পাঁচমিশালি Love: শুনলে চমকে উঠতেই হবে! পৃথিবীতে সবথেকে রোম্যান্টিক শহর কোনটি? শুনে বিশ্বাস হবে তো! Gallery June 24, 2024 Bangla Digital Desk দৈনন্দিন জীবনের রুটিন থেকে ছুটি নিয়ে রোমান্টিক যাত্রা উপভোগ করার সুযোগ হয় আপনার? অনেক দম্পতি শুধু রোম্যান্টিকতার কারণেই পাড়ি জমান পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ভেনিস থেকে শুরু করে বালি পর্যন্ত। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে রোম্যান্টিক শহরের আদ্যোপান্ত। ভালবাসার শহর হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সের এই শহর। যুগলদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। সেইন নদীর তীরে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার থেকে শুরু করে টিউইলারিজের সুন্দর বাগানের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময় সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ। রোম্যান্টিকতায় ভরপুর প্যারিস। পুরো শহরের একটি নান্দনিক দৃশ্য দেখার জন্য অনেক দম্পতি আইফেল টাওয়ারের শীর্ষে চড়েন। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা টম ক্রুজও নাকি কেটি হোমসকে আইফেল টাওয়ারের সামনেই প্রপোজ করেছিলেন। শহরটি হল প্যারিস। প্যারিস ফ্রান্সের রাজধানী। ২২ লক্ষ বাসিন্দার এই শহরের আয়তন ১০৫ বর্গ কিলোমিটার। পুরো ফ্রান্সের জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশের বাস এই শহরে। যার কারণে প্যারিস ইউরোপীয় ইউনিয়নে জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় শহর। আর এই কারণেই বোধহয় শুধু ফ্রান্স না, পুরো পশ্চিম ইউরোপের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক বড় অংশকে লালন করে এই শহর। প্যারিসের প্রতীক ‘আইফেল টাওয়ার’ থেকে একপলক ফেললেই চোখে পড়বে রূপকথার মোনালিসার ‘ল্যুভর মিউজিয়াম’, ফ্রেঞ্চ স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন ‘নটর ডেম ক্যাথেড্রাল’, নেপোলিয়নের বিজয়োল্লাস খচিত তোরণ ‘আর্ক ডে ট্র্যেম্ফে (Arc de Triomphe)’ সহ আর অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ববাহী স্থান। তবে দর্শক যে ব্যাপারটি দেখে সবচেয়ে অবাক হবেন সেটি হলো একটি “স্ট্যাচু অফ লিবার্টি”। প্যারিসের বুক চিরে বয়ে চলা সিন নদীতে তৈরী করা কৃত্রিম দ্বীপে এটি স্থাপন করা হয়েছে ১৮৮৯ সালে। পুরো ফ্রান্স জুড়ে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির প্রায় ৯টি রেপ্লিকা আছে। মূলত একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্যারিসে থাকা এই সবকটি ঐতিহাসিক স্থান পরিণত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ পর্যটক গন্তব্যে। ইতিহাস বিখ্যাত এই প্যারিস আলোক ঝলমলে ভালোবাসার শহর। ইংরেজিতে প্যারিস নামে পরিচিত এই নগরী ইউরোপে ‘পারি’ নামেই খ্যাত। কাগজে কলমে প্যারিসের খ্যাতি আছে “আলোকিত নগরী” বা “La Ville Lumière” এর। একটি কারণ এই প্যারিস একদিকে জ্ঞান বিজ্ঞানে ইউরোপে ছিল চালকের আসনে। ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ প্যারিস ইউনিভার্সিটি (‘la Sorbonne’) ছিল এই চালক তিরীর অন্যতম কারখানা। আর অন্য কারণটি হল প্যারিস ইউরোপের প্রথম শহর যেখানে গ্যাস চালিত ল্যাম্পপোস্ট প্রচলিত হয়। সন্ধ্যা নামার সঙ্গেসঙ্গে পুরো ইউরোপ যখন তলিয়ে যেত অন্ধকারে, সেখানে প্যারিসের বুলেভার্ড আর স্ট্রিটগুলো আলোয় ঝকমক করতো। পুরো প্যারিস শহরজুড়ে আছে মোট ১৭৩টি মিউজিয়াম। বিশ্বজুড়ে তাই এই শহরের খ্যাতি আছে মিউজিয়ামের শহর হিসাবে। এর মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত মিউজিয়ামটি হল ল্যুভর মিউজিয়াম। যেখানে সংরক্ষিত আছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির অমর কীর্তি “মোনালিসা”।