অনেক অনেক ওষুধ আর সেই সঙ্গে কোমরে-পেটে একের পর এক হরমোন ইঞ্জেকশন। সন্তানের আশায় চিকিৎসা করাতে আসা বহু মহিলাকেই এই যন্ত্রণা ভোগ করে যেতে হয় অনির্দিষ্টকাল। অনেকেই দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে যান । অনেকে আবার না-পেরে মাঝপথেই ছেড়ে দেন। কেউ কেউ আবার অতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। photo source collected

Low Stimulation IVF: হবু মায়েদের কষ্ট কমাতে লো স্টিমুলেশন আইভিএফ কতটা কার্যকর? জানুন চিকিৎসকের মত

অনেক অনেক ওষুধ আর সেই সঙ্গে কোমরে-পেটে একের পর এক হরমোন ইঞ্জেকশন। সন্তানের আশায় চিকিৎসা করাতে আসা বহু মহিলাকেই এই যন্ত্রণা ভোগ করে যেতে হয় অনির্দিষ্টকাল। অনেকেই দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে যান । অনেকে আবার না-পেরে মাঝপথেই ছেড়ে দেন। কেউ কেউ আবার অতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। photo source collected
অনেক অনেক ওষুধ আর সেই সঙ্গে কোমরে-পেটে একের পর এক হরমোন ইঞ্জেকশন। সন্তানের আশায় চিকিৎসা করাতে আসা বহু মহিলাকেই এই যন্ত্রণা ভোগ করে যেতে হয় অনির্দিষ্টকাল। অনেকেই দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে যান । অনেকে আবার না-পেরে মাঝপথেই ছেড়ে দেন। কেউ কেউ আবার অতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। photo source collected
মূলত এই অসুবিধার জন্যই বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ এখন প্রচলিত ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা আইভিএফ–এর বদলে অন্য পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। সেই পদ্ধতির মূল কথাই হল ‘অল্প ওষুধ, অল্প হরমোন।’ চিকিৎসকদের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লাইট আইভিএফ’ বা ‘লো স্টিমুলেশন আইভিএফ।’
মূলত এই অসুবিধার জন্যই বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ এখন প্রচলিত ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা আইভিএফ–এর বদলে অন্য পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। সেই পদ্ধতির মূল কথাই হল ‘অল্প ওষুধ, অল্প হরমোন।’ চিকিৎসকদের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লাইট আইভিএফ’ বা ‘লো স্টিমুলেশন আইভিএফ।’
চিকিৎসকদের অনেকেরই দাবি, নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসার নামে অসংখ্য ছুঁচ ফোটানোর যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। অতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগ বন্ধ হওয়ায় মারাত্মক সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমবে। তবে এই 'লাইট আইভিএফ’-এর প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে।
চিকিৎসকদের অনেকেরই দাবি, নতুন পদ্ধতিতে চিকিৎসার নামে অসংখ্য ছুঁচ ফোটানোর যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না। অতিরিক্ত হরমোন প্রয়োগ বন্ধ হওয়ায় মারাত্মক সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমবে। তবে এই ‘লাইট আইভিএফ’-এর প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে।
চিকিৎসকদের একাংশ যখন একে ‘বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার একমাত্র ভবিষ্যৎ’ বলছেন, আর এক দল কিন্তু মনে করছেন, এতে যে পরিমাণ সময় ব্যয় হবে এবং হরেদরে খরচ যা দাঁড়াবে, তাতে অনেকেই আগ্রহ হারাবেন।

চিকিৎসকদের একাংশ যখন একে ‘বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার একমাত্র ভবিষ্যৎ’ বলছেন, আর এক দল কিন্তু মনে করছেন, এতে যে পরিমাণ সময় ব্যয় হবে এবং হরেদরে খরচ যা দাঁড়াবে, তাতে অনেকেই আগ্রহ হারাবেন।
লাইট আইভিএফের কথা বলতে গিয়ে বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ প্রসেনজিৎ কুমার রায় জানিয়েছেন, প্রচলিত আইভিএফ-এ অনেক ওষুধ ও প্রচুর ইস্ট্রোজেন হরমোন ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে মেয়েদের ডিম্বাশয়ে ১০-১২টি বা তারও বেশি ফলিকল বা ডিম তৈরি করা হয়। তার মধ্যে অন্তত ৫-৬টিকে গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে নিষিক্ত করে ভ্রূণ প্রস্তুত করা হয়। অন্তত ২-৩টি ভ্রূণকে গর্ভে স্থাপন করা হয়। খরচটা একটু বেশি হয় ।
লাইট আইভিএফের কথা বলতে গিয়ে বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ প্রসেনজিৎ কুমার রায় জানিয়েছেন, প্রচলিত আইভিএফ-এ অনেক ওষুধ ও প্রচুর ইস্ট্রোজেন হরমোন ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে মেয়েদের ডিম্বাশয়ে ১০-১২টি বা তারও বেশি ফলিকল বা ডিম তৈরি করা হয়। তার মধ্যে অন্তত ৫-৬টিকে গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে নিষিক্ত করে ভ্রূণ প্রস্তুত করা হয়। অন্তত ২-৩টি ভ্রূণকে গর্ভে স্থাপন করা হয়। খরচটা একটু বেশি হয় ।
বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ প্রসেনজিৎ কুমার রায়ের মতে, ‘‘লো স্টিমুলেশন আইভিএফ-এ ডিম্বাশয়ে কম সংখ্যক ফলিকল বা ডিম তৈরি হয়। তার থেকে অনেক কম সংখ্যক ভ্রূণ গবেষণাগারে তৈরি করা হয়। এখন প্রযুক্তি ও ওষুধ এত ভাল হয়েছে যে, কম হরমোন ও কম ওষুধেই ভাল মানের ডিম ও ভ্রূণ হয়। সাধারণত একটি ভ্রূণই গর্ভে স্থাপন করা হয়।’’
বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ প্রসেনজিৎ কুমার রায়ের মতে, ‘‘লো স্টিমুলেশন আইভিএফ-এ ডিম্বাশয়ে কম সংখ্যক ফলিকল বা ডিম তৈরি হয়। তার থেকে অনেক কম সংখ্যক ভ্রূণ গবেষণাগারে তৈরি করা হয়। এখন প্রযুক্তি ও ওষুধ এত ভাল হয়েছে যে, কম হরমোন ও কম ওষুধেই ভাল মানের ডিম ও ভ্রূণ হয়। সাধারণত একটি ভ্রূণই গর্ভে স্থাপন করা হয়।’’
প্রসেনজিৎ বাবুর ব্যাখ্যায়, ‘‘এতে মায়ের দেহে হরমোনজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আটকানো যায়। তবে এর সাফল্যের হার কম। ' (তথ্য:অনির্বাণ রায়)
প্রসেনজিৎ বাবুর ব্যাখ্যায়, ‘‘এতে মায়ের দেহে হরমোনজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আটকানো যায়। তবে এর সাফল্যের হার কম। ‘ (তথ্য:
অনির্বাণ রায়)