। তবে মন্দিরে এলে মন জুড়াবে আপনারও। প্রকৃতি এবং বিশ্বাস এখানে মিলেমিশে একাকার।

ঠিক যেন বিশ্বাসে মিলায় ভগবান। বাইরে মন্দিরের দালান থাকলেও পুরোনো বটগাছের কোঠরে অবস্থান শিবলিঙ্গের। এ যেন পরিচিত মন্দিরের অন্য ছবি। এখানেই প্রায় দেড়’শ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মহাদেব। পরিবারের সমস্যা থেকে নানা মনস্কামনা পূরণের আশা নিয়ে আসেন দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে ভক্তরা। পুজো করেন গাছের কোঠরের ভেতরে গিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ছাতারকোল গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন শিবালয় মন্দিরটি।

আরও পড়ুন: সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে? শরীর যেন চলেই না! খালি পেটে খান এই ফুলের বীজ!

প্রসঙ্গত জঙ্গল ছিল গ্রামীণ এলাকার এই স্থান। দেড়’শ বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পান মহাদেব এখানে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এরপর থেকেই রীতিনীতি মেনেই এখানে হয় শিবের উপাসনা। তবে গ্রামীন এলাকার এই মন্দিরে এলে মন জুড়াবে আপনার। একাত্ম হতে পারবেন আধ্যাত্মিকতা এবং প্রকৃতির সঙ্গে। ১৫০ বছরের এই প্রাচীন ছাতারকোল শিবালয় মন্দির। প্রতিদিন নিত্য পুজো হলেও বছরের চৈত্র মাসের নির্দিষ্ট দিনে বড়পুজো হয় এখানে। হয় গাজন উৎসব।

বিভিন্ন জায়গায় বড় মন্দির থাকলেও এখানে নেই সুউচ্চ মন্দির। ঠাকুর দালান থাকলেও সেটি রয়েছে গাছের কাণ্ড ছাড়িয়ে। তবে আসল মন্দির বা দেবস্থানটি রয়েছে বটগাছের কোঠরে। বাইরে দালান থাকলেও মন্দিরের উপর নেই কোনও ছাউনি। রোদ, জল-বৃষ্টিতে গাছের আচ্ছাদনেই থাকেন মহাদেব। মনস্কামনা পূরণের পর এসে পুজোও দেন অনেকে। একবার ঘুরে দেখুন গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত এমন মন্দির, যা আচ্ছাদিত গাছের ঝুরিতে।

রঞ্জন চন্দ

Kumari Puja: আদ্যাপীঠের কুমারী পুজো! দুই হাজার কন্যাকে ফুল মালা দিয়ে করা হল পুজো!

উত্তর ২৪ পরগনা: সাত থেকে বারো বছর বয়সী প্রায় ২০০০ মেয়েদের পুজো করলেন বাবা মায়েরা। পুজো করার সুযোগ ছিল অন্যান্য ভক্তদেরও। আর এই পুজো ঘিরেই উৎসবের মেজাজ আদ্যাপীঠ মন্দিরে। দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদা ঠাকুর এর হাত ধরে “আদ্যামা” প্রাপ্তির ১১০ তম বর্ষ উপলক্ষে এই ২০০০ কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে কামারহাটির আদ্যাপীঠ মন্দিরে।

জানা যায় বহু যুগ আগে, অন্নদা ঠাকুর প্রথম এই কুমারী পুজোর সূচনা করেন৷ বর্তমানে আদ্যাপীঠ মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ব্রহ্মচারী মুড়ালভাই জানান, অন্নদা ঠাকুর সেই সময় ২৮ জন কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করতে যান৷ কিন্তু, তিনি দেখেন কুমারীর সংখ্যা ২৮ হলেও, পুজো গ্রহণ করছেন মোট ২৯ জন৷ কিছুতেই সেদিন হিসেব মেলাতে পারেননি অন্নদা ঠাকুর। পরে রাতে মা স্বপ্নে দেখা দেন তাকে। জানান স্বয়ং আদ্যামা নিজে রাম নবমীতে কুমারী বেশে এসে পুজো গ্রহণ করেছিলেন অন্নদা ঠাকুরের৷ সেই দিন থেকেই রাম নবমীতে মহা ধুমধাম এর সঙ্গে কুমারী পুজো হয়ে আসছে আদ্যাপীঠে। এখন সেই সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২০০০।

আরও পড়ুন: টক ডাল মাস্ট! গরম থেকে বাঁচতে দুপুরে কী কী খাবেন? জানুন ডায়েট চার্ট

এক সঙ্গে ২০০০ জন কুমারীকে এদিন মাতৃ জ্ঞানে পূজা করা হয় মন্দিরে। কুমারী মেয়েদের পা ধুইয়ে ফুল, মালা নিষ্ঠা সহকারে মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে পুজো করেন বাবা-মা সহ অন্যান্য ভক্তরাও। কুমারী পুজো ঘিরে আদ্যাপীঠ মন্দির এর পূজারীরাও বিশেষ রীতি মেনে পুজো করেন। এদিন দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তরা এসেছিলেন বিশেষ এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে। ভক্তদের জন্য বিশেষ ভোগের ব্যবস্থাও ছিল এদিন। নিজের কন্যাকে মাতৃরূপে পুজো করতে পেরে খুশি বাবা-মা রাও। এই তীব্র গরম উপেক্ষা করে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

Rudra Narayan Roy

Tarapith Temple : পয়লা বৈশাখ তারাপীঠে যাচ্ছেন তারা মায়ের দর্শনে? পৌঁছনর আগেই জানুন নতুন কী কী নিয়ম করা হল দর্শনার্থীদের জন্য

সৌভিক রায়, বীরভূম: আর হাতে গোনা কয়টা দিন, তারপরবাংলার ১৪৩১ সাল। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন মানেই বাঙালি বা ব্যবসায়ীদের কাছে এক আলাদা গুরুত্বপূর্ণ দিন।ওই বিশেষ দিনে বিভিন্ন মন্দিরে ভোর থেকেই থেকেই উপচে পড়ে ভিড়।বীরভূমেও অন্যথা হয় না। তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার কাছে দূর-দূরান্ত থেকে হালখাতা নিয়ে পুজো দিতে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরুটা যাতে ভাল হয়, সে জন্য মা তারার কাছে পুজো দিয়ে বছর শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু বছরে প্রথম দিন নয়।বছরের অন্যান্য দিনও হাজার হাজার, আবার কখনও কখনও লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।নতুন বছরের প্রথম দিনও দূর-দূরান্ত থেকে হোক বা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাতে তাঁদের পুজো ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, তার জন্য মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা করে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ থেকে শৃঙ্খলারক্ষা করার জন্য মন্দির চত্বরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনেরও এই দিনটির জন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে।

আরও পড়ুন : বেলের শরবত কি ব্লাড সুগারে খাওয়া ক্ষতিকর? বেল খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে? জানুন বিশদে

তারাপীঠ মন্দির কমিটির তথা তারামাতা সেবায়েত সংঘের সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ” একদিকে নতুন বছর অন্যদিকে শনি এবং রবিবার অর্থাৎ রবিবার পড়েছে বছরে প্রথম দিন।সপ্তাহের এই দু’দিন এমনিতেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। এইবার যেহেতু বাংলা বছরের প্রথম দিন রবিবার পড়েছে তার জন্য ভক্ত সমাগম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। বছরে প্রথম দিন পরিবারের মঙ্গল কামনায় যেমন ভক্তরা পুজো দেন, তেমনইব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিয়ে থাকেন। এত সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে এই কথা আগে থেকেই ভেবে একদিকে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে যেমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনইমন্দির কমিটি এবং তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে সমস্ত রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

এছাড়াও যেহেতু বীরভূমের তাপমাত্রা এমনিতেই অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। সেই কথা মাথায় রেখে সাধারণ যে লাইন রয়েছে সেই লাইনের ওপরে একদিকে যেমন ত্রিপল খাটিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হবে ঠিক তেমনইপর্যাপ্ত পরিমাণে জল,গুড়,বাতাসা,ছোলার ব্যবস্থা করা হবে মন্দির কমিটির তরফ থেকে। সব মিলিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরে।

Viral News: যা চাইবেন তাই পাবেন! সুতোয় বেঁধে দিন হাতি-ঘোড়া! এই মন্দিরে ছুটছে বহু মানুষ

ঝাড়গ্রাম: মনের ইচ্ছে জানিয়ে পুজো দিয়ে সুতোয় হাতি ঘোড়া বেঁধে দিয়ে এলে পূরণ হয় মনস্কামনা। এমনই বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে মন্দিরে পুজো। জঙ্গলমহল এলাকায় থাকা এই মন্দির ক্রমশ প্রচার লাভ করে। মন্দিরকে ঘিরে নানান ইতিহাস থাকলেও দেবীর মাহাত্ম্য এবং বিশ্বাস মিলে মিশে এক হয় এখানে। খড়গপুর মুম্বাই জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে গুপ্তমণি মন্দির। মন্দিরের মধ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার।জ্বলছে কয়েকটি ধূপ আর বেশ কয়েকটি মোমবাতি। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে পূজিতা হন দেবী।

মনস্কামনা পূরণের আশায় দুর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। বিশ্বাস আছে যে, যা মানত করা হয় তার সুফল জুটে। খড়গপুর থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই অবস্থিত দেবী গুপ্তমণির মন্দির। অনেক বিশ্বাস নিয়ে বহু দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। মনের ইচ্ছে জানিয়ে মানত করেন তারা। পেয়েছেন সুফলও। এভাবেই ব্যাপ্তি ঘটে দেবীর। প্রতিদিনের পাশাপাশি শনি, মঙ্গলবার এমনকি বছরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট দিনে বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে। দেবী গুপ্তমনিকে নিয়ে মত প্রচলিত থাকলেও জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকশো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দির। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষরাই পুজো করেন দেবী গুপ্তমনিকে।দেবী দুর্গা রূপেই পূজিতা হন মা গুপ্তমনি। আজও এই মন্দির সন্ধ্যার পর নিমজ্জিত হয় গাড় অন্ধকারে।

আরও পড়ুন: বছরে মাত্র এক মাস পাওয়া যায় এই ফুল! ডায়াবেটিস, জন্ডিস-সহ বহু জটিল রোগের যম!

কোনও আলো জ্বালানো হয় না, এমনকি প্রদীপও।  প্রাচীন রীতি মেনে গুপ্তমণি মায়ের পুজো করেন লোধা সম্প্রদায়ের মানুষজন। কলকাতা থেকে মুম্বইগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মা গুপ্তমণির মন্দির। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার আর খড়গপুর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার। জাতীয় সড়কের পাশে অতি সাধারণ এই মন্দির। মনস্কামনা জানিয়ে, ভক্তরা এখানে মাটির হাতি ঘোড়া পুজো দিয়ে বেঁধে যান। পূরণ হয় মনের আশা। এছাড়াও অনেকেই নতুন কেনা গাড়ি বা বাইক নিয়ে এখানে পুজো দিতে আসেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মা গুপ্তমণি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী গুপ্তমণি হলেন রক্ষার দেবী। তিনি তুষ্ট থাকলে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ভক্তদের বিশ্বাস, কোনও হারানো জিনিস ফিরে পেতে গুপ্তমণি দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে, তা সহজেই ফিরে পাওয়া যায়। তবে, সেই হারানো জিনিস ফিরে পেতে মন্দির প্রাঙ্গণের গাছে বাঁধতে হয় মাটির হাতি ও ঘোড়া। দেবী গুপ্তমণির অবয়ব অবিকল দেবী দুর্গার মত। মকর সংক্রান্তি এবং দুর্গাপুজোর সময় এখানে বেশ বড় আকারে পুজো হয়। তবে জাতীয় সড়কের পাশে সবুজ গেছে ঘেরা এই মন্দির, বিশ্বাস থাকলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন এই মন্দির থেকে ।

রঞ্জন চন্দ

Viral News: রায়দিঘিতে জাগ্রত নারায়ণী দেবীর মন্দির! অলৌকিক কাহিনি অবাক করবে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের জাগ্রত নারায়ণী মন্দিরে গেলে দেওয়া হবে সমস্ত দেবতার পুজো। কিন্তু কীভাবে তা জানতে অবশ্যই আসতে হবে রায়দিঘির রাজুয়াখিতে। আসলে এই নারায়ণী থানটি একসময় গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবার নাইয়াদের অধীনে ছিল। জঙ্গলের এক প্রান্তে ছিল এই থান। এখানে পুজো দিয়ে স্থানীয়রা একসময় জঙ্গলে যেতেন।পরে প্রায় ১০০ বছর আগে নাইয়া পরিবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়লে গ্রামের মানুষজন এই থান দেখভাল করতে থাকে‌।

বর্তমানে এখানে রয়েছে মা কালী, মহাদেব, মা নারায়ণী, গাজীবাবা, বনবিবি, শীতলা সহ একাধিক ঠাকুরের প্রতিমা। স্থানীয়রা সেজন্য এই স্থানটিকে খুবই জাগ্রত হিসাবে মানেন। এতগুলি ঠাকুর একসঙ্গে থাকলেও, এই থান কিন্তু মা নারায়ণীর নামেই বেশি পরিচয় লাভ করেছে। স্থানীয়রা মনে করেন বনবিবির সঙ্গে এই মা নারায়ণীর সখ‍্যতা আছে।

আরও পড়ুন: এই নিয়মে ঘি খেলেই কমবে ওজন! চিকিৎসকের মত চমকে দেবে!

এখানে ঠাকুর থানের পাশেই আর একটি ঘরে অবস্থান করেন বনবিবি।
এলাকার মানুষজন মা নারায়ণীকে প্রবল ভক্তির সঙ্গে পুজো করেন আজও। ঠিকমত এই মন্দির সংস্কার করলে এই জায়গাটি আগামীতে ঐতিহাসিক স্থানের মধ‍্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

নবাব মল্লিক

West Medinipur News: পুকুরে স্নান করে মন্দিরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস, জানুন কোথায় আছে এই মন্দির

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর:  প্রচলিত বিশ্বাস,  পুকুরে স্নান করে মন্দিরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয় সকলের। মনস্কামনা জানিয়ে দুর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন পুজো দিতে। শিবরাত্রি ও শিব চতুর্দশীর দিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে এই প্রাচীন মন্দিরে। মানুষের বিশ্বাস, যাঁদের সন্তান-সন্ততি হয় না, সর্বক্ষণ রোগ জ্বালায় জর্জরিত হন, তাঁরা এই মন্দিরে এসে, স্নান করে পুজো দিলেই সন্তান-সন্ততি লাভ হয় এবং রোগ থেকে নিরাময় হওয়া যায়।

মেদিনীপুর জেলার আনাচে কানাচে রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। রয়েছে নানা কাহিনী। প্রাচীন ইতিহাস ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি।এমন এক প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী ও নিদর্শন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার ভগ্নপ্রায় মন্দির, কেদার ভুড়ভুড়ী ও চপলেশ্বর জীউর মন্দির। প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির। এই মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের নানা কাহিনী।শিবরাত্রি ও চতুর্দশী উপলক্ষে বসেছে মেলাও। পনেরো দিন ধরে চলবে এই মেলা।

আরও পড়ুন : ৬ ফুট উচ্চতার শিবলিঙ্গ বর্ধমানেশ্বর সাড়ম্বরে পূজিত মহাশিবরাত্রির পুণ্যলগ্নে

বহু বছর আগে শুরু হয়ে এখনও পরম্পরায় চলেছে এই কেদার ভুড়ভুড়ি চপলেশ্বর জীউর মন্দিরে এর পুজো। মন্দিরের পূর্ব দিকে রয়েছে সেই ঐতিহাসিক কেদার ভুড়ভুড়ি। এখনও মানুষের বিশ্বাস ওই কেদার ভুড়ভুড়ি একটি উষ্ণ প্রস্রবণ। জলে স্নান করলে সর্ব রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। যা মন্দিরের শিবলিঙ্গর সাথে যুক্ত রয়েছে। বর্ষাকালে আজও নাকি ভুড়ভুড় করে মাঝেমধ্যে জল উঠতে দেখা যায়।

মন্দিরের ইতিহাস ঘাটলে নানা মত পাওয়া গেলেও মানুষের বিশ্বাস যাদের সন্তান-সন্ততি হয় না, সর্বক্ষণ রোগ জ্বালায় জর্জরিত এই মন্দিরে এসে ওই কেদার ভুড়ভুড়িতে স্নান করে পুজো দিলেই সন্তান-সন্ততি লাভ হয়।

পাশাপাশি সব রোগ থেকে নিরাময় হওয়া যায়। মন্দিরটি নির্মিত রয়েছে পুরোটাই পাথরের। সারা বছর বিভিন্ন দিনে এখনওভিড় জমে ভক্তদের। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ কামনা পূরণের জন্য আসেন এই মন্দিরে। পাশাপাশি পনেরো দিন ধরে চলে পুজো অর্চনা ও মেলা।

Hooghly Temple: ৪০০ বছরের প্রাচীন পোড়ামাটির জোড় বাংলা মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী ধরে রাখতে উদ্যোগ

শুভজি‍ত ঘোষ, গোঘাট: সরকারের উদ্যোগে প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী ধরে রাখতে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে জোড় বাংলা শিব দুর্গা মন্দির। হুগলির গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ এলাকার জনপদ পোড়ামাটির মন্দিরে ভরা ছিল। আনুমানিক ৪০০ বছরও বেশি পুরনো এই জোড়বাংলা শিবদুর্গা মন্দির। বাংলার দুটি কুটির ঘর পাশাপাশি জুড়ে দিলে যা হয় তাই ‘জোড় বাংলা’। বর্তমানে মন্দিরগুলির ভগ্নদশা। সরকারি আনুকূল্যে সংস্কারের কাজ চলছে।

জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ ফুট উঁচু মন্দিরের চূড়ায় একটি গম্বুজের ওপর ন’টি নবরত্নচূড়া আছে। এই মন্দিরের গায়ে অপূর্ব কারুকার্য। পোড়ামাটি শিল্পকলায় নানা পৌরাণিক কথা বর্ণিত রয়েছে শিব-দুর্গা মন্দিরে। তাদের মধ্যে কোনওটা সমাজ নিয়ে, কোনওটা দেব-দেবী নিয়ে, আবার কোনওটা উঠে এসেছে ইতিহাসের পাতা থেকে। রয়েছে পোড়ামাটির পাঁচটি অপূর্ব বড় আকারের মূর্তি, এ গুলি মা দুর্গা  এবংতাঁর সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ। মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে সামনের অংশ দিয়ে পিছনে গেলে সিঁড়ি পাওয়া যায়, যা বেয়ে শীর্ষে উঠা যায় মন্দিরের।

আরও পড়ুন : সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টোটো চালিয়ে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে, সংসারের ভার বয়েও স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন তমা

এই জোড়বাংলা মন্দিরের পাশে বিষ্ণু মন্দির এবং মঙ্গলচণ্ডী মন্দির রয়েছে। সেটিরও ভগ্নদশা এখন। তার গায়ে তো সুন্দর নকশা করা আছে। প্রতিদিনই নিয়ম করে পূজা করেন রাউত পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা এই শিবদুর্গা মন্দির বয়স বলতে সে ভাবে পারলেন না। তাঁদের অনুমান প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন হবেই। দুর্গাপুজোর সময় টানা বেশ কিছুদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং যাত্রারও আয়োজন করা হয়। পুজোর কয়েকটা দিন আনন্দে কাটান সকল সদস্য। ইচ্ছে হলে হুগলির প্রাচীন এই মন্দিরে কাটিয়ে‌ যেতে পারেন কিছু ক্ষণ। পুজোর সময় ধূমধাম লোকে লোকারণ্য আর বছরের অন্য সময়ে নিরিবিলি।

Hooghly News: খানাকুলের রত্নাকর নদের তীরে সতীপীঠ রত্নাবলী মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়

শুভজিত ঘোষ, খানাকুল:  হুগলির খানাকুলে রয়েছে সতীপীঠ। রত্নাকর নদের তীরে অবস্থান বলে এই পীঠের নাম রত্নাবলী। স্থানীয় বাসিন্দারা একে ডাকেন আনন্দময়ী শক্তিপীঠ নামে। কথিত, এখানে দেবী সতীর ডান কাঁধ পড়েছিল। দেবী এখানে হলেন কুমারী। আর, মহাদেবের রূপ ভৈরবকে ডাকা হয় ঘণ্টেশ্বর নামে। কাব্য মীমাংসা গ্রন্থে এই পীঠের কথা বলা আছে। সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশও এই সতীপীঠে তন্ত্রসাধনা করতেন।

আরও পড়ুন : আসছে মহাশিবরাত্রি, সাজো সাজো রব জলপাইগুড়ির প্রাচীন জল্পেশ মন্দিরে

দেবী এখানে মুণ্ডমালিনী ও চতুর্ভুজা । তাঁর দুই বাম হাতের একটিতে রয়েছে খাঁড়া। অন্যটিতে অসুরের মাথা। দুই ডান হাতে অভয় মুদ্রা। দেবীর মাথায় রয়েছে মুকুট এবং গলায় হার। এই পীঠে দেবী এবং ভৈরবের নিত্যসেবার ব্যবস্থা রয়েছে। ফল, মিষ্টির সঙ্গেই নিত্যসেবায় থাকে অন্নভোগও। সন্ধ্যার সময় দেবী ও ভৈরবের আরতি হয়। আশ্বিন ও চৈত্র মাসের নবরাত্রি, দীপান্বিতা অমাবস্যা, কার্তিক অমাবস্যা, মাঘের রটন্তী চতুর্দশী, মহাশিবরাত্রিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। গাজনের মেলাও বসে এখানে।