কোটিপতি হয়েও থানায়

Lottery: লটারিতে জিতলেন কোটি টাকা, তারপরই তিন দিন ধরে থানায় যুবক! আসল ঘটনা শুনলে আঁতকে উঠবেন

বর্ধমান: অপরাধ না করেই তিন দিন ধরে থানায় রাত কাটাতে হল এক যুবককে। কিন্তু কেন? কারন জানলে অবাক হবেন আপনিও। হঠাৎই বদলে গিয়েছে ওই যুবকের ভাগ্য। লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা বামাচরণ মেটে। কিন্তু এখন নিরাপত্তার জন্য তাকে তিনদিন ধরে থাকতে হল আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়িতেই। তাঁর ভয় যদি কেউ ছিনতাই করে নেয় তার টিকিট! তখন তো আর কিছুই করার থাকবে না। সেই আতঙ্কেই পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেওয়া তাঁর।

তিনি বামাচরণ মেটে। মাত্র ষাট টাকা খরচ করে তিনি যে কোটিপতি হয়ে যাবেন ভাবতে পারেননি তিনিও। বামাচরণ জানান,ফসলে দেওয়ার জন্য সার কিনতে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। আর সেই ১০০ টাকায় বদলে গেছে তার ভাগ্য। সারের দোকান বন্ধ থাকায় সোমবার সকালে সেই টাকা থেকে ষাট টাকার লটারির টিকিট কাটেন তিনি। তাতেই বাজিমাত।
দুপুরে খেতে বসে ফোনে টিকিট মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় রামচরণের। তাঁর যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রথম পুরস্কার জিতেছেন তিনি।জানতে পারার পর আর কালক্ষেপ করেননি। সোজা চলে যান আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়িতে।

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ লাইনের নিত্যযাত্রীদের জন্য বিরাট খবর! সময় পাবেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড, তার মধ্যেই যা করতে হবে…

লটারিতে কোটিপতি হয়ে গিয়েও শান্তি নাই তার। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছিলেন তিনি। তাই পুরস্কার জেতার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ভাইপোকে নিয়ে থানায় চলে আসেন। সেখানে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানান বামাচরণ। তাঁর আবেদনে সাড়া দেয় পুলিশ।

সোম,মঙ্গল, বুধবার ছোড়া ফাঁড়িতেই সময় কাটান তিনি। তাঁর নিজস্ব কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তাই কী করণীয় সেসবও পুলিশ অফিসারদের কাছ থেকেই জেনে নেন বামাচরণ। বুধবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের স্হানীয় শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে কলকাতায় লটারি সংস্হার অফিসে যান তিনি। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম পুরস্কার পেয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন ওই ব্যক্তি। তাই তিনি তিনদিন পুলিশ ফাঁড়িতে ছিলেন।